Site icon Aparadh Bichitra

জনগনের দৃষ্টি শুদ্ধি অভিযান থেকে সড়িয়ে নিতেই আবরারকে হত্যা

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আবরার হত্যাকান্ড শুধু বাংলাদেশে নয় সাড়া বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সরকারের মন্ত্রীরা কূটনৈতিক শিষ্ঠাচারের দোহাই দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূত বা দূতাবাসগুলোকে চুপ থাকতে বলছে এটা ভালো দিক নয়, বিবেক সম্মত নয়। যেখানে যা অন্যায় হবে, সেটা নিয়ে কথা বলতেই হবে। আবরার হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার হবে বলে আমরা আশা করব।

শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে শুদ্ধি অভিযানের কথা চলছিল আবরার হত্যাকান্ডের মাধ্যমে এ অভিযানটা অনেকটা শ্লথ হয়ে গেছে। বাস্তবতার নিরিখে বলা যায় যে, জনগনের দৃষ্টি এই অভিযান থেকে সড়িয়ে নিতেই আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, অভিযান চলমান থাকবে আমরা তার উপড় আস্থা রাখতে চাই। স¤্রাটকে গ্রেফতার করা হলো কিন্তু তাকে কেন রাজকীয় ব্যবস্থায় কেন চিকিৎসা দেয়া হলো? বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যেখানে চিকিৎসা পায়না সেখানে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি এত সাড়ম্বরে চিকিৎসা কিভাবে পেল সেটা আমারও প্রশ্ন।

বুয়েটের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ নিয়ে আনোয়ার হোসেন  বলেন, ঢালাওভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বুয়েটের তাৎক্ষণিক স্বার্থ উদ্ধারের উদ্দেশ্যে  একটি অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি।

বুয়েটের উচিৎ ছিল শুধু ছাত্র রাজনীতি নয়, শিক্ষকদেরও অপরাজনীতি নিষিদ্ধ করা। সে কাজটি তারা করেনি। রাজনীতিরই ফসল এই বাংলাদেশ। রাজনীতিরই ফসল বঙ্গবন্ধু। রাজনীতিরই ফসল আজকের এই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজনীতি না থাকলে নেতৃত্ব তৈরি হয়না। বাংলাদেশে এখন নেতৃতের একটা শূন্যতা বিরাজ করছে। তার কারণ, গত ২৯ বছর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন হয় নি। তারপরও যে নির্বাচন হলো তা তো প্রহসনের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব তৈরির কোন পরিবেশ তৈরি হয়নি। ডাকসু কোন কাজ করতে পারছে না। করছেও না। এবং কাজ করার কোন সক্ষমতাও তাদের নেই। আমি মনে করি, রাজনীতি অবশ্যই থাকতে হবে। তবে অপরাজনীতি কোন রাজনীতি নয়। সেই জায়গায় বুয়েটকে বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন ছিল।