ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী রাঙ্গুনিয়ার প্রতারক তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার ওরফে রিমন এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে

0
893

মোঃ কামাল হোসেনঃ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারণা করে অর্ধকোটি টাকা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়া চিহ্নিত প্রতারক মো. তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার ওরফে রিমন এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। প্রতারক রিমন রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড এলাকার হাকিম বক্সের পুত্র। জানাযায় প্রতারক রিমন সম্প্রতি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার রিপোর্টে উঠে আসা রাউজানের মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ী খ্যাত হাসান মাহমুদ নাছির এর প্রধান সহযোগী। দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর গা-ঢাকা দিয়েছিল ইয়াবা কারবারি নাছির। জানাযায়,বিভিন্ন আশ্বাস ও কৌশলে সম্পর্ক স্থাপন করে ব্যবসায়ীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে অনেক মানুষকে নিঃস্ব করলেও বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় রাঙ্গুনিয়ার প্রতারক তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার ওরফে রিমন। রিমন কর্তৃক প্রতারিত ভুক্তভুগীরা জানান, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন প্রবাসী ব্যবসায়ীর সাথেও প্রতারণা করে রিমন অর্ধকোটি টাকা সহ মূল্যবান সরঞ্জাম হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারণা ও চেক জালিয়াতি সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় করা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। সর্বশেষ রাঙ্গুনিয়া থানায় করা একটি মামলায়ও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক দল গড়ে তুলে দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়ে ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, প্রতারক রিমনকে গ্রেপ্তার করা গেলে প্রতারক চক্রের বাকী সদস্যদেরও ধরা সম্ভব হবে এবং ভোক্তভোগীরা তাদের টাকা ও মারামাল ফেরত পাবে।

রিমনের প্রতারনার শিকার রাঙ্গুনিয়ার পদুয়ার ভুক্তভোগী প্রবাসী রাসেল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একই গ্রামের লোক হওয়ায় দুবাইয়ে রিমন বেড়াতে গেলে আমি তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করতাম। আমার বাসায় তাকে দাওয়াত দিতাম, ভালভাবে খাওয়াইতাম। কিন্তু সে আমার সাথে সুন্দর সুন্দর কথা বলে আমার টাকা ও দামি মালামাল আমার বাড়ীতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে আত্বসাৎ করেছে। সে আমার সাথে এতবড় প্রতারণা করবে কখনো কল্পনা করিনি।

এছাড়াও একই ভাবে অন্যান্য আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও রিমন মূল্যবান সরঞ্জাম সংগ্রহ করে দেশে ফিরে। সবমিলিয়ে নগদ টাকা সহ অর্ধকোটি টাকার মালামাল নিয়ে দেশে ফিরেই তিনি লাপাত্তা হয়ে আমি সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সর্বশান্ত করেছে। এই বিষয়ে দীর্ঘদিন খুঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে খবর নিয়ে দেখি শুধু আমাদের সাথে নয়, দেশে বেশ কয়েক বছর ধরে সে একই ভাবে প্রতারণা করে মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে

প্রতারক রিমন ও নাছির বর্তমানে দুবাইয়ে পলাতক রয়েছে।

জানাযায়  জাওয়াদ হোসেন, পিতা- জাকির হোসেন, পেশা ব্যবসা, মুহাম্মদ আরমান, পিতা – মশিউর রহমান, পেশা- ব্যবসা, হাটহাজারী, মাদার্শা, চট্টগ্রাম। মুহাম্মদ জাহেদ , পিতা – ইউনুস মিয়া, দুবাই প্রবাসী,

হোসেন মাহমুদ , পিতা – মৌলভী নুরুল আলম , বাড়ি – ১০ নং পদুয়া ইউনিয়ন, জয়নগর , রাংগুনিয়া, দুবাই প্রবাসী।  মুহাম্মদ হান্নান , পিতা – আমিরুল ইসলাম , ঠিকানা – বোয়ালখালী, খরনদ্বীপ, চট্টগ্রাম। মুজাহিদুর রহমান, পিতা – হাবিবুর রহমান, ঠিকানা- উত্তর মাদার্শ, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, এরাও প্রতারক তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার ওরফে রিমন এর প্রতারণার শিকার হয়েছে।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী রাসেল করিম চট্টগ্রাম আদালতে (সি আর ১৫১/১৯ রাঙ্গুনিয়া) মামলা দায়ের করলে আদালত তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতারক রিমনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছেন।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার নবনিযুক্ত ওসি মাহাবুব বলেন, সি আর মামলা নং ১৫১/১৯ এ ‘প্রতারণা মামলায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়ার তোফাজ্জল হোসেন তালুকদার ওরফে রিমন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × five =