দুর্নীতির বরপুত্র চট্টগ্রাম খুলশী থানার ওসি প্রণব

0
1017

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে চট্টগ্রামে আবির্ভূত হয়েছেন চট্টগ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী। অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে দুর্নীতির এই বরপুত্রের সহীহ আমলনামা। খুলশী থানার আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার মদ, জুয়া, ইয়াবা, হিরোইন, দেহ ব্যবসা ও ম্যাসেজ পার্লার সহ বিভিন্ন সমাজবিরোধী কর্মকান্ড থেকে ওসি প্রণবের মাসিক আয় অর্ধকোটি টাকার উপরে। “অপরাধ বিচিত্রার” সম্মানিত পাঠক-পাঠিকাদের নিকট দুর্নীতির বরপুত্র ওসি প্রণবের সহীহ আমলনামা নিম্নে তুলে ধরা হল:-

* খুলশী থানার আওতাধীন ঝাউতলা রেলগেইট থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত এলাকায় বসবাসরত সমাজবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের নিয়ে মাসিক মোটা অংকের মাসোহারার ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে শতাধিক ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ও গ্রাম সিএনজি গাড়ি অবৈধভাবে চলাচল করছে ওসি প্রণবের নির্দেশে। পুলিশের পবিত্র পোশাক পড়ে আইনের রক্ষক হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্যের দু:সাহস কোথায় পান ওসি প্রণব এই প্রশ্ন এখন সকলের।

* খুলশী থানা থেকে মাত্র এক হাজার গজ দূরে “রেখা হাউজ” নামক বিল্ডিংয়ে ওসি প্রণবের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে চলছে রমরমা  দেহ ব্যবসা। উক্ত রেখা হাউজে প্রথম থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত স্থানীয় কতিপয় মাস্তানের পাহাড়ায় এই দেহ ব্যবসা চলে। আলোচিত রেখা হাউজের মালিক হচ্ছেন “রেখা” যিনি ডন রেখা নামে সমাধিক পরিচিত এবং তার বোন মীম এই ডন রেখা ও মীমের সাথে ওসি প্রণবের রয়েছে গভীর সখ্যতা। উক্ত ডন রেখা দম্ভোক্তি করে সবাইকে বলে বেড়ায় ওসি প্রণব আমার কথায় উঠে বসে। কেউ আমার কিছু করতে পারবে না। উক্ত ডন রেখার নিয়ন্ত্রণাধীন আরো পাঁচটি মধুকুঞ্জ রয়েছে খুলশী থানাধীন এলাকায়। এইসব মধুকুঞ্জ থেকে ওসি প্রণবের মাসিক আয় প্রায় বিশ লক্ষ টাকার উপর। উক্ত মধুকুঞ্জগুলোতে মাঝে মাঝে ওসি প্রণব তার দুর্নীতিবাজ পুলিশ বন্ধুদের নিয়ে  যাতায়াত করেন। সমাজ নষ্টের অন্যতম অনুষঙ্গ এইসব মধু কুঞ্জ গুলোতে অবাধে যাতায়াত করছে  কলেজ ও ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা।

* ওসি প্রণবের সাথে যোগাসজশের মাধ্যমে ওমরগণি এম ই এস কলেজের সাবেক ভিপি ওয়াসিম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জসিমের নেতৃত্বে মমতা ভিলা, উত্তর খুলশী ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টার, লেক ভিউ রিসোর্ট, উত্তর খুলশীর এক নম্বর রোডের মুখে এবি ব্যাংকের হিলভিউ রিসোর্ট, ফয়েজ লেক, রিয়েল পার্ক আবাসিক হোটেল এইসকল জায়গায় চলছে রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসা। এই সকল অন্ধকার জগতের অন্যতম পৃষ্টপোষক ওসি প্রণব। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে এই সমস্ত জায়গা থেকে।

* খুলশী থানার আওতাধীন নাসিরাবাদ আপন নিবাসের পাশে তানিম ম্যাসেজ পার্লারের মালিক দেহ ব্যবসায়ীদের সম্রাজ্ঞীনি তানিয়া। এই তানিয়ার সাথে রয়েছে ওসি প্রণবের দহরম মহরম। এই ম্যাসেজ পার্লার থেকেও নিয়মিত বখরা পান ওসি প্রণব।

* খুলশী থানার আওতাধীন তালতলা গীর্জার পিছনে শান্তির পাহাড়ে, জনৈক বেলাল মিয়ার নেতৃত্ব জুয়ার বোর্ড পরিচালিত হতো, যা এরশাদের জুয়ার বোর্ড নামে পরিচিত। উক্ত বেলাল ডাকাত বেলাল নামে পরিচিত ছিলো। অপরাধ জগতে সুস্থ জীবনে ফিরতে চেয়েছিলেন এই বেলাল। ওসি প্রণবের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বহু টাকার বিনিময়ে সে থানায় আত্মসমর্পণ করেছিলো। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও ওসি প্রণব তার কথা রাখেন নি। থানা হেফাজতে থাকার পরও তাকে ক্রস ফায়ারে দেন ওসি প্রণব। এই ঘটনা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো ব্যপক বিক্ষোভ করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে থানা হেফাজতে কাউকে ক্রস ফায়ার দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এটা করে দেখিয়েছেন ওসি প্রণব। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনা পুরো পুলিশ প্রশাসনের অর্জিত সুনামকে ব্যপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

* ওসি প্রণবের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে খুলশী থানার লালখান বাজার এলাকায় এ কে খান এন্ড কোম্পানীর মালিকানাধীন নিকেতন পাহাড়ে পরিত্যক্ত ভবনের রফিক ও জাহাঙ্গীর সমন্বয়ে পরিচালিত হয় জুয়ার আসর। হোটেল সিলমুন ওয়াসার মোড় হোটল কর্তৃপক্ষের দ্বারা জুয়া খেলা পরিচালিত হয়, মতিঝর্ণা পাহাড়ের উপরে খামারে জুমার আইয়ুব আলী মো: সোলায়মান, মো: সোবাহান রুবেল, খোকন, রফিক কোম্পানীর এই জুয়ার বোর্ডের নেতৃত্বদানকারী। এখান থেকেও নিয়মিত বখরা পেয়ে থাকেন ওসি প্রণব।

* খুলশী থানাধীন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ওসি প্রণবের দহরম মহরম এখন ওপেন সিক্রেট। এই সমস্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের থেকে তার মাসিক আয় প্রায় দশ লক্ষাধিক। এই সমস্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও কিছু অপরাধীদের নামের তালিকা তুলে ধরা হলো-খোদেজা ওরপে আবু বউ। স্বামী আবু, চোরাই মদ বিক্রেতা। লোকশন-লাল খান বাজার, মতিঝর্ণা ১নং গলির শেষ মাথায়। রাবেয়া, স্বামী-মাফির হোসেন। লোকেশন-লাল খান বাজার, মতিঝর্ণা ১নং গলির শেষ মাথায় খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা তার নামে খুলশী থানায় মামলা আছে। মামলা নং-০৫, তাং ০২/০৪/২০১৪ইং ধারা ১৯৯০ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ৯ (ক) বেলাল (৪৫) পিতা: রফিক ব্যবসা খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা লোকেশন লাল খান বাজার মহিঝর্ণা ৩নং গলি খুলশী থানায় কোন মামলা নাই। সুমন (৩০) পিতা: গাঁজা রফিক, ব্যবসা খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৩নং গলি খুলশী থানায় কোন মামলা নেই।

মায়া বেগম (৩২) স্বামী মো: কাজল ব্যবসা ইয়াবা ও হেরোইন খুচরা বিক্রেতা লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৪নং গলি খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। সুমী বেগম (৩০) স্বামী আব্দুল মোতালেব ব্যবসা ইয়াবা ও হেরোইন খুচরা বিক্রেতা লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৪নং গলি খুলশী (সিভিএন সিক্স) সি এম পি জেলা/ইউনিট এর খুলশী থানার এফ আই আর নং-১৫ তাং- ১৯ নভেম্বর  ২০১২ সময় ২-৩০ ঘটিকা দারা ২২ (গ) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলার সে এজাহারে অভিযুক্ত। জুয়েল (৩২) পিতা: মৃত সিরাজ ব্যবসা খুচরা গাঁজা বিক্রেতা লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা, মামলা নেই। বেবী বেগম (৩২) স্বামী হুমায়ন ব্যবসা ইয়াবা, গাঁজা, হোেইন লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। বেলাল (৪০) পিতা: গোফরান মাঝি ব্যবসা ইয়াব ও হেরোইন লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৪নং গলি খুলশী থানায় কোন মামলা নেই।

শাহ আলম (৪২) পিতা: মৃত বদি মিয়া, ব্যবাস হেরোইন বিক্রেতা লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৪নং গলি খুলশী (ফোরভিকিউনাইন) সি এম পি জেলা ইউনিট এর খুলশী থানার এফ আই আর নং-০৮ তারিখ ০৬ মার্চ ২০০৭ সময় বিকেল ৭-৩০ ঘটিকা ধারা-১৯ (১) এর (ক) ১৯৯০ মাদ দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলা। মুন্নী স্বামী হোসেন পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৪র্ন-গলি, খুলশী, থানায় কোন মামলা নেই। সাক্কুনির মা, (৪৫) পেশায় খুচরা চোলাই মদ ও ইয়াবা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, জোড়া খাম্বার গোড়া খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। হাসিনার মা, (৫০) স্বামী মুসলিম পেশায় খুচরা চোলাই মদ বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, জোড়া খাম্বার খুলশী থানায় কোন মামলা নেই।

বাচ্চু (৪৮) পিতা: অজ্ঞাত পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, ৫নং গলি খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। হোসনে আরা বেগম (৪০) স্বামী মোমিন মিয়া, পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, ৫নং গলি খুলশী (ফোরভিটিএস) সি এম পি জেলা/ইউনিট এর খুলশী থানার এফআইআর নং-১০তাং ১১ই মার্চ ২০০৭ সময় ৮.৩০ ঘটিকা ধারা ২২ (গ) / ৩৩ (২) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলায় সে এজাহারভুক্ত আসামী।

রোকসানা বেগম (৩৫) স্বামী অজ্ঞাত পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বাটালি পাহাড়েরর পার্শ্বে মুক্তিযোদ্ধা সলু কমান্ডারের বাড়ী খুলশী, থানায় কোন মামলা নেই। মুন্নী বেগম (৩২) স্বামী শাহাবউদ্দিন পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা ১০ নং গলি মসজিদের পার্শ্বে খুলশী, থানায় কোন মামলা নেই। মাসুম (৩২) স্বামী শাহাবউদ্দিন পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা ১০নং গলি মসজিদের পার্শ্বে খুলশী, থানায় কোন মামলা নেই। মাসুম (৩২) পিতা: আলী পেশায় খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা ১০ নং গলি মসজিদের পার্শ্বে (এফইএইচথ্রি) সি এম পি খুলশী থানার এফআইআর নং ১৬ তাং ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সময় ১২.৪৫ ঘটিকা ধারা ১৯ (১) এর ৯ (ক) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলায় সে এজাহারভুক্ত আসামী। নুরু (ওরফে মদ নুরু) (৫৫) পিতা: মৃত নজির আহম্মেদ, পেশায় চোলাই মদ বিক্রেতা, এলাকা লালকান বাজার মতিঝর্ণা, বালুর মাঠের পার্শ্ব, খুলশী থানায় কোন মামলা নেই।

ফাতেমা বেগম (ওরফে বেগমী) (৫৫) স্বামী মো: ফুল মিয়া, পেশায় চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বালুর মাঠের পার্শ্বে গার্লস স্কুলের পিছনে, খুলশী (সেভেনএলনাইনওয়ান) সি এম পি জেলা ইউনিট খুলশী থানার এফআইআর নং ২৪, ২৬ শে আগস্ট ২০০৭ সময় ৬ ঘটিকা ধারা ১৯ (১) এর ১ (ক) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলায় সে এজাহারভুক্ত আসামী। ঝানু বেগম (৪৮) স্বামী জজ মিয়া, পেশায় চোলাই মদ বিক্রেতা, এলাকা মাষ্টার লেইন ঝিলের পাড় সেন্স জেভিয়ার্স স্কুলের পিছনে, তাহের ঠাকুরের বস্তি খুরশী, থানায় কোন মামলা নেই। শাবনূর বেগম (৫০) স্বামী ইউনূস পেশায় চোলাই মদ বিক্রেতা, এলাকা মাষ্টার লেইন ঝিলের পাড় সেন্স জেভিয়ার্স স্কুলের পিছনে, তাহের ঠাকুরের বস্তি খুলশী (আইআরএইটনাইন) সি এম পি জেলা ইউনিট খুলশী থানার এফআইআর নং-০৩ তাং ৫ ই জানুয়ারী ২০০৫ সময় ২.৩০ ঘটিকা ধারা ২২ (গ) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলায় সে এজাহারভুক্ত আসামী।

জাকির হোসেন (৪০) পিতা: মৃত: সায়েদ হোসেন চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা মাষ্টার লেইন ঝিলের পাড় সেন্স জেভিয়ার্স স্কুলের পিছনে, তাহের ঠাকুরের বস্তি খুলশী, (ভিথ্রিজিওয়াই) সি এম পি জেলা ইউনিট খুলশী, এফআইআর নং-০৪ তাং ১ জুলাই ২০১৪ সময় ৪.২৫ মি: ধারা ২২ (গ) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলায় সে এজাহারভুক্ত আসামী। হুক্কি (৩৫) স্বামী তাহের ঠাকুর পেশায় চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা মাষ্টার লেইন ঝিলের পাড় সেন্স জেভিয়ার্স স্কুলের পিছনে তাহের ঠাকুরের বস্তি খুলশী, থানায় কোন মোমলা নেই। শিল্পী আক্তার (৩০) স্বামী কালাম পেশায় গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা মাষ্টার লেইন ঝিলের পাড় জাকিরের চায়ের দোকানের পার্শ্বে, পাহাড়ের উপরে টেলিভিশন সেন্টারের পিছনে, খুরশী থানায় কোন মামলা নেই।

নাসিমা বেগম (৩২) স্বামী জসিম, পেশায় চোলাই মদ বিক্রেতা এলাকা ওয়ার্লেস কলোনী, ৮ নং লেইন অবাঙ্গালী (বিহারী) রেলওয়ে কোর্টার খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। শানু বেগম (৫০) পেশায় চোলাই মদ বিক্রেতা, এলাকা মাস্টার লেইন ঝিলৈর পাড় ঝিলের পাড় সেন্স জেভিয়ার্স স্কুলের পিছনে, তাহের ঠাকুরের বস্তি খুলশী। বেগমী (৫৫) পেশায় চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বালুর মাঠের পার্শ্বে, গার্লষ স্কুলের পিছনে খুরশী। হোসেনের বউ মুন্নী (৩৮) পেশায় গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, ১নং গলি খুরশী। কহিনূর পেশায় ইয়াবা বিক্রেতা, লালখান বাজার মতিঝর্ণা, ১নং গলির শেষ মাথা খুলশী।

সিএমপির আওতাধীন চট্টগ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খুলশী থানার ওসি প্রণবের এমন বেপোরোয়া দুর্নীতি বর্তমানে চট্টগ্রামবাসীর মুখে মুখে। দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার অন্যতম দক্ষ, চৌকষ ও পরিশ্রমী পুলিশ বাহিনীর ভিতরে এমন দুর্নীতিবাজ ওসি প্রণব কিভাবে এখনও বহাল তবিয়তে আছেন তা সত্যিই বিষ্ময়কর। কথায় আছে “ছাগল নাচে খুটির জোরে, দুর্নীতির বরপুত্র ওসি প্রণব নাচেন কার জোরে————–,,,।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 2 =