থাইল্যান্ড প্রবাসী সুইপার আকবরের ভয়ানক প্রতারণার ছোবলে সর্বশান্ত ব্যবসায়ীরা

3
1845

মো: আহসানউল্লাহ হাসান: কে বিদেশ গিয়ে কি কাজ করে কত টাকা উপার্জন করলো তার খবর কেউ না রাখলেও টাকার গরমে ব্যক্তিরা যখন দুর্ধর্ষ অপরাধ কর্ম শুরু করে তখনই তার পুর্বেও ইতিহাস সামনে চলে আসে। আকবরের বেলায়ও ঘটেছে তাই। আকবর প্রতারনার মাধ্যমে থাইল্যান্ড গিয়ে দীর্ঘদিন ঝাড়–দারের কাজ করে মোটামোটি ভালো অর্থই ইনকাম করে। কিন্তু কথায় বলে-সুখে থাকলে ভুঁতে কিলায়। অর্থাৎ সৎ ইনকামে তার পেট ভরে না। শুরু করে অবৈধ পথে অর্থ ইনকামের নতুন মিশন। হুন্ডির ব্যবসা, মানবপাচার, মাদক পাচার, ভিসার দালালি, পার্টনাশিপের ব্যবসার ফাঁদ সহ নানা ধরনের অপকর্মের মাধ্যমে স্বদেশী-বিদেশী প্রবাসীদের সর্বশান্ত করে আকবর এখন কোটিপতি সুইপার আকবর বনে গেছে বলে জানান ভুক্তভোগিরা। আকবর প্রতারনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার স্বদেশীয় প্রবাসী একরামুল হক, তানভীর রায়হান ও মো: সেলিমকে শায়েস্তা করার অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ইয়াবা মামলা ফাসিয়েছে। আকবরের এরূপ ভয়াবহ প্রতারনা থাবা থেকে মুক্তি চায়  থাইল্যান্ডে কর্মরত বাংলাদেশীরা ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট গ্রামের নুরুল হকের ছেলে আকবর হোসেন ওরফে সানী ওরফে সোহাগ। পাসপোর্টে নাম আকবর হোসেন, পাসপোর্ট নং-বি ওয়াই ০৭১১৬৫৩। তিনি দালালের মাধ্যমে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে টুরিষ্ট ভিসায় চলচিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সাথে ২০০৬ সালে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান এবং থাইল্যান্ড গিয়ে ঐসকল চলচিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সাথে আর দেশে ফেরত আসেননি। ২০০৬-২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি থাইল্যান্ডের পাতায়া শহরে একাধিক কাপড়ের দোকানে ঝাড়–দারের কাজ করেন। এরপর তিনি ছলচাতুরি করে একটি কাপড়ের দোকান কেনার জন্য সামান্য কিছুৃ টাকা দিয়ে দোকানের দখল বুঝে নিয়ে বাকী টাকা বাংলাদেশে এসে প্রদান করবেন বলে দোকানের মালিককে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ঐ দোকানের মালিক সব কিছু হস্তান্তর করে বাংলাদেশে আসার পর তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আকবর হোসেন তার বিরুদ্ধে নানারুপ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এসব কিছু সহ্য করতে না পেরে উক্ত দোকান মালিক অসুস্থ্য হয়ে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরন করেন। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশ থেকে ভিজিট ভিসায় ঘুরতে যাওয়া একরামুল হক ও তানভীর রায়হান নামে দুই ব্যক্তির সাথে স্বেচ্ছায় পরিচিত হয়ে বহুরূপী, বহুনামধারী আকবর হোসেন ওরফে সানী ওরফে সোহাগ সখ্যতা গড়ে তোলেন।

এ সম্পর্কের একটি পর্যায়ে প্রতারক আকবর হোসেন সহজ সরল একরামুল হক ও তানভীর রায়হানকে থাইল্যান্ডে একটি গেষ্ট হাউজ ও রেষ্টুরেন্ট কিনে দেয়ার জন্য প্রস্তাব দেন এবং আকবর হোসেন ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং ভালো একটি মুনাফা অর্জনের আশ^াস দেন। আকবরের এ কথায় সহজ সরল একরামুল হক ও তানভীর রায়হান আশ^স্ত হয়ে এবং বিশ^াস করে পাতায়া শহরে গত ৩রা মার্চ-২০১৭ ইং তারিখে  মি: তানাকর্ন নুন্টিরোজানা হতে ২০৫/২৭-২৮ এবং ৩৮-৩৯ ঠিকানায় একটি দুইতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত ভবনের ১৫ টি রুম এবং নিচতলায় একটি ইটালিয়ান রেষ্টুরেন্টসহ ভাড়া নিয়ে উক্ত আকবর হোসেনকে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে আসেন। কিন্তু প্রতারক আকবর হোসেন প্রথমেই স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানীর নিবন্ধন পত্রে অংশীদার হিসেবে তাহার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। সহজ সরল একরামুল হক ও তানভীর রায়হান থাই-ভাষা বুঝতে ও লিখতে  না পারার কারনে প্রতারক আকবর হোসেনের জাল জালিয়াতি অনুমান করতে পারেননি। এরপর বিভিন্ন সময়ে প্রতারক আকবর হোসেন সহজ সরল একরামুল হক ও তানভীর রায়হানের নিকট থেকে ব্যবসায়ে লোকসান দেখিয়ে এক কোটি এক লাখ দুই হাজার থাইবাথ (বাংলাদেশী টাকায়-প্রায় দুই কোটি নব্বই লাখ টাকা) হাতিয়ে নেন। উক্ত টাকা আকবর হোসেন নিজ নামের ব্যাংক একাউন্টে  গ্রহণ করেন ও অঢেল টাকার মালিক হয়ে যান।

পাশাপাশি নোয়াখালীতে আকবরের বাবা নুরুল হকের নামে ইসলামী ব্যাংকের একটি একাউন্টে বিভিন্ন সময়ে আরো দশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও রেষ্টুরেন্ট এর বিক্রয় রশিদ গোপন করে ৮৪ লক্ষ থাইবাথ (বাংলাদেশী টাকায়-প্রায় দুই কোটি দশ লাখ টাকা) হাতিয়ে নেয়। তবে প্রতারক আকরব হোসেন বুঝতে পারেনি যে ওই হিসাব গুলো ক্রমিক নাম্বার অনুযায়ী ডিজিটাল মেশিনে সংরক্ষিত রয়েছে। পরবর্তীতে লোক মারফত একরামুল হক ও তানভীর রায়হান জানতে পারেন প্রতিষ্ঠানটি ফ্যান্টাসিয়া রেষ্টুরেন্ট এবং গেষ্ট হাউজ নামে আর পরিচালিত হচ্ছে না। স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন পত্রে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে পিজা এন্ড পাস্তা কোম্পানী লি: নামে পরিচালনা করছে এবং প্রতিষ্ঠানটির সম্পূর্ন শেয়ার প্রতারক আকবর হোসেনের নামে পরিবর্তন করে নেয়। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার সকল সরকারী/বেসরকারী কাগজ পত্র যাচাই করে সত্যতা প্রমান পেয়ে এবিষয়ে তানভীর রায়হান থাইল্যান্ডের পাতায়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী ও চুনবুরি জেলা পুলিশের কার্যালয়ে মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যার বিষয় ছিল ‘প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ, স্বাক্ষর জালিয়াতি ও জীবননাশের হুমকি হতে পরিত্রান পাওয়া’।    

সুত্র জানায়, প্রতারক আকবর হোসেন এসকল বিষয় জানতে পেরে ক্ষমা চাইতে শুরু করে এবং তার ভুল হয়েছে বলে সমস্ত টাকা ফেরত দেয়া এবং কোম্পানীর নিবন্ধন পত্র থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নিবেন বলে তানভীর রায়হানকে আশ^স্ত করেন। এরপর একারমুল  হক ও তানভীর রায়হানকে বাংলাদেশে এসে সমূদয় টাকা পরিশোধ করবেন বলে বাংলাদেশে চলে আসেন। আকবর হোসেন বাংলাদেশে ৭ই নভেম্বর ২০১৮ রাতে এসে উত্তরায় হোটেল এয়ারইন এ অবস্থান নেন এবং পরের দিন উত্তরা একরামুল হকের বাসায় গিয়ে ক্ষমা চান এবং কোম্পানীর নিবন্ধন পত্রটি একরামুল হককে হস্তান্তর করেন যাহার মধ্যে উক্ত প্রতারক আকবর হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। যাহা সংশোধিত হয় ৭ই নভেম্বর-২০১৮ ইং তারিখে। ঐ তারিখে একরামুল হক বাংলাদেশেই ছিলেন। তাহলে কিভাবে একরামুল হকের স্বাক্ষর এবং থাইল্যান্ডে স্বশরীরে উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও তার নামে কোম্পানী নিবন্ধিত হলো? যাই হোক প্রতারক আকবর হোসেন চুরিকৃত টাকা সাতদিনের মধ্যে একরামুল হককে ফেরত দিবেন মর্মে মৌখিক নিশ্চয়তা প্রদান করেন। সব কিছু বিবেচনা করে সহজ সরল একরামুল হক ও তানভীর রায়হান প্রতারক আকবর হোসেনকে ক্ষমা করে দেন।

কিন্ত প্রতারক আকবর হোসেন বুঝতে পারেন যে সমূদয় টাকা একরামুল হক ও তানভীর রায়হানকে ফেরত দিতেই হবে, ঠিক তখনি শুরু করেন ভিন্নধর্মী একটি জঘন্য গেইম। ৮ই নভেম্বর ২০১৯ তারিখ রাতে সাভারের বিরুলিয়ায় ¯েœা হোয়াইট এ্যাপারেল্স এর এমডি আনোয়ার হোসেন তার পূর্ব পরিচিত। থাইল্যান্ডে ভ্রমনের মাধ্যমে তারা একে অপরের পরিচিতি লাভ করে। যেহেতু আনোয়ার হোসেন একজন গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক সেহেতু একরাম সাহেব ও তাদের পূর্ব পরিচিত। উক্ত আকবর হোসেন সাভার বিরুলিয়ায় আনোয়ার সাহেবের ফ্যাক্টরিতে গিয়ে দেখা করবেন বলিয়া এমরামুল হক সাহেবকে তার সাথে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু একরামুল হকের গাজীপুরের বোর্ড বাজারে অবস্থিত গার্মেন্টেস প্রতিষ্ঠান: ফ্যাশন ষ্টোর লি: এ যাবেন বলে আকবর হোসেনকে জানান। কিন্তু আকবর হোসেন আনোয়ার হোসেন এর ফ্যাক্টরি চেনেন না বলে একরামুল হকের সাথে প্রতারনার আশ্রয় নেন। সহজ সরল একরামুল হক তার প্রতিষ্ঠানের একজন ওয়ার্কার মোঃ আসাদ-কে আকবর হোসেন এর সাথে পাঠান।

কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আকবর হোসেনের কাছ থেকে একজন গার্মেন্টস্ কর্মীও রক্ষা পায়নি। ঐদিন অর্থাৎ ৮ই নভেম্বর ২০১৯ তারিখ রাতে ¯েœা হোয়াইট এ্যাপারেল্স এর সামনে থেকে আকবর হোসেন এর বহনকৃত ব্যাগে পুলিশের ভাষ্যমতে ইয়াবা ট্যাবলেট জব্ধ করেন। কিন্তু আকবর হোসেন এর সাথে একরামুল হকের কর্মচারীও সাথে থাকায় পুলিশ তাকেও গাড়ীতে করে নিয়ে যায় সাভার থানায়। কিন্তু আকবর হোসেনকে পরের দিন বিকেল বেলায় পুলিশ ছেড়ে দিয়ে আসাদ (গার্মেন্ট কর্মীকে) আটকে রাখে এবং ষড়যন্ত্র করে ইয়াবা ট্যাবলের মামলায় আসাদসহ একরামুল হক, তানভীর রায়হান ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো: সেলিমকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। অথচ একরামুল হক সহ তার শুভাকাঙ্খি কেউ এই ইয়াবার কথা জানতেন না। যা বর্তমানে কোর্টে বিচারাধীন আছে। অথচ হোটেল এয়ারইন থেকে আকবর হোসেন যে ব্যাগ বহন করেছিলেন ঠিক ¯েœা হোয়াইট এ্যাপারেলস এর সামনে পুলিশ যখন তাকে গ্রেপ্তার করে ওই সময় ব্যাগটি তার কাছেই ছিল। যাহা পরে আকবর হোসেন তার বন্ধুমহলের কাছে স্বীকার করেন।

এতো ঘটনার পরও একরামুল হক তার থাইল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি দেখতে যেতে পারেন না । এখানেও আকবর হোসেন আরও একটি জাল জালিয়াতি করে একরামুল হক ও তানভীর রায়হানের থাইল্যান্ডের ভিসা বাতিল করান যাতে প্রতিষ্ঠানটি পুরো দখল করতে পারেন। পরবর্তীতে তানভীর রায়হান আরেকটি নতুন কোম্পানী নিবন্ধন করে তার পাসপোর্টে থাইল্যান্ডের ভিসা সংযুক্ত করেন। এতো গেলো তাদের মামলার বিষয় এরপর একরামুল হক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশে ও থাইল্যান্ডে অবস্থিত দূতাবাসে একাধিকবার আকবর হোসেন এর নামে লিখিত অভিযোগ জানায়। তাছাড়াও গত ০২/১২/২০১৮ ইং তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়োজিত মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। যার ফলস্বরুপ মন্ত্রী মহোদয় ”বিষয়টি দেখুন” মর্মে ডিজি (পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন) অফিসারকে মার্ক করেন। কারন আকবর হোসেন বাংলাদেশের নাগরিক এবং একরামুল হক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে গত ০৯.০৪.২০১৯ ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ জানান। তিনিও থাইল্যান্ডে নিয়োজিত বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতকে অভিযোগপত্রটি প্রেরণ করে এ বিষয়ে একরামুল হককে সহযোগীতা ও বিষয়টি সঠিকভাবে নিষ্পত্তির জন্য নিদের্শ দেন।

অপরদিকে, আকবর হোসেন ও তার ভাই মোজ্জাম্মেল হক গত ২৭/০৯/২০১৯ ইং তারিখ রাতে আনুমানিক ৩:০০ ঘটিকার সময়ে থাইল্যান্ডের পাতায়া শহরে মোঃ সেলিম ও তানভীর রায়হানের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার পর পাতায়া থানায় তানভীর রায়হান ও মো: সেলিম একটি মামলা করেন এবং সাথে সাথে থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে লিখিত ভাবে অবহিত করেন। এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ দাখিল করার ফলে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতারক ও সন্ত্রাসী আকবর হোসেন-এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাতায়া পুলিশ সুপারকে পত্র মারফত অনুরোধ করেন। এছাড়াও বর্তমানে আকবর হোসেন থাইল্যান্ডে কর্মরত প্রত্যেক বাংলাদেশীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ২ হাজার থাইবাথ চাঁদা তুলেন এবং অনেক ভারতীয় ও মিয়ানমারের নাগরিকদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করেন মর্মে জানা গেছে। এতো ঘটনার পরও আকবর হোসেন বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে নতুন নতুন ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও লোকমুখে শোনা যায় তার বড় ভাই আনু (ডাক নাম) প্রতারনা করে প্রায় দশ লাখ থাইবাথ (বাংলাদেশী টাকায়-প্রায় ২৮ লাখ টাকা) টাকা নিয়ে জার্মানীতে পালিয়ে যায়। লোকমুখে আরো শোনা যায়, প্রতারক আকবর হোসেন নোয়াখালী গ্রামের বাড়ীতে তার এক নিকট আত্মীয়ের মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে গ্রাম্য শালিশের নির্দেশে বিয়ে করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে লম্পট আকবর হোসেন থাইল্যান্ডে গিয়ে ঐ মেয়েকে তালাক দেন। এই নিয়ে গ্রামের শালিশকারীরা তাহার পরিবারকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ছিলো বলে এলাকাবাসী জানায়।

এখন প্রতারক আকবর হোসেন বিভিন্নভাবে  সহজ সরল একরামুল হক ও তানভীর রায়হানের নামে মিথ্যা প্রচারনা চালানো সহ প্রতিনিয়ত প্রাননাশের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে ও আদালতে বিচারাধীন মামলার বিষয়কে অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করে ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাল করেছে। যা আদালত অবমাননা সহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ বটে। এব্যাপারে সাইবারক্রাইম অপরাধ ও আদালত অবমাননা করার দায়ে একরামুল হক মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। সর্বোপরি লোকমুখে শোনা যায়, প্রতারক আকবর হোসেন একাধিক পাসপোর্ট ইস্যু করিয়ে নিজেই বিপাকে রয়েছে এবং এও শোনা যায় যে, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে তাহার একটি পাসপোর্ট একরামুল হক ও তানভীর রায়হানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আকবর হোসেন প্রতারনা এবং জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট অফিসের মাধ্যমে আরেকটি পাসপোর্ট ইস্যু করে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।

এরপর তার বাবার মাধ্যমে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে নতুন করে আরেকটি পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু একরামুল হক ও তানভীর রায়হানের আবেদন থাকায় আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে নতুন ভাবে আবেদনকৃত পাসপোর্ট না পেয়ে তার বাবা নোয়াখালীতে পালিয়ে যায়। উক্ত প্রতারক আকবর হোসেন এতোই ধুরন্ধর যে, বিষয়টি জানতে পেরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দুতাবাসে প্রতারনার আশ্রয় নেয়। যাতে তার জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনকৃত পাসপোর্টটি বহাল থাকে। যা এখন থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাস অবগত হয়েছেন। সর্বোপরি থাইল্যান্ডে অবস্থানরত প্রতারক আকবর হোসেন, তার ভাই মোজাম্মেল হক ও তাদের বাবা নুরুল হকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

12 − ten =