উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য এটি একটি পদক্ষেপ

0
684

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ) কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম এই এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া চলতি নভেম্বরেই শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সব কার্যক্রম শুরুতে এখন শুধু প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চূড়ান্ত অনুমোদন।

আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত অনুমোদনের চিঠি পাঠানো হবে বলে ইউজিসি সূত্র জানিয়েছে।

প্রথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানীর তেজগাওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পুরোনো চারতলা ভবনে কার্যক্রম শুরু করবে। পাশাপাশি নিকটবর্তী কয়েকটি ভবন ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে লালমনিরহাটের সাবেক বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস প্রস্তুতের কাজ চলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিমানবন্দরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি শাখা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই আশকোনাতে নির্মাণ করা হবে।

দেশে অ্যারোনটিক্যাল ও অ্যারোস্পেস বিদ্যার প্রসারের জন্য মূলত প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বিএসএমআরএএইউ। সেখানে এভিয়েশন ক্ষেত্রে পাইলট, এভিয়েশন বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার এবং এ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অ্যারোস্পেস গবেষণার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উড়োজাহাজ নির্মাণ, মেরামত, স্যাটেলাইট নির্মাণ এবং লঞ্চিং বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে।

বিএসএমআরএএইউ’এর উপাচার্য এয়ার ভাইস-মার্শাল এএইচএম ফজলুল হক বলেন, দেশে এভিয়েশন সেক্টরে দক্ষ মানবসম্পদের প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে স্থানীয়ভাবে অ্যারোনটিক্যাল ও অ্যারোস্পেস বিশেষজ্ঞ তৈরিতে সহায়তা করবে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য এটি একটি পদক্ষেপ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম

বিএসএমআরএএইউ প্রাথমিকভাবে তিনটি স্নাতক ও দুটি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ১০০ থেকে ১৫০ জন শিক্ষার্থী নেবে।

এভিয়েশন অপারেশন ম্যানেজমেন্ট, এভিয়েশন সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ও এয়ারক্রাফট মেইনটেইনেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা যাবে।

অপরদিকে স্নাতকোত্তর করা যাবে এভিয়েশন অপারেশন ম্যানেজমেন্ট ও অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’এ। পাশাপাশি আগামী বছরে ফ্লাইট মেইনটেইনেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সাত ফ্যাকাল্টি ও চার ইন্সটিটিউটের অধীনে ৩৭টি ডিপার্টমেন্ট থাকবে।

বিএসএমআরএএইউ উপাচার্য ফজলুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিকমানের হবে। বেশ কয়েকটি দেশের সহায়তায় এর কার্যক্রম প্রস্তুত করা হচ্ছে।

ইউজিসি’র পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন বলেন, বিএসএমআরএএইউ কর্তৃপক্ষ থেকে তারা অনুমতি চেয়ে একটি চিঠি পেয়েছেন। খুব শিগগিরই ইউজিসির পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “অনুমতি দেওয়ার আগে আমাদের কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই অনুমতিপত্র দেওয়া হতে পারে।”

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 − 8 =