ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে আটক

0
614

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে আটক করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম।

আবরারকে শেরে বাংলা হলের যে কক্ষে পিটিয়ে হত‌্যা করা হয় সেই কক্ষের (২০১১) বাসিন্দা বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা।

আবরার হত‌্যার পর যে ১৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয় তাতে অমিতের নাম ছিল না। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করে অমিত সাহার একটি মেসেজ যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

আবরারকে পেটানোর আগে তারই ব‌্যাচের এক শিক্ষার্থীকে অমিত সাহা ম্যাসেঞ্জারে জিজ্ঞেস করেন, ‘আবরার ফাহাদ কি হলে আছে?’

বুধবার ফেসবুকে আবরারের এক বন্ধু অমিতের ওই স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। তবে ভয়ে ওই শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ করেনি।

উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ৬ অক্টোবর রাতে তকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর মধ‌্য রাতে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

৭ অক্টোবর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

ওই দিন সন্ধ‌্যায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

আবরার হত‌্যায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ‌্যে অমিত বাদে বাকি ১৩ জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 2 =