জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সিবিএ নেতা দেলোয়ার হোসেনের দুর্নীতি আর অনিয়মে গ্রাহক হয়রানি

0
1031

স্টাফ রিপোর্টার: সবাইকে ম্যানেজ করে উপঢৌকনের নামে ঘুষ পৌঁছে দিলেই সময় মত হয়ে যাচ্ছে সব কাজ। আজ থাকছে মেয়াদোত্তীর্ণ সিবিএ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের কোটিপতি হওয়ার নেপথ্যের কাহিনী। জানা গেছে, গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিএনপির সমর্থক পরিচয় দিয়ে স্থান গেড়ে বসেন সিবিএ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নেন। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ভোল পাল্টে নেন নিজের। ক্ষমতাশীন দলের নাম ভাঙিয়ে আবারও জেঁকে বসেন ঘুষবাণিজ্যে। জমি ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ, আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিকে রূপান্তর এবং প্লট একত্রীকরণসহ নানা কাজকে আবদ্ধ করে ফেলেন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। তাকে না জানিয়ে কোন কাজ করা যায় না বলে জানান সেবাপ্রত্যাশীরা। অন্যদিকে খোলস বদলানো এই কর্মচারী জাগৃকের ঊর্ধ্বতনদের ম্যানেজ করে একই চেয়ারে বসে আছেন ১৪ বছর। আর নিজেদের পকেট লাভের আশায় ঊর্ধ্বতনদের কাছে তার বিরুদ্ধে হয়রানির স্বীকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ নিয়ে গেলে কানেই তোলেন না তারা। ভুক্তভোগীদের কয়েকজন জানান, দেলোয়ারের অপকর্ম তুলে ধরে চেয়ারম্যান ও যুগ্মসচিব মইনুল হক আনছারীর কাছে অভিযোগ করতে গেলেই তারা বলেন, অভিযোগ দেন ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু কেউই এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাই এপর্যন্ত নেননি। তারা জানান, মোটা অঙ্কের টাকা দিলেই দ্রত কাজ হয়ে যায়। আর টাকা দিতে রাজি না হলে মাসের পর মাস ফাইল নড়ে না। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে তৃতীয় তলায়  সরেজমিন গিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন কাজে পদে পদে মানুষকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া ও ভোগান্তির চিত্রের প্রমাণ মেলে। মিরপুর থেকে আসা এক সেবাপ্রত্যাশী জানান, ফ্ল্যাটের নাম জারি করার জন্য কয়েকদিন ঘুরাঘুরি করছেন। কিন্তু টাকা দিতে পারছেন না বলে কাজও হচ্ছে না। “স” অদ্যাক্ষরের এই সেবাপ্রত্যাশী ছাড়াও আরও অনেককেই সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সোমবার একই স্থানে অনেকের মধ্যে দুজন অল্প টাকা দেওয়ায় কাজ দেরি হচ্ছে বলে জানান।

তবেওই দুইজন ‘বিকেলের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে বলেও স্বীকার করেন। অবশেষে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কাজ বুঝে পান তারা। জানা যায়, নামজারি বিষয়ে তারা ৮ হাজার টাকা দিয়েছিলো। কিন্তু দেলোয়ার দাবি করেছিলেন বারো হাজার টাকা। কাজ হয়ে যাওয়ার পরে দেলোয়ারের খাস ব্যক্তি (পিয়ন) কাগজ। দিয়ে গেলেন। ঘুষের রেট কত?: ঘুষের রেট উঠানামা করে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষে। যে চেইন অনুযায়ী ফাইলটি উপরে যায় ওই কর্মকর্তা চাহিদা অনুযায়ী এসব রেটও নির্ধারিত হয়। জাগকের কর্মচারী ও দালালসত্রে এমন তথ্যই পাওয়া। যায়। তারা জানায়, সেল পারমিশন (বিক্রয় অনুমতি) নিতে গেলে সর্বনিম্ন দশ হাজার টাকা গুণতে হয়।

এছাড়া ফ্ল্যাটভিত্তিক সেল পারমিশন বাবদ বিভিন্ন টাকা টেবিলে টেবিলে ভাগ হয়। এছাড়া ফ্ল্যাটভিত্তিক সেল পারমিশন বাবদ পাঁচ হাজার টাকা, হস্তান্তর বা দানসূত্রে মিউটেশন বাবদ (নামজারি) দশ হাজার টাকা, মর্টগেজ পারমিশন বাবদ পাঁচ হাজার টাকা, চালান পাস বাবদ ৫০০ টাকা, লিজ দলিলের স্বাক্ষর বাবদ দুই হাজার টাকা, দায়মুক্তি সনদইস্যু বাবদ পাঁচ হাজার টাকা এবং প্রতি জনের হাজিরার জন্য এক হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়। এমরান নামের এক দালাল প্রথমে কিছু বলতে নারাজ। সাংবাদিক বুঝতে পেরে আশপাশ থেকে সরে যান আরও কিছু দালাল। পরে এই প্রতিবেদকের সহযোগী সেবা প্রত্যাশী সেজে যান আরেক দালালের কাছে। অল্পটাকা দিতে চাইলে সে জানায়, ভাই এত কম টাকায় কাজগুলো দ্রুত করতে পারবেন না। কাজ তাড়াতাড়ি করতে গেলে যা রেট তাই দিতে হবে। নামজারি বিষয়ে তিনি ১৫ হাজার টাকা দাবিকরেন।

পরে ১০ হাজারে রাজী হন। যেভাবে চলে দেলোয়ার সিন্ডিকেটের কাজ: কোটি কোটি টাকার সম্পদের অধিকারী এখন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মেয়াদোত্তীর্ণ কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী দেলোয়ার হোসেন। তার নিযুক্ত দালালরা জাগৃকের ক্যান্টিনেই অত পেতে থাকেন। সেখান থেকেই বাগিয়ে নেন কাজ। এছাড়া বহুতল জাগৃকের প্রতিটি তলাতেই। রয়েছে তার নিজস্ব লোকবল। আবার বিভিন্ন জেলা শহরেও রয়েছে তার দালাল। সেখানের গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অনেকেই তার সঙ্গে রাখেন সুসম্পর্ক। ফোনে ফোনে। হয়ে যায় কাজ। প্রথমে দালালরা দেলোয়ারের খাস পিয়নের কাছে কাজ ও ঘুষ বুঝিয়ে দেয়। ঘুষ অধিকাংশই চলে বিকাশে, রকেটে।

তারপর সেখান থেকেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে অন্য সবকাজ। সূত্র জানায়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা), যুগ্মসচিব ড. মো: মইনুল হক আনছারীর ইশারায় শক্তিশালী সিন্ডিকেট নিয়ে তার ওঠাবসা। ইতোমধ্যে অবৈধপন্থায় অর্ধশতকোটি টাকার মালিকও বনে গেছেন তিনি। নিরীহ কর্মচারীরা তার অপকর্ম। নিয়ে কোথাও মুখ খুলতে গেলেই ওই যুগসচিবের সহযোগিতায় তাকে সড়িয়ে। দেওয়া হয়। অবৈধ সম্পদ ও কাজের বিবরণ: 

চাকরি জীবনে প্রথমে তিনি তার মায়ের নামে টাংগাইল হাউজিং এস্টেটে একটি প্লট বরাদ্দ নেন। কিন্তু অজানা। কারণে এ প্লটটি দ্রুত বিক্রি করে দেন তিনি। পরে ২০১৪ সালে স্ত্রী নুসরাত জাহানের নামে খুলনা বয়রা হাউজিং এস্টেটে ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৭৫০ টাকায় তিন কাঠার একটি প্লট কেনেন। শিল্পী/সাহিত্যিক কোটায় এই প্লট বরাদ্দ নিলেও: নুসরাতের নামে শিল্পী হিসাবে সুপারিশযোগ্য কোন সনদ দাখিল করেনি। এছাড়া, কুষ্টিয়া হাউজিং এস্টেটে দেলোয়ার নিজের নামে সাড়ে তিন কাঠার একটি প্লট। বরাদ্দ নেন। ওই প্লটের মূল্য ২ কিস্তিতে প্রায় ১৪ লাখ টাকা পরিশােধ করেন তিনি।

পরে ৪০ লাখ টাকায় প্লটটি বিক্রি করার তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও সারা দেশের ১৬১ জন ওয়ার্কচাজ কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করে দেবেবলে ‘প্রতারণা করে প্রায় ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন মেয়াদোত্তীর্ণ এই সিবিএ নেতা। অভিযোগ আছে, তিনি মোহাম্মদপুরের এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় তার শ্যালকের কাছে কোটি কোটি কালো টাকা পাচার করে পরে ওই টাকা বৈদেশিক রেমিট্যান্স দেখিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে এসে সাদা করেছেন। তিনি ওই শ্যালকের নামে মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডে ২টি প্লটও কিনেছেন।

এছাড়াও দেলোয়ার লালমাটিয়া হাউজিং এস্টেটে এক কোটি পঁচাত্তর লাখ টাকায় বেনামীতে কেনেন। লালমাটিয়া প্রাইমারি স্কুলের সামনে সাড়ে ১১ কাঠার ওপর তার আরেকটি জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলছে। আড়াই কোটি টাকায় মোহাম্মদপুর হাউজিং স্টেটের ই-ব্লকের একটি জমির জন্য বায়না করেছেন তিনি। জানা যায়, মোহাম্মদপুর, ইকবাল রোডে অভিযাত দোতলা বিশিষ্ট লিগনাইট রেস্টুরেন্ট এ দেলোয়ার ও তার স্ত্রী ৪০ শতাংশের মালিক। গ্রামের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জও তিনি সম্পত্তির বিশাল পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ১ কোটি টাকা ব্যয়ে মার্বেল টাইলসের বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ২০ শতাংশের ওই জামি তিনি ৩ কোটি টাকা মূল্যে ক্রয় করেন। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকায় বেড়ে ওঠা দেলোয়ার মাস্টার রোলে চাকরির সময় যে সনদ দিয়েছেন তা জাল ও ভুয়া বলে দাবি করেছেন একটি সূত্র।

তাদের দাবি, ২০০৫ সালে কুমিল্লা বোর্ডের সার্টিফিকেট দেখিয়ে তিনি মাস্টার রোলে চাকরি হাতিয়ে নেন। এরপর চাকরি স্থায়ী হলে এবং পদোন্নতির সময় নানা অবৈধ কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাত থাকায় সহকারী থেকে ক্যাশিয়ার পদে পদোন্নতি পেলেও তঙ্কালীন চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগসাজসে উচ্চমান সহকারী পদে স্থান দখল করেন। তাছাড়া ভূমি শাখায় ক্ষমতার দাপট। দেখিয়ে লোকবলের অভাব উল্লেখ করে একাই ৩ জন সহকারীর কাজ করেন। এসবঅঞ্চলের মধ্যে রয়েছে-মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকা (সম্পূর্ণ), রূপনগর। হাউজিং এস্টেট, যশাের এবং খুলনা। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ঢাকার বাইরে যাতায়াতের জন্য দামি গাড়ি ব্যবহার করেন। তার একটির নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-২০-৯৭৫৫ বলেও জানা যায়।

এছাড়াও বেনামীতে বছিলায় ও সাফা সিটিতে, ১০ কাঠা, রিং রোডে ২টি ও আদাবরে ১টি বহুতল ভবন কিনেছেন। অন্যদিকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে বাতিলকৃত প্লটের ফাইলে ছবিবদলে অন্যের নামে করে দেওয়ারও অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে। অপরাধের প্রমাণ ২০১৫ সাল: ২০১৫ সালে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হতেই জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের যে ৪০ কর্মকর্তা-কর্মচারী নামে-বেনামে নেওয়া শতাধিক প্লট-ফ্ল্যাট ফেরত দিয়েছিলেন তার মধ্যে দেলোয়ারও ছিলেন। ২০১১ সালের ৮মার্চ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত আদেশ (স্মারক প্রশা-৬/রাজ-৬৬/৯৮/ ১১৪/১ (১১৩) অনুযায়ী জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একজন একাধিক প্লট নিতে পারেন না।

বেআইনি এ বরাদ্দ নেওয়ার বিষয়টি আমলে নিয়ে সে-বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরু করে দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি অনুসন্ধান টিম। এ প্রক্রিয়ায় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ শুরু হলে তদানিন্তন অফিস সহকারী দেলোয়ার হোসেন ঢাকার লালমাটিয়ার এনএইচ বি-১১-তে ফ্ল্যাট, কক্সবাজারে ৭২০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, চট্টগ্রাম কৈবল্যধামে ৩ কাঠার প্লট, কুষ্টিয়ায় সাড়ে ৩ কাঠার প্লট এবং চট্টগ্রাম পিংক সিটিতে ৩ কাঠার প্লট থেকে ফিরিয়ে দেন একটি ফ্ল্যাট এবং ৩টি প্লট। বাকিটা ধামাচাপা দিয়ে ফেলেন। জানা যায়, এসব দেখিয়ে তিনি দুদক থেকেও নিয়েছেন দায়মুক্তি সনদ (এনওসি)। দেলোয়ার ও দেলোয়ারের সঙ্গে যোগসাজসের বিষয়ে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার জন্য গত রোববার ও সোমবার তার অফিসে গেলে তিনি তার অফিস স্টাফকে দিয়ে কী বিষয় জানতে চান।

ঘটনা জানালে তিনি আর সাক্ষাৎ করেননি। অফিস স্টাফ এসে। জানান, স্যার মিটিংয়ে আছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে (শেষ দুই ডিজিট ৪৪) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। গতকাল মঙ্গলবার অবশেষে মোবাইল রিসিভি করেন তিনি। বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে চাই না। ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার সদস্য ড. মো: মইনুল হক। আনছারী সঙ্গে দেলোয়ার ও তার মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়ে কথা হলে তিনি কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজী হননি। ঘুষ ছাড়া সেবা না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি গল্পের ছলে বলেন, আসলে ভাই কর্মচারীদের সঙ্গে গ্রাহকদের সম্পর্ক না থাকলে কর্মকর্তাদের টেবিলে ফাইল আসে না ঠিকমত, গ্রাহকরা যেভাবে তাদের ফাইল জমা দেন সেভাবেই পরে থাকে। আর উচ্চমান সহকারী দেলোয়ার হোসেনকে প্রতিবেদন উল্লেখ করে বক্তব্য চাইলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।

তবে দেলোয়ার বলেছেন, সংবাদ ছাপিয়ে কী হবে? এর আগেও অনেকেই সংবাদ ছাপিয়েছে। এসব বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম বলেন, অপরাধীদের কোন ছাড় নেই। সে যেই হোক না কেন অপরাধী হলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, সিবিএ এই নেতার বাবা জাতীয় ও গৃহায়ণ দফতরে ইলেকট্রিশিয়ান। ছিলেন।

বাবার মৃত্যুর পর মোহাম্মদপুর ডিভিশনে মাস্টার রোলে চাকরি পান। তিনি। এরপর ২০০৫ সালে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ পান। নিয়োগের পর চট্টগ্রামে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর বিভিন্ন মহলে কাঠখড়ি পুড়িয়ে প্রধান কার্যালয়ের ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা শাখায় আসেন। তার পর থেকে শুরু হয়। তার দুর্নীতি। আর ২০১০ সালে কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তার দুর্নীতির মাত্রা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।

জানা যায়, ২০১৭ সালে পূর্বের সাধারণ সম্পাদককে অবৈধ পন্থায় সরিয়ে দেলোয়ার সাধারণ সম্পাদক পদে বসেন। শিক্ষা জীবনের ইতিহাসে হত্যাকান্ডের সঙ্গেও তার জড়িত থাকার কথা শোনা যায়। তখন তিনি লালমাটিয়া বয়েজ স্কুলের ছাত্র ছিলেন। নানা অপকর্মের হোতা এই দেলোয়ার হোসেনকে কেউ কিছু বললে। তিনি বলেন, টাকা হলে দুদক কেন, এর থেকে বড় কেউ এসেও তার কোন কিছু। করতে পারবেনা। তার নামে দুদকে ৫-৬ বার অভিযোগ হয়েছিল। কিন্তু সুচতর। এই কর্মচারী তাদেরকেও ম্যানেজ করেছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − two =