পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আনোয়ার হোসেন মোল্লা নামে এক স্কুল শিক্ষককে প্রবাসির স্ত্রীর ঘরে অন্তরঙ্গ মূহুর্তে আটক করে এলাকাবাসী। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই শিক্ষকের স্ত্রী প্রায় ১ঘন্টা চেস্টা চালিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তার স্বামী স্কুল শিক্ষক আনোয়ার মোল্লা ও ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধরক জুতা পেটা করে। এ সময় ওই শিক্ষকের পরিহিত শার্ট ছিড়ে যায়।
এছাড়াও জুতার আঘাতে মুখমন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফূলা জখম হয়। সম্প্রতি মঠবাড়িয়া পৌরশহরের ৩নং ওয়ার্ডের স্লইজগেট সংলগ্ন প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যপক তোলপাড় চলছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ গত কাল স্থানীয় সাংবাদিকদের হাতে পৌছায়। আনোয়ার মোল্লা উপজেলার উত্তর সোনাখালী গ্রামের মৃত. আঃ বারেক মোল্লার পুত্র ও বুখাইতলা বান্ধবপাড়া সম্মিলিত (বি.বি.এস) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মোল্লা ওই প্রবাসির স্ত্রীর ঘরের দরজা আটকিয়ে অন্তরঙ্গ আচারণ করে। এ সময় তাদের সন্দেহ হলে শিক্ষকের স্ত্রীকে সংবাদ পাঠানো হয়। সংবাদ পেয়ে ওই শিক্ষকের স্ত্রী ঘটনাস্থালে এসে প্রায় ১ঘন্টা চেস্টা চালিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তার স্বামী আনোয়ার মোল্লা ও প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধরক জুতা পেটা করে। এ সময় ওই শিক্ষকের পরিহিত শার্ট ছিড়ে যায়। এছাড়া জুতার আঘাতে শিক্ষকের মুখমন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, আনোয়ার মোল্লা নামের ওই শিক্ষক জন্মগত ভাবেই লম্পট প্রকৃতির লোক। বহু বছর আগে নিজ গ্রামের এক কিশোরীকে ধর্ষন করেছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময় বিষয়টি এক ধরনের মীমাংসা হলের ওই কিশোরী সেই থেকে মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ওই ঘটনার পর এলাকার লোকলজ্জার ভয়ে মঠবাড়িয়া-সাপলেজা সড়কের মৃধা বাড়ির সামনের সড়কের পাশে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। এদিকে এক রিক্সা চালকের স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ মূহুর্তে আটকের পর স্থানীয় ইউপি সদস্যর কাছে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ও মোটা অংকের জরিমানা দিয়ে ছাড়া পান। এ ঘটনার পরেও মাত্র ৮ মাস আগে পৌরশহরের ৩নং ওয়ার্ডের বস্তি এলাকায় এক নারীর সাথে অন্তরঙ্গ মূহুর্তে আটকের পর আড়াই লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে তাকে। মাস তিনেক আগে স্লইজগেট এলাকায় অপর এক নারীর সাথে অন্তরঙ্গ মূহুর্তে আটক হওয়ার পর তার যৌনাঙ্গে ইট বাঁধে স্থানীয়রা । পরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় বেঁচে যান।
এ ব্যপারে আনোয়ার হোসেন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। সংবাদটি প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন ও ম্যানেজ করার চেস্টা করেন।
বি বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি মৌখিক ভাবে শোনার পরে আমি বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পেরেছি ঘটনা সম্পূর্ন সত্য। বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।