নোঙ্গর করা একটি নৌযানে ভাসমান গরুর খামার

0
599

নেদারল্যান্ডের রটারডাম বন্দরের কাছে নোঙ্গর করা একটি নৌযানে ভাসমান খামার তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন কয়েকজন গরুর খামারি। এখানও পর্যন্ত খামারটিতে মোট ৩২টি গরু রয়েছে। খামারের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট্ট ব্রিজ দিয়েই গরুগুলো চলাচল করে।

হঠাৎ এত জায়গা থাকতে জলের মধ্যেই খামার করার ব্যাখ্যা দিয়েছেন খামারি পিটার ও তার সহযোগী মিনকে ভ্যান উইনগার্ডেনর। তারা জানান, আমস্টারডামের পুরো শহরজুড়েই রয়েছে ছোট ছোট খাল। মূল শহরের মধ্যে ফাঁকা স্থান সেই অর্থে তেমন নেই বললেই চলে। এছাড়াও জলাশয়ে ভাসমান খামার তৈরি করার পেছনে রয়েছে আরও একটি বড় কারণ। সেটি হলো বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ক্রমেই বাড়ছে পৃথিবীর পানির স্তর। আর সেই কারণে ভবিষ্যতে খামার করার মতো পর্যাপ্ত জমির অভাব দেখা দিতে পারে। সেজন্যই ভাসমান খামার তৈরির পরিকল্পনা।

পেশায় স্থপতি এই দুই তরুণ তাদের গোল্ডস্মিথ সংস্থার মাধ্যমেই কাজটি করেন। খামারের ব্যবসায় উৎসাহী এ্যালবার্ট বোয়ারসেনেরও বিষয়টি পছন্দ হয়ে যায়। যে জন্য তারা যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেন বিশ্বের প্রথম ভাসমান খামার। খামারটি যেমন সুন্দর তেমনি পরিবেশবান্ধবও।

খামারের পাশেই করা রয়েছে ভাসমান সোলার প্যানেল। সেই সোলার প্যানেলের সাহায্যেই জ্বালানো হয় খামারের আলো। খামারের ছাদে রেন পাইপের সঙ্গে যুক্ত একটি ট্যাঙ্ক আছে। সেই ট্যাঙ্কে জমা বৃষ্টির পানি পরিশোধন করে খামারের কাজে ব্যবহার করা হয়। ভাসমান খামারে রয়েছে বেশ কয়েকটি গাছও।

শহরের খেলার মাঠ ও বিভিন্ন বাগানে ঘাস ছাঁটার পর সেটি সংগ্রহ করেন খামারের কর্মীরা। সেই ঘাসই খাবার হিসাবে দেয়া হয় গরুদের।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × five =