উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ এর উপ-কর কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামানের দুর্নীতি

0
708

ষ্টাফ রির্পোটার: বর্তমান চলমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশিল সমাজ সহ দেশের সাধারণ জনগন। শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তার নিজের দলের লোকদের ছাড় দেননি। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ এর উপ কর কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান তার দুজন টেন্ডুলারের মাধ্যমে অঞ্চল-১ কে দুর্নীতির আস্থানা বানিয়েছে। শুধু তাই না তাদের অত্যাচারে করদাতা বাড়ীর মালিক সর্বক্ষন আতঙ্কে থাকে। অপরাধ বিচিত্রার দীর্ঘ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর  সব তথ্য। টেন্ডুলা আলতাফ হোসেন বিদ্যুৎ বিভাগে (এম.এল.এস.এস) পদে চাকুরী করলেও তাদের কাছে করদাতা ও বাড়ীর মালিকরা জিম্মি হয়ে আছেন। ওহিদুজ্জামানের দায়িত্ব প্রাপ্ত ১৭নং ওয়ার্ডের খিলক্ষেত থানা এলাকা। এ এলাকায় টেন্ডুলা আলতাফ হোসেন ও রনি মিলে বিভিন্ন বাড়ীর মালিক যারা বাড়ীতে থাকে না কিন্তু নিজ দেখিয়ে সরকারের ধার্য কর থেকে কয়েকগুন কম দেখিয়ে কর ধার্য করে নিজেরা লাভবান হচ্ছে আর সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। তারা বাড়ীর আয়তন কম দেখায়, বাড়ী নির্মানের সঠিক তারিখ দেখায় না। যার কারনে বাড়ীর মালিকের সাথে সক্ষ্যতা গড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করে চলেছে। তাদের সাথে যে সকল করদাতা বা বাড়ির মালিক ঘুষ দিতে রাজি হয় না তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয়। এ কারণে এলাকার সাধারণ জনগন ক্ষুদ্ধ।

অভিযোগ আছে বিগত বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে চাকুরীতে যোগদান করা ছাত্র দলের কেডার শেখ ওহিদুজ্জামান দুরদান্ত প্রতাবের সাথে অপকর্ম করে যাচ্ছে। খিলক্ষেত থানা এলাকার দুজন বাড়ীর মালিকের নিকট থেকে বিভিন্ন সুবিধার কথা বলে ৪ লক্ষ টাকার ঘুষ নিয়েছেন টেন্ডুল আলতাফ হোসেন। বাড়ীর মালিকের নাম হেলাল। বাড়ী নং- ক/১৪৭/৩/বি, আবুরটেক ও ক-২২৯, খিলক্ষেত নামাপাড়া, বোডঘাট উক্ত বাড়ী দুটি ৬/৭ তলা বিশিষ্ট ফ্ল্যাট বাড়ী।

টেন্ডুলা, আলতাফ ও রনির ঘুষ বাণিজ্যের কারনে বিভিন্ন বাড়ীর কর ধার্য হচ্ছে না।  উক্ত ঘুষের টাকা একটি বড় অংশ যায় ওহিদুজ্জামানের পকেটে। এ ব্যাপারে ওহিদুজ্জামানকে ফোন করলে তিনি এই প্রতিবেদকে জানান বিষয়টি আমি জানি না। এছাড়া অঞ্চল-১ এর কর কর্মকর্তা লিয়াকত আলী মিয়া তার আজ্ঞাবহ ২০/২৫ জন টেন্ডুলার মাধ্যমে অঞ্চল-১ কে তাদের নিজেদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বানিয়েছে।

লিয়াকত আলী ও তার টেন্ডুলাদের নিয়ে কিছু তথ্য সংযোজন করা হলো। লাইসেন্স সুপার ভাইজার মোস্তাফিজুর রহমানের টেন্ডুলা মাসুদ বকশী। বর্তমানে সে দক্ষ শ্রমিক কর্মচারী। সে লাইসেন্স সুপার ভাইজারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আতাউর রহমান শ্রমিক লীগের সভাপতি আ: রশিদের ভাই সে লক্ষ লক্ষ ভ্যাটের টাকা আত্বসাৎ করে পুনরায় লাইসেন্স সুপারভাইজারের পক্ষে টেবিলে বেসেছে। তাদের কারনে ব্যবসায়ীরা আজ অতিষ্ট। মোস্তাফিজুর রহমানের টেন্ডুলা অশোক দত্ত। সোহেল রানার টেন্ডুলা গণ হলেন সুমন, উজ্জল, সাইফুল ও হীরণ।

হিসাব সহাকারী গোলাম মওলার টেন্ডুলা সেলিম। রেভিনিউ সুপার ভাইজার শাহীনের টেন্ডুলা আমির হোসেন, রেভিনিউ সুপার ভাইজার আবুল কালাম আজাদের টেন্ডুলা জাকারিয়া, রেভিনিউ সুপারভাইজার মেহেদী হাসানের টেন্ডুলা বৌধ্য, রেভিনিউ সুপারভাইজার সৈকত আলী টেন্ডলা ফারুক হোসেন। উপরকর কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের টেন্ডুলা ফাহিম ও রাব্বি। এইসব নিয়ন্ত্রন করে কর কর্মকর্তা লিয়াকত আলী।

আর এ সকল টেন্ডুলার আয়ের বড় অংশ যায় লিয়াকত আলীর পকেটে। যে কারনে অঞ্চল-১ এ স্বল্প সময়ে যোগদান করলেও হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন লিয়াকত আলী। উত্তরায় বেশ কয়েকটি আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে, ব্যবহার করেন দামী বিভিন্ন ব্রান্ডের গাড়ী।

স্ত্রী সন্তানের নামে বেনামে ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। লিয়াকত আলী নিজেকে মেয়রের ছোট ভাই বলে পরিচয় দেয়। যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তিনি হাসিমুখে এক বাক্যে বলেন ভাই এসব মিথ্যা কথা ভাল করে অনুসন্ধান করেন গাড়ী, বাড়ী যা পাবেন সব আপনাদের দিয়ে দিব। এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান চলছে। আগামী সংখ্যায় ছবি সহ থাকছে বিস্তারিত।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × 3 =