রাজধানীর উত্তরার ৯নং সেক্টরের সুলতান চেয়ারম্যানের বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।রোববার দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মানসী বিশ্বাস ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মীরাজের সমন্বয়ে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দুদক টিম ওই এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকার প্রমাণ পেয়েছে।
অভিযানকালে, একটি বাড়িতে দুইটি রাইজারে ১০টি সংযোগের স্থলে ১৩টি সংযোগ পাওয়া যায়। দুদক টিম তিতাসের কুড়িল জোন-০৯ এর সার্ভেইলেন্স কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় অবৈধভাবে ব্যবহৃত অতিরিক্ত তিনটি গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করে সিলগালা করে দেয়।
ওই এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়ির গ্যাস সংযোগগুলো বিস্তারিত যাচাই-বাচাই করে অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করে নীতিমালা অনুযায়ী পেনাল্টি আরোপ করাসহ তিতাসের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে দুদক টিম।
এদিকে কুষ্টিয়ার খোকসা কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য এবং কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আসে দুদক অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬ এ। এর প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়া হতে আজ অভিযান পরিচালিত হয়।
কুষ্টিয়ার খোকসা কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ এবং কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে মর্মে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযানকালে ওই কলেজের শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ ও কেনাকাটা সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করেছে দুদক টিম।
কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এবং অধ্যক্ষের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে মর্মে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ বিষয়ে টিম পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।
