নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন। অবশেষে প্রেমিকের গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আনন্দ নগর গ্রামে। আত্মহত্যাকারী কলেজ ছাত্র সোহাগ উপজেলার আনন্দ নগর গ্রামের শফি ইসলামের ছেলে এবং প্রেমিকা জাকিয়া জান্নাত উপজেলার পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লার জহুরুল ইসলামের মেয়ে। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, আনন্দ নগর গ্রামের শফি ইসলামের ছেলে রাজশাহী পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া কলেজ ছাত্র সোহাগ আহম্মেদের সাথে একই উপজেলার খামারনাচকৈড় এলাকার জহুরুল ইসলামের মেয়ে রাজশাহী সিটি কলেজে পড়ুয়া কলেজ ছাত্রী জাকিয়া জান্নাতের প্রেমের সম্পর্ক হয়। রাজশাহীতে পড়াশুনার সূত্রে দুজনের মধ্যে একটা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ৬ মাস যাবৎ তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। বৃহস্পতিবার দুইজন চলনবিলের বিলশাতে নৌকায় নিয়ে সকাল ১০ টার দিকে ঘুড়তে বের হয়। পরে বিকেল ৩ টার দিকে ফিরে এসে মেয়েটাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ খবর মেয়ের বাবা-মা জানতে পেয়ে মেয়েটাকে বকা দেয়। পরে মেয়েটা ছেলেটার বাড়ি গিয়ে বিয়ের দাবি জানায়। তখনি বাধে বিপত্তি। ছেলেটা বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। অনেক নাটকীয়তার পরে রাত ১২ টার দিকে ছেলের পরিবার ও মেয়ের পরিবার বিয়ে দেওয়ার পক্ষে একমত হলে ছেলেটা অন্য একটি বাড়িতে গিয়ে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ খবর শোনার সাথে সাথে মেয়েটাও হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.মোজাহারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।