Site icon Aparadh Bichitra

আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গায় পৌঁছেছে পুলিশ …..স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষায় অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে পুলিশ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গায় পৌঁছেছে। রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে পুলিশ বাহিনীর স্বপ্ন দেখতেন বর্তমানে পুলিশ বাহিনী সে অবস্থানে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় পুলিশের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার জনমুখী পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে ৮০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন। এটা ক্রমান্নয়ে আরো বৃদ্ধি করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সেবা দিয়ে জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। মাঠপর্যায়ে পুলিশের সুনাম আরো বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমানে মাদক সবচেয়ে বড় সমস্যা। মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।


আইজিপি বলেন, ইতোমধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। মাদক নির্মূলেও আমদের রোল মডেল হতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে পুলিশকে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখায় দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলেও পুলিশ প্রধান উল্লেখ করেন।

পুলিশকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সমস্যা শুনে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। দেশে কেউ অরাজকতা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।


অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর ফারুক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও তেজগাঁও থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সংগঠনের নেতারা বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পুলিশের র্যাং ক ব্যাজ, অবসরে যাওয়ার পর রেশন প্রদান, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু আইন সংস্কার, ওসির (পরিদর্শক) পদ বহাল রাখা, কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে ২০ লাখ টাকা অনুদান।