পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন’বরগুনাবাসীর মধ্যমনি

0
2438

রাশেদুল ইসলাম: প্রশাসনের উজ্জ্বল নক্ষত্র, প্রশাসনের গর্ব বাংলাদেশের আইকনের তালিকায় বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনের নামটি বলতে দ্বিধা করেনা আজ বরগুনাবাসী। প্রাথমিক জরিপে বেরিয়ে আসে বরগুনাবাসসীর প্রিয় অভিভাবকের নাম। আজ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। নেই কোন চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী কিংবা সন্ত্রাসী সংগঠন। এমন আস্থাভাজন পুলিশ  সুপার বরগুনাবাসী ইতিপূর্বে পায়নি। সাধারণ মানুষ তেমনটি বলেছে অপরাধ বিচিত্রাকে। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে যানা যায়। বরগুনাবাসী আজ শান্তিতে ঘুমাচ্ছে, নির্বিঘেœ ছেলে মেয়ে স্কুল কলেজে যেতে পারছে কোন ইভটিজার নেই, নেই কোন চাঁদাবাজ, পুলিশ সুপারের কাছে কেউ কখনো বিচার নিয়ে গেলে বিচার পায়নি কিংবা হতাশ হয়ে ফিরে আসছে এমন কেউ কে খুজে পাওয়া যাবেনা। প্রতিটা জেলায় এমন মহৎ ত্যাগী পুলিশ সুপার থাকলে রাষ্ট্রের অনেক পরিবর্তন হতো। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাঝে আসতো বড় পরিবর্তন পুলিশ প্রশাসন ও জনগনের মাঝে থাকতো না কোন দুরত্ব। আস্থাশীল এক পুলিশ বাহিনী পেতো এই লালসবুজের সোনার বাংলাদেশের ১৬ কোটি বাঙ্গালী। জেনে নেই এই সু-সন্তানের পিতা ও মা জননীর পরিচয়। পিতা এ এম আনোয়ার হোসেন। মাতা খায়রুনেছা। পিরোজপুরের কৃতিসন্তান ১০ই ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে শেখ পাড়া এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম। আট ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট এসপি মারুফ হোসেন। পিতা ছিল সৎ আদর্শবান মহৎ মনের মানুষ। ছোট বেলা থেকেই পিতার আদর্শে আদর্শিত হয়ে বেড়ে ওঠা। করুনেচ্ছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা কালীন সকল শিক্ষকের কাছে ছিল প্রিয় মেধাবী ছাত্র। ছিল সকল ক্লাসের ফার্স্ট বয়।

১৯৮৮ সালে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় পিরোজপুর থেকে এস.এস.সি, ১৯৯০ সালে সোরোয়ার্দী থেকে এইচ.এস.সি, ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান নিয়ে অনার্স মাষ্টার্স করেন। ২২ তম বিসিএিস ক্যাডার ছিল পড়াশুনা শেষ করে আর এম ডিসি নামে নিজের ঢাকায় রিসার্স ফার্ম ছিল। ২০০৩ সালে ১০ ডিসেম্বর পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন পুলিশের এসি হিসেবে।

সারদা ট্রেনিং শেষে ২০০৫ সালে সি আই ডি তে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে এসি এম পিতে এ এস পি হেড কোয়ার্টার ট্রেনিং ফোর্স সাপ্লাই পাঁচলাইশ জোন। র‌্যাব-৭ এ এসপি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে ডিএমপির এসি ডিবি গুলশানে যোগদান করেন। সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন পরে এসি ডিবি মিরপুর সেখানেও সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮/০৯ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে ডিএমপি তে যোগদান করেন।

২০০৯ সালে সাইবেরিয়াতে চলে যান। ২০১০ সালে ট্রাফিক এ্যান্ড ড্রায়িং স্কুল (টিডিএস) দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালে দারফু মিশন সুদানে পারি জমান সেখানে রুল অফ ল ও আই প্লানিং এ দায়িত্ব পালন করেন। এভাবেই তার সফলতার সহিত পুলিশ বাহিনীতে পথ চলা।

সুদানের দারফু মিশন শেষ করে ২০১৪ সালে এস এম পিতে যোগদান করেন টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সফলতার সহিত দায়িত্ব পারন করেন। তিন মাস সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন শেষে, ২০১৪ সালে লক্ষ্মিপুর জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সচিবালয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেন, সেখানে ওয়াচ টাওয়ার এবং গেইটের দায়িত্ব পালন করেন। সচিবালয় সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৬ সালে ডিবি ডিসি হিসেবে সি এম পিতে যোগদান করেন।

সফলতার সহিত দায়িত্ব শেষে ২০১৭ সালে সি এম পি পুলিশ লাইনে পরিবহন সরবরাহ সাপ্লাইয়ার ডিসির দায়িত্ব পালন করেন। সি এম পির বিভিন্ন জায়গায সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন শেষে ১৩-০৮-২০১৮ তে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছে। বরগুনাতে যোগদানের পর থেকে দ্রুত আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হয়। পাল্টে যায় পুরো বরগুনার জনপথ। আস্থাশীল এক পুলিশ বাহিনীর অভিভাবক পেয়েছে আজ বরগুনাবাসী এমনটাই মত প্রকাশ করেছে সমাজের গুণীজনেরা।

অপরাধ বিচিত্রার সাথে একান্ত সাক্ষাতে বর্তমান সমাজে কিশোর গ্যাংয়ের মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস দমনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি উদ্যোগ নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যা, মাদক, জঙ্গি সন্ত্রাসের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স এর নির্দেশনা দেওয়া আছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মাফিক আমাদের পথ চলা। ইনশাল্লাহ এই মিশনে আমরা সফলতার দার প্রান্তে। আলোচিত রীফাত হত্যার ব্যাপারে জানতে চাইলে  তিনি বলেন, তদন্ত অব্যাহত আছে।

আরেকটা বিষয় না বললেই নয় সকল অভিভাবকের উদ্দেশ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা থাকবে সকল পরিবার সচেতন থাকবে, সন্তানদের প্রতি যতœবান হবে। সন্ধ্যার পর কোন সন্তান যেন বাইরে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের অজান্তে  যদি কেউ কোন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে যায়, তৎক্ষনাৎ প্রশাসনকে জানানোর জন্য অনুরোধ রইল। জঙ্গিদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছে জেলা পুলিশ। আর জঙ্গিদের ব্যাপারে বলেন,  জঙ্গিরা যাতে কোথাও আস্তানা না ঘাড়তে পারে সে ব্যাপারে জেলা পুলিশ সব সময় সজাগ আছে। উন্নয়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর লাল সবুজের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকল কাজ করে যাচ্ছে।

আমাদেরও ঐ একই লক্ষ্য বিশ্ব মানের জাতির কাছে আস্থাশীল এক পুলিশ বাহিনী তৈরি হয়েছে। তাই মাদক জঙ্গি সন্ত্রাস নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। পারিবারিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সহধর্মীনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল তে গ্র্যাজুয়েশন করেছে। ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে মাফিন মানহা। সবশেষে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের পবিত্র পোষাক পড়ে অর্পিত এই গুরু দায়িত্ব যথাযথভাবে যেন পালন করতে পারি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen + four =