Site icon Aparadh Bichitra

কোনো এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলেই দল থেকে বহিষ্কার : ওবায়দুল কাদের

কোনো এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলেই দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এতে দলের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে। সরকার এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন এমপির ব্যাংক হিসাব তলব করেছে এনবিআর। দুদক তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দল কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না? জানতে চাইলে কাদের বলেন, অভিযোগটা যখন চার্জশিটে চলে যাবে, অভিযোগটা প্রমাণ হবে, যখন তার দণ্ড হবে, তখন তাকে আমরা দল থেকে বহিষ্কার করব; কিন্তু অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগে আপনি কিভাবে শাস্তি দেবেন? যে অভিযোগ এসেছে, সেটিতো পুরোপুরি সত্য না-ও হতে পারে। একজন নারী সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় জালিয়াতি প্রমাণ হওয়ায় তাকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করেছে। তার বিরুদ্ধে আপনারা কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না? এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, দলের পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি আলোচনা করা হবে। তিনি দলের এমপি। তাই

দলীয় সভায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। আর পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রে জাতীয় সংসদের অভিভাবক স্পিকার। তার গোচরে বিষয়টি নিশ্চয় আছে। তিনিও ব্যবস্থা নিতে পারেন। সেটি দেখার বিষয়। গণপরিবহনে বিকল্প ব্যবস্থা রেখেই ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পক্ষে মত দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে দুর্ভোগে না পড়ে, সে ব্যবস্থা রেখেই অভিযান চালাতে হবে। আর যেসব গাড়ি সড়কে চলাচল করে তার বেশির ভাগেরই ফিটনেস নেই। অভিযান শুরু করলে এর এক-তৃতীয়াংশই চলাচল করতে পারবে না। আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া সড়ক পরিবহন আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, এই আইনের আলোকেই বিধি তৈরি করা হবে। আগে এ-সংক্রান্ত আইন না থাকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি এত দিন। এবার আইন কার্যকর হলে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। চাঁদাবাজিও কমে যাবে। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভার মঞ্চ থেকে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর স্ত্রীকে নামিয়ে দেয়ার ঘটনা সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাদের বলেন, সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই আমি এ ঘটনা জানতে পেরেছি। এ ঘটনা জানার পরে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মেয়র জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা মঞ্চে বসবেন সে ক্যাটাগরি ভাগ করা ছিল, সেখানে মহিউদ্দীনের স্ত্রীর নাম ছিল না।

তবে আমার নিজের সামনে এ ঘটনা ঘটতে দেয়া হতো না বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।