রাউজানের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হাসান মাহমুদ নাছিরের সহযোগী বহু মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী রাঙ্গুনিয়ার প্রতারক তোফাজ্জল হোসেন ওরফে রিমন এখনও ধরাছোয়ার বাইরে

0
908

মোঃ কামাল হোসেন, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারণা করে অর্ধকোটি টাকা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়া বহু মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী চিহ্নিত প্রতারক মো. তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার ওরফে রিমন এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে। প্রতারক রিমন রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড এলাকার হাকিম বক্সের পুত্র। জানাযায় প্রতারক রিমন সম্প্রতি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার রিপোর্টে উঠে আসা রাউজানের কুখ্যাত মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ী হাসান মাহমুদ নাছির এর প্রধান সহযোগী। মাদক ব্যবসায়ী হাসান মাহমুদ নাছির আবারও প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। চেষ্টা করছে সারাদেশে ইয়াবা ব্যবসা চাঙ্গা করে তোলার।দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর গা-ঢাকা দিয়েছিল ইয়াবা কারবারি নাছির। চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্ব দেশ পত্রিকায় শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ও মাদক ব্যবসায়ীদের গড ফাদার হিসেবে  হাসান মাহমুদ নাছিরের নাম উঠে আসেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা এবিষয়ে বলেন, বর্তমান সময়ে মাদক নির্মূল করাই হবে তাদের প্রধান কাজ। মাদকবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হবে। তারা আরও জানান, হাসান মাহমুদ নাছির ও অনেক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। এই তালিকায় ইায়াবা কারবারি নাছিরের প্রধান সহযোগী হিসেবে আছেন রিমন নামে একজন। রিমন হচ্ছে অনেক বড় প্রতারক। সাম্প্রতিক চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা লুট করে পলাতক হিসেবে আছে। রিমন নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত।অনেক মেয়ের সাথে প্রেমের অভিনয় করে নানা ধরনের প্রতারনা করে।সে বর্তমানে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী।

পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হচ্ছে। এদের ধরিয়ে দিতে সকলেই পুলিশকে সহযোগিতা করুন। জানাযায়,বিভিন্ন আশ্বাস ও কৌশলে সম্পর্ক স্থাপন করে ব্যবসায়ীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে অনেক মানুষকে নিঃস্ব করলেও বরাবরই ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যায় প্রতারক রিমন। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন প্রবাসী ব্যবসায়ীর সাথেও প্রতারণা করে রিমন অর্ধকোটি টাকা সহ মূল্যবান সরঞ্জাম হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারনা ও চেক জালিয়াতি সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় করা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। সর্বশেষ রাঙ্গুনিয়া থানায় করা একটি মামলায়ও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক দল গড়ে তুলে দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রতারক রিমনকে গ্রেপ্তার করা গেলে প্রতারক চক্রের বাকী সদস্যদেরও ধরা সম্ভব হবে এবং ভোক্তভোগীরা তাদের টাকা ও মারামাল ফেরত পাবে।

প্রতারনা ও চেক জালিয়াতি সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় করা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। সর্বশেষ রাঙ্গুনিয়া থানায় করা একটি মামলায়ও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক দল গড়ে তুলে দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রতারক রিমনকে গ্রেপ্তার করা গেলে প্রতারক চক্রের বাকী সদস্যদেরও ধরা সম্ভব হবে এবং ভোক্তভোগীরা তাদের টাকা ও মারামাল ফেরত পাবে।

রিমনের প্রতারনার শিকার রাঙ্গুনিয়ার পদুয়ার ভুক্তভোগী প্রবাসী রাসেল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একই গ্রামের লোক হওয়ায় দুবাইয়ে রিমন বেড়াতে গেলে আমি তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করতাম। আমার বাসায় তাকে দাওয়াত দিতাম, ভালভাবে খাওয়াইতাম। কিন্তু সে আমার সাথে সুন্দর সুন্দর কথা বলে আমার টাকা ও মালামাল আমার বাড়ীতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে আত্বসাৎ করেছে, সে আমার সাথে এতবড় প্রতারণা করবে কখনো কল্পনা করিনি।

এই বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘রিমনকে বিশ্বাস করে আমার বাংলাদেশী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ৬ হাজার পিস মেমোরি কার্ড, সাড়ে ৬ লাখ টাকা মূল্যের এপ্যাল ওয়াচ সিরিজ-৪ মডেলের ৪টি, এয়ার পোর্ডস মডেলের ৪টি এবং সেমসাং এস মডেলের ৪টি সহ মোট ১২টি মুঠোফোন ছাড়াও মূল্যবান গহনা ও অন্যান্য সরঞ্জাম দেশে পৌছে দেওয়ার কথা বলে সে নেয়।

এছাড়াও একই ভাবে অন্যান্য আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও রিমন মূল্যবান সরঞ্জাম সংগ্রহ করে দেশে ফিরে। সবমিলিয়ে নগদ টাকা সহ অর্ধকোটি টাকার মালামাল নিয়ে দেশে ফিরেই তিনি লাপাত্তা হয়ে আমি সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সর্বশান্ত করে দেয়। এই বিষয়ে দীর্ঘদিন খুঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে খবর নিয়ে দেখি শুধু আমাদের সাথে নয়, দেশে বেশ কয়েক বছর ধরে সে একই ভাবে প্রতারণা করে মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

জানাযায়  জাওয়াদ হোসেন, পিতা- জাকির হোসেন, পেশা ব্যবসা, মুহাম্মদ আরমান, পিতা – মশিউর রহমান, পেশা- ব্যবসা, হাটহাজারী, মাদার্শা, চট্টগ্রাম। মুহাম্মদ জাহেদ , পিতা – ইউনুস মিয়া, দুবাই প্রবাসী, হোসেন মাহমুদ , পিতা – মৌলভী নুরুল আলম , বাড়ি – ১০ নং পদুয়া ইউনিয়ন, জয়নগর , রাংগুনিয়া, দুবাই প্রবাসী।  মুহাম্মদ হান্নান , পিতা – আমিরুল ইসলাম , ঠিকানা – বোয়ালখালী, খরনদ্বীপ, চট্টগ্রাম। মুজাহিদুর রহমান, পিতা – হাবিবুর রহমান, ঠিকানা- উত্তর মাদার্শ, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। এরাও প্রতারক তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার ওরফে রিমন এর প্রতারণার শিকার হয়েছে।

প্রতারক তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার ওরফে রিমনের প্রতারণার বিষয়ে দেশের জাতীয় ও চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকায় ফলাও করে নিউজ প্রকাশিত হলে এই প্রতারক গা ঢাকা দেয়। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী রাসেল করিম চট্টগ্রাম আদালতে (সি আর ১৫১/১৯ রাঙ্গুনিয়া) মামলা দায়ের করলে আদালত তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছেন। এদিকে এই প্রতারককে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাসেল করিম।

তিনি প্রতারক রিমনের সন্ধান পেলে ০১৮৫৪-৬৬৬৬৩০ এবং ০১৮৪৮-১৫৪৭৪৬ নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার নবনিযুক্ত ওসি মাহাবুব বলেন, সি আর মামলা নং ১৫১/১৯ এ ‘প্রতারণা মামলায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়ার তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার ওরফে রিমন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 + 2 =