রুপপুর আনবিক প্রকল্পের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ১৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত

0
617

পাবনা প্রতিনিধি: ঈশ্বরদীর পারমানবিক বিদ্যুত প্রকল্পের বালিশ কান্ডের দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১৭ জুলইি দুদকের উপ-পরিরচালক নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল মাঠে নেমেছে বলে বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্রাচার্য্য। এই অনুসন্ধান দলের অপর দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মো: আতিকুর রহমান ও সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রীণসিটিতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মানাধীণ গ্রীণসিটি আবাসিক প্রকল্পের ২০ তলা ও ১৬ তলা ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে মালামাল উত্তোলনে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে গত ১৯ মে গৃহায়ণ  ও গণপূর্ত মন্ত্রনালরয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দুর্নীতির  নমুনা তুলে ধরে গনমাাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে একটি বালিশের পেছনে  ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে বালিশের দাম ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা, আর বালিশ ফ্লাটে তোলার জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই কমিটির তদন্তেই ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার  টাকার অনিয়ম ধরা পড়ে।  হাইকোর্টের নির্দেশে গত জুলাই মাসে জমা দেওয়া এই তদন্ত প্রতিবেদনে ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়।

গ্রীণসিটির আবাসিক প্রকল্পে নিত্য প্রয়োনীয় জিনিস কেনা ও তোলায় অনিয়ম নিয়ে গত ১ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রুপপুর গ্রীনসিটিতে যে, ২০তলা ১১টি ও ১৬তলা ৮টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সকল ভবনের ফ্ল্যাটের জন্য একটি বালিশ ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা ও ভবনে তা তোলার জন্য ৭৬০ টাকা ব্যয় ধরা হয়েচে। এ ছাড়া প্রতিটি রেফ্রিজেরেটররের জন্য দাম ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা, তা তোলার জন্য ১২হাজার ৫২১ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। একটি খাটের দাম ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা তা তুলতে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা,  প্রতিটি টেলিভিশন ৮৬ হাজার ৯৭০ টাকা, তা তুলতে ৭ হাজার ৬৩৮ টাকা, প্রতিটি ওয়ারড্রপ ৫৯ হাজার ৮৫৮ টাকা, তা ওঠােেনার খরচ  ১৭ হাজার ৭৯৯ টাকা।

এমনি ভাবে বৈদ্যুতিক চুলা, কেটলি,  রুম পরিস্কার করা মেশিন, ইলেকট্রিক আইরন, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদী কেনা কাটা  ও ভবনে তুলতে অস্বাভাবিক খররচ দেখানো হয়েছে। আর সেটি তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে দুদক। এদিকে প্রকল্পের দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ গনপূর্ত অধিদফতরের ১৬ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্থ করা হয়েছে।

সেই সাথে ১৪ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দােেয়র করা হয়েছে। বরখাস্থরা  হলেন মো: সফিকুল ইসলাম, মো: আবু সাঈদ, মো: সাহিন উদ্দীন, মো: জাহিদুল কবীর, মো: রফিকুজ্জামান, সুমন কুমার নন্দী, মো: ফজলে হক, মো: রওশন আলী, মো: আমিনুল ইসলাম, মো: রুবেল হুসাইন, মো: তারেক, আহম্মেদ সাজ্জাদ খাঁন, মো: মোস্তফা কামাল, মো: তাহাজ্জুত হোসেন ও একে এম জিল্লুর রহমান।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nine − 9 =