আজমিরিগঞ্জে ভূমিদস্যু সজিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা

0
439

মো: আহসানউল্লাহ হাসান: হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিবের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির মাধমে অন্যের জমি বিক্রি করার দায়ে চেক ডিজঅনারের মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে আদালত। ২সেপ্টেম্বর-২০১৯ হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব আহমেদ তালুকদার এই আদেশ জারি করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভূমিদস্যু সজিব উপজেলার আজিম নগর গ্রামের মরহুম রসিদ বক্সের ৭০/৮০ বছরের রেকর্ডীয় সম্পত্তি হতে ১ একর ৯৮ শতাংশ জমির জাল দলিল তৈরি করে কিছু অংশ একই গ্রামের ফখরুল ইসলামের নিকট বিক্রয় করে ১ লাখ টাকা বায়না বাবদ হাতিয়ে নেয়। কিন্তু ফখরুল ইসলাম পরবর্তী পর্যায়ে সজিবের দেয়া দলিলগুলো যাচাই বাছাই করে দেখতে পান যে উক্ত দলিল গুলো জাল দলিল। অতপর ফখরুল ইসলাম প্রতারক সজিবের কাছে উক্ত টাকা ফেরত চাইলে সে টাকা দেই দিচ্ছি বলে টালবাহান করতে থাকে। একপর্যায়ে প্রতারক সজিব পাওনাদার ফখরুল ইসলামকে পূবালী ব্যাংকের আজমিরিগঞ্জ শাখাধীন ১ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান। ১৪ এপ্রিল-২০১৯ ফখরুল ইসলাম চেকটি উক্ত শাখায় জমা দিলে সজিবের একাউন্টে কোন টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসে। এই প্রেক্ষিতে ফখরুল ইসলাম ২৫ জুন-২০১৯ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু প্রতারক সজিব ক্ষমতার দম্ভে আদালতের মামলার বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল না হয়ে উগ্রতা প্রকাশ করলে আদালত তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

এদিকে প্রতারক সজিব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাধে আজমিরিগঞ্জ থানা পুলিশ ম্যানেজ করে উক্ত মামলার গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলেন এবং ক্ষমতাসীন সরকারী দলের প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় ভূমিদস্যু, জাল দলিল বানানোর মুলহোতা, শিশু অপহরন সহ একাধিক মামলার আসামী আলমাছ মিয়া, সজিবের ক্যাশিয়ার বলে খ্যাত তার আপন মামা ঈদ্রিস মিয়া ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কবীর মিয়াকে নিয়ে একটি একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে সাধারান মানুষের জমিজমা জবরদখলের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। স্থানীয় প্রশাসন তার কথার বাইরে কোন কাজ করে না।

ফলে সাধারন মানুষ আইনের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। সজিব অথবা তার সিন্ডিকেটের কারোর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে পুলিশ দ্বারা হয়রানী করা হয়। একারনে সজিব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। অপরাধ বিচিত্রার তথ্য অনুসন্ধানে সজিব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জমি দখল, চাঁদাবাজী, অপহরন, জাল দলিল সৃজন, জোড়জুলুম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ নানা ধরনের অনিয়মের তথ্যপ্রমান নিয়ে ‘হবিগঞ্জের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান সজিবের ভূমিদস্যুতা দিশেহারা এলাকাবাসী’ শিরোনামে প্রথম পর্বের প্রতিবেদন প্রকাশ পর তার মুখোশ খুলে যায়। এঘটনায় আজমিরিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বচ্ছ নেতাকর্মীরা তাকে যুবলীগের কার্যক্রম থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।

কিন্তু দলীয় পদ টিকিয়ে রাখতে সজিব লোক ভাড়া করে এনে অপরাধ বিচিত্রার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল সহ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এবং অপরাধ বিচিত্রা কর্তৃপক্ষের প্রতি কুৎসা রটনা করেন। তবে সজিব তার অপকর্মের বিরুদ্ধে পরবর্তী সংখ্যায় আবারো সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অপরাধ বিচিত্রিার রিপোর্টারের কাছে অসংখ্য বার ক্ষমা প্রার্থনা করা সহ উৎকোচ প্রদানে প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হন এবং ভুক্তভোগি আমিনুল হক জমি বৈধ মালিক বলে স্বীকার উক্ত সমস্যা সমাধান করে দেয়ার প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু অপরাধ বিচিত্রা অবস্থান সব সময়ই অপরাধীর বিপক্ষে, নির্যাতিতার স্বপক্ষে। 

সুত্র জানায়, ভূমিদস্যু সজিব অপরাধ বিচিত্রায় প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের দৈনিক সমাচার পত্রিকায় একটি প্রতিবাদ লিপি প্রকাশ করায়। তবে উক্ত প্রতিবাদ প্রকাশের জন্য সজিব তার সিন্ডিকেটের সদস্য কবির মিয়া, হেনা আক্তার, ইদ্রিছ মিয়া, তাজ উদ্দিন, আলমাছ মিয়া, আবুল হোসেন, আরিফুর রহমান মাস্টার, মাসুদ মিয়া মাস্টার, নজরুল ইসলাম মাস্টার, রিপন মাস্টার, মনির হোসেন, হারুন সর্দার, মানিক সর্দার, মনোয়ার আলী সর্দার, মকবুল হোসেন মাস্টার এর নিকট থেকেও চাঁদা তুলে মোটা টাকা হাতিয়ে নেন। এদিকে সজিবের অপকর্মের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রকাশের পর থেকে ভুক্তভোগিরা আরো অনেক অভিযোগ নিয়ে অপরাধ বিচিত্রা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। 

পাঠকের সুবিধার্থে প্রথম পর্বের প্রকাশিত সংবাদের কিছু অংশ পুনরায় তুলে ধরা হলো: আজমিরিগঞ্জ উপজেলার আজমিরিগঞ্জ মৌজাধীন ১১৪ নং খতিয়ানে সর্বমোট ৩০ টি এসএ দাগে ১৫ একর ৭৪ শতাংশ ভূমির রেকর্ডীয় মালিক মরহুম রসিদ বকস মিয়া সহ মোট ১১ জন। এর মধ্যে কতিপয় দাগে রসিদ বক্স মিয়া একচ্ছত্র মালিক হলেও এসএ-১৬৮ দাগের ১ একর ৯৮ শতাংশ ভূমিতে রেকর্ডীয় মন্তব্য কলামে একক মালিকানা হওয়া সত্ত্বেও ভুলবশত এজমালী মালিকানায় অন্তভুক্ত হয়। যার অর্থ ১১ জনই সমানভাবে অংশীদার। তবে রসিদ বকস মিয়া জীবিত থাকাকালীন সময়ে ও তাহার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগনের সাথে উক্ত অংশীদারদের (১০জন) সাথে কখনো কোন প্রকার বিরোধ সৃষ্টি হয়নি।

কিন্তু রসিদ বকসের ওয়ারিশ তার নাতি আমিনুল হক উক্ত রেকর্ডে এজমালী বিয়ষটি সংশোধনের জন্য এসিল্যান্ড অফিসে আবেদন জানালে তিনি জানাতে পারেন রেকর্ডীয় ১১ জন মালিকের মধ্য হতে মথুরা নাথ দাস, বঙ্কিম চন্দ্র দাস, রজনী কান্ত দে, সুরেশ চন্দ্র দে, হরেন্দ্র কুমার চৌধুরী, গিরিন্দ্র কুমার চৌধুরী, কমলা চরন দেবী, সচীনন্দন রায়, নারায়ন চন্দ্র রায় ও গোপেন্দ্র রায়ের নিকট হতে এসএ-১৬৮ দাগের ১ একর ৯৮ শতাংশ জমি ৮০০ নং সাবরেজিষ্ট্রার দলিলমুলে ৬ জুন-১৯৬৮ সালে ক্রয়সুত্রে মালিক হয়েছেন একই এলাকার ইন্তাজ আলীর পুত্র আরশাদ আলী। এই দলিল অনুসারে রেকর্ডীয় মালিক রসিদ বকসের অংশ বিক্রিত হয় নাই।

তাহলে রসিদ বকসের অংশ আরশাদ আলী কিভাবে মালিক হলেন। আবার ভূমি সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে উক্ত তারিখের রেজিষ্ট্রিকৃত ৮০০নং দলিলটির অবিনকল উত্তোলন করা হলে দেখা যায়, উক্ত দলিলে জমির মালিক আব্দুর রহমান ও আজিজুর রহমান। মৌজা সোলোরি, বিথাঙ্গল পরগনা, তালুক-২৮৫০৬, খতিয়ান-১৯১, দাগ নং-১৪৯৬, জমির পরিমান-৪২ শতাংশ, উপজেলা আজমিরিগঞ্জ। অর্থাৎ আরশাদ আলীর দাবিকৃত দলিলের সাথে অবিনকলের উল্লেখিত তথ্যের সাথে কোন মিল নেই, শুধুমাত্র ৮০০ নাম্বার ও ৬ জুন-১৯৬৮ তারিখটাই মিল রয়েছে। অথচ এই দলিল (৮০০ নং) বলেই আরশাদ আলী উক্ত জমি বিক্রি করেছে পার্শ্ববতী শরীফনগরের হাফিজউদ্দিনের কাছে। আর হাফিজউদ্দিনের ওয়ারিশরা উক্ত দলিল বলে জমির মালিকানা দাবী করে ভাইস চেয়ারম্যান সজিব সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রিও করেছে।

তবে আইনের কাঠগড়ায় এই দলিলের (৮০০নং) বৈধতা সঠিক প্রমান করতে না পেরে সজিব সিন্ডিকেট আরশাদ আলীর নামে একই ১১৪ খতিয়ানের এসএ-১৬৮ দাগের উক্ত ১ একর ৯৮ শতাংশ জমির উপর ৫৭০নং একটি রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল উপস্থাপন করে। কিন্তু ভূমি সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে রেজিষ্ট্রিকৃত ৫৭০ নং দলিলটির অবিনকল উত্তোলন করা হলে দেখা যায়, দলিলে জমির গ্রহীতা সুরুজ মিয়া তালুকদার এবং দাতা সাজিদউল্লা। মৌজা-কাকাইলছেও, জেল নং-৫৯, খতিয়ান-৬৭১,      দাগ নং-২১০২, জমির পরিমান-২৮ শতাংশ, দলিল রেজিষ্ট্রি তারিখ ৬ মার্চ-১৯৭৫ ইং। সুতরাং আরশাদ আলীর দলিল ও অবিনকলের তথ্যের সাথের কোন মিল নেই। এটিও জাল দলিল বলে প্রতীয়মান। আর এই ৫৭০নং দলিলটি ব্যবহার করেও সজিব সিন্ডিকেট ব্যর্থ হয়।

অতপর সজিব সিন্ডিকেট ১১৪ নং খতিয়ানের এসএ-১৬৮ দাগের ১ একর ৯৮ শতাংশ জমি রেকর্ডীয় মালিক নারায়ন চন্দ্র রায় ও সচী নন্দন রায়ের ওয়ারিশগনেরা (৪ জন) বিগত ২১ মার্চ-১৯৭৫ ইং তারিখে ৭৫০নং রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলমুলে আরশাদ আলীর নিকট সাবকবালা বিক্রি করেছে বলে দাবী করে। যার কারনে আরশাদ আলীর নিকট থেকে ক্রয়সুত্রে উক্ত এসএ-১৬৮ দাগের ১ একর ৯৮ শতাংশ জমির মালিক এখন পাশর্^বতী গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন। আর হাফিজ উদ্দিনের ওয়ারিশগনের নিকট থেকে ক্রয়সুত্রে উক্ত জমির মালিক সজিব সিন্ডিকেট। তবে ৭৫০নং রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলটিও সম্পূর্ন জাল জালিয়াতির আশ্রয় মাত্র।

কারন ১১৪ খতিয়ানে এসএ রেকর্ড অনুযায়ী ১৬৮ দাগে ১ একর ৯৮ শতাংশ জমির মালিক ১১ জন (যেহেতু মন্তব্য কলামে এজমালী উল্লেখ করা আছে)। সুতরাং উক্ত ১১ জনের মধ্য হতে রেকর্ডীয় ২ জনের ৪ ওয়ারিশ ও রেকর্ডবর্হি: ভূত ৩ জন সহ সর্বমোট ৭ জনে কিভাবে  ১১জনের সম্পূর্ন অংশ আরশাদ আলীর নিকট ৭৫০ নং দলিল মুলে সাবকবালা বিক্রি করেছে উক্ত দলিলে তার সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা নেই। তবে ভূমি সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে রেজিষ্ট্রিকৃত ৭৫০ নং দলিলটির অবিনকল উত্তোলন করা হলে দেখা যায়, ২১ মার্চ-১৯৭৫ ইং তারিখে আরশাদ আলীর নামে দলিলটি রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। জমির দাতা ৭ জন এবং গ্রহীতা আরশাদ আলী একাই। কিন্তু ৭৫০ নং দলিলে খতিয়ান উল্লেখ করা হয়েছে-১১২।

অথচ বাস্তবে উক্ত মৌজায় ১১২ খতিয়ানে ১৬৮ দাগে ১ একর ৯৮ শতাংশ জমিরও কোন অস্তিত্ব নেই। এমনকি উল্লেখিত মৌজায় ১১২ নং খতিয়ান অন্তভুক্ত থাকলেও ১৬৮ নং দাগেরও কোন অস্তিত্ব নেই। তবে ১১২ খতিয়ানে ২৮২ নং একটি দাগের অস্তিত্ব পাওয়া যায় যেখানে ১১৪ খতিয়ানের ১৬৮ দাগের রেকর্ডীয় মালিক সচীনন্দন রায় ও নারায়ন রায়ের কিছু জমির অস্তিত্ব বিদ্যমান পাওয়া যায়।

অর্থাৎ ১১৪ খতিয়ানের এসএ-১৬৮ দাগে ও ১১২ খতিয়ানের ২৮২ দাগে সচীনন্দন রায় ও নারায়ন রায়ের জমির মালিকানা বিদ্যমান আছে। সুতরাং ৭৫০ নং দলিল বলে আরশাদ আলী ১১২ নং খতিয়ানের ১৬৮ দাগের ১ একর ৯৮ শতাংশ জমির মালিক বিদ্যমান হলে ১১৪ খতিয়ানে এসএ রেকর্ড ১৬৮ দাগের ১১জন মালিকের মধ্যে রসিদ বকসের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু ১১২ খতিয়ানে ২৮২ দাগের মালিক সচীনন্দন রায় ও নারায়ন রায়ের ৪ ওয়ারিশের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া গেলেও রেকর্ডীয় কাগজপত্রে অপর ৩ জন দাতা/মালিক কোন অস্তিত্ব নেই। সুতরাং আরশাদ আলীর ৭৫০ নং দলিলের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।

আর এই ৭৫০ নং দলিলের মাধ্যমেই আরশাদ আলীর নিকট থেকে ক্রয়সুত্রে উক্ত জমির মালিকানা প্রাপ্ত হয়েছেন হাফিজ উদ্দিনের ওয়ারিশগন। আবার হাফিজ উদ্দিনের ওয়ারিশগনের নিকট থেকে উক্ত জমির মালিক হয়েছেন সজিবের মামা ইদ্রিস মিয়া সহ তার সিন্ডিকেটের সকল সদস্য। তবে প্রচলিত আইনের এসব ভিত্তিহীন তথ্য উপাত্তকে বৈধ করতে না পেরে উক্ত জমি জবর দখলে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান সজিব সিন্ডিকেট। তিনটি জাল দলিল করেও উক্ত জমির মালিকানা লাভে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে উক্ত জমি উপর স্থাপিত রসিদ বকস জুনিয়র স্কুলের সাইবোর্ড ও বাউন্ডারি বেড়া জোড়পূর্বক ভেঙ্গে ফেলেছে।

এব্যাপারে জমির প্রকৃত মালিক রসিদ বকসের ওয়ারিশ আমিনুল হক আজমিরিগঞ্জ থানা অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। কারন মমিনুর রহমান সজিব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক। তার নির্দেশনার বাইরে গিয়ে পুলিশ কোন কাজ করে না। আজমিরিগঞ্জ উপজেলার পুরোটাই সজীব সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি বলে জানায় এলাকাবাসী। সজিবের নানা অপকর্মের বিস্তারিত থাকছে পরবর্তী পর্বে। চলবে….।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 + twenty =