টি এম রেদওয়ান বায়েজীদ : বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার টিয়াখালী গ্রামে ১/৮/১৯৭৯ সালে সরকার গরীব মফেজ প্যাদার নামে সরকারি জমি বন্দোবস্থ দেয়। মফেজ প্যাদা উক্ত জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। তাহার মৃত্যুার পর তাহার ওয়ারিশগন উক্ত জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। মৃত্যু মফেজ প্যাদার নামে সরকারি বন্দোবস্থ জমি জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে জমি উদ্ধার চেয়ে ভুক্তভোগী মৃত্যু মফেজ প্যাদার ছেলে মোঃ সোহেল রানা বাদী হয়ে মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ মনোয়ার হাওলাদার, মোঃ বাদশা হাওলাদার, মোঃ আলী হাওলাদার, মোঃ মতিয়ার রহমান ও আবদুল সালাম মিয়াসহ কয়েকজন অজ্ঞাত নামা আসামি করে আমতলী সিনিয়ার জুডিশিয়াল মেজিস্টেট কোর্টে জালিয়াতি মামলা করেন। জানা যায়, মফেজ প্যাদা সরকারি বন্দোবস্থ দলিলে স্বাক্ষর দেয়। জমির দাগ নম্বর ২৩৪৩ বাটা ৩৫৪৮ কিন্তু ভূমি দস্যুরা জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল তৈরি করে যাতে মফেজ প্যাদার কোন স্বাক্ষর নেই। শুধুমাত্র টিপ সই ব্যবহার করা হয়েছে এবং দাগ ২৩৩৪ বাটা ৩৫৪৮।। মফেজ প্যাদার দাগ খতিয়ানের সাথে উক্ত জালিয়াতি দলিলের কোন মিল নাই।
কিন্তু বর্তমানে গরীব ও অসহায় মফেজ প্যাদার পরিবারটি উক্ত জমির কাছে গেলে উল্লেখিত ভূমিদস্যুরা মফেজ প্যাদার পরিবারটিকে নানা ভয় ভীতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে ও উক্ত জমি জোর পূর্বক ভাবে চাষ করেন।
কিন্তু ভূমি অফিসের তথ্য মোতাবেক বর্তমান সই মোহর, রেকর্ড এবং হাল দাখিলা সবকিছুই মফেজ প্যাদার নামে।মৃত্যু মফেজ প্যাদার ছেলে অটোরিক্সাচালক মোঃ সোহেল রানা বলেন, তৌহিদুল ইসলাম হেলাল আমার বৃদ্ধ মা কে চর থাবর মারে এবং আমাগো রামদা, দা সহ দেশীয় অস্র নিয়ে লড়ান দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই এবং দয়া করে আমাগো আসহায়কে জমির দখল বুজিয়ে দিন।
মৃত্যু হাফেজ প্যাদার জমি এভাবে জোরপূর্বক দখলের এমন ঘটনায় এলাকার লোকজন হতবাক হয়ে পড়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভূমিদস্যু দেলোয়ার হোসেন, মনোয়ার হাওলাদার, বাদশা হলাদার, আলি হলাদার, মতিউর রহমান, আব্দুস সালাম, তৌহিদুল ইসলাম হেলালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্হা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন সচেতন ও শুশীল নাগরিক সমাজের লোকজন।।