দেশে সম্রাটের কোনো অর্থ নেই

0
433

দেশে সম্রাটের কোনো অর্থ নেই। সম্রাটের সব অর্থই সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগকৃত, এরকম তথ্য সম্রাট গোয়েন্দাদেরকে দিয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দাদের একটি দল ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুরে পৌঁছে গেছে।

আজ সকালে র‍্যাবের কাছে আটক সম্রাট র‍্যাবের কাছে জানিয়েছে যে, তাঁর প্রায় ৭০০কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে সিঙ্গাপুরে। একাধিক অসমর্থিত সূত্র বলছে যে, সম্রাট অনেক আগেই আটক হয়েছিল এবং তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন গোয়েন্দারা সংগ্রহ করছিল। বিশেষ করে তাঁর অবৈধ অর্থ কোথায় আছে সেই তথ্য সংগ্রহ করাটাই ছিল তাদের কাছে গুরুত্বপুর্ণ। জানা গেছে যে, সম্রাট এই ব্যাপারে গোয়েন্দাদের সহযোগিতা করেছেন এবং তথ্য দিয়েছেন।

এর আগে সম্রাটের সমস্ত ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। ব্যাংক হিসাবে দেখা গেছে যে, সম্রাটের তিনটি ব্যাংক একাউন্টে উল্লেখ করার মত তথ্য নেই। একটি একাউন্টে অর্থের পরিমাণ দেড় লক্ষ টাকা, একটি একাউন্টে অর্থের পরিমাণ ৬০ হাজার টাকা, অন্যটিতে ৭২ হাজার টাকা।

সম্রাটের কাছে যে ক্যাসিনোর টাকা আসতো সেগুলো সঙ্গে সঙ্গেই হুন্ডির মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে চলে যেত বলে সম্রাট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। সম্রাটের দুই স্ত্রীর ভরণপোষণের যে অর্থ সেগুলো নগদ টাকায় পরিশোধ করতেন বলেও জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সম্রাটের পাচারকৃত এই অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে একটি গোয়েন্দা টীম ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুরে পৌঁছে গেছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, সম্রাটের সিঙ্গাপুরে তিনটি ক্যাসিনো রয়েছে, একাধিক ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। এসব একাউন্টে বাংলাদেশি টাকায় ৪০০ কোটি টাকা রিয়েছে। সিঙ্গাপুরেও সম্রাট হুন্ডির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ থেকে যারা সিঙ্গাপুরে অবৈধ পন্থায় টাকা পাঠায় সম্রাট তাদের বড় বাহক বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে  সম্রাট বলেছেন।

সিঙ্গাপুরে সম্রাটের যে সম্পদগুলো রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে-

১. তিনটি ক্যাসিনো। যে ক্যাসিনো তিনটি রয়েছে সে ক্যাসিনো তিনটির বাংলাদেশি টাকায় বাজারমূল্য ৩০০ কোটি টাকা।

২. একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যার বাংলাদেশি টাকায় বাজারমূল্য ২৫ কোটি টাকা।

৩. এছাড়া সিঙ্গাপুরের ব্যাংক একাউন্টে তাঁর বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রগুলো বলছে, সিঙ্গাপুরে যে ব্যাংকে টাকা আছে সিঙ্গাপুর সরকারের সহায়তা পেলে টাকাগুলো হয়তো তারা উদ্ধার করতে সক্ষম হবে। তবে তাঁর যে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেটা নিয়ে এখনও কাজ করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 + nineteen =