ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ড্রাইভার নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি বিআরটিএ হতে ভারী লাইসেন্স প্রাপ্ত অভিজ্ঞ ড্রাইভারগণ ফায়ার সার্ভিসে অচল পরিচালক লে: কর্ণেল জিল্লুর রহমানের কথাই শেষ কথা

0
1176

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক : ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ড্রাইভার নিয়োগে ব্যাপক  অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরিচালক (অপা: ও মেইন:) লে: কর্ণেল জিল্লুর রহমানের তান্ডবে বি আর টি এ হতে ভারী লাইসেন্স প্রাপ্ত অভিজ্ঞ ড্রাইভারগণ চাকুরীর মাঠে দাঁড়াতেই পারছেন না। পরীক্ষাস্থলে একই পরিসীমার মধ্যে একইভাবে গাড়ী চালনার পরও লে: কর্ণেল জিল্লুর রহমান বিনা কারণে যাকে খুশি তাকে পাশ ও ফেল দিতেছেন। প্রার্থীকে কি ভুুলের কারণে ফেল দেয়া হল তাৎক্ষনিক ভাবে কিছু বলা হচ্ছে না। ভাল গাড়ী চালনার একদিন পর ওয়েভ সাইটে প্রার্থী জানতে পারলেন তিনি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে জিল্লুর রহমান নিজে গাড়ী চালনা জানেন কিনা এবং তিনি ড্রাইভার ইন্সট্রাক্টর কিনা? প্রশ্ন উঠেছে স্বনামধন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কারিগরী কারখানার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ পরীক্ষকগণ আজ কোথায়। নিয়োগ কমিটির বহিরাগত সদস্যগণই বা  নিরব কেন ? একজন লে: কর্ণেল নিজে গাড়ীতে বসে ড্রাইভারদের গাড়ী চালনার পরীক্ষা নিবেন তবে নিয়োগ কমিটির অন্যরা কি করবেন ? ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ড্রাইভার পদে চাকুরীর জন্য একজন প্রার্থীকে ভারী লাইসেন্সধারী, ৮ম শ্রেণী পাশ ক্রটিমুক্ত শারিরীক যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে। সেক্ষেত্রে ড্রাইভারদের ভারী লাইসেন্স প্রদানের ক্ষমতা একমাত্র বি আর টি এ সংরক্ষন করে থাকেন।

বি আর টি এ যথারিতি যাচাই বাছাই ও পরীক্ষা গ্রহণ শেষে গাড়ী চালনায় পূর্ণ অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিকে ভারী লাইসেন্স প্রদান করে থাকেন। বি আর টি এ হতে পরীক্ষিত একজন ড্রাইভার ফায়ার সার্ভিসের নিয়োগ পরীক্ষায় এসে একক ব্যক্তির ইচ্ছার কাছে প্রথমেই বাদ পরে যাবে এবং নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করিতে পারবেনা ঘটনাটি দূঃখ জনক। এব্যাপারে বি আর টি এ কে রাষ্ট্রিয়ভাবে প্রশ্নের সন্মুখীন করা আবশ্যক। সেইসাথে বি আর টি এ কর্তৃক প্রদানকৃত ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে: কর্ণেল জিল্লুর রহমানের নিকট অচল মর্মে দেশ ব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি প্রয়োজন।

অনুসন্ধানে জানা যায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নিয়োগ কমিটির সম¥ানীত সদস্যগণ জনবল নিয়োগের সকল বিধি বিধান পালন সাপেক্ষে ড্রাইভার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে প্রথমে প্রার্থীদেরকে খোলা মাঠে শারীরিক যোগ্যতা ও কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হতো। পরে লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ প্রাথীকে গাড়ী চালনার টেষ্টে অংশ গ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হতো। গাড়ী চালনায় উর্ত্তীণ প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ শেষে যোগ্য প্রার্থীকে ড্রাইভার পদে চাকুরী দেয়া হতো।

এক্ষেত্রে চলমান সকল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করিতে পারায় চাকুরী প্রার্থীদের আবেদন পত্রের সাথে পরীক্ষার ফি বাবদ জমাকৃত ১০০/Ñ টাকা সার্থক হতো। বর্তমানে লে: কর্ণেল জিল্লুর রহমান পরিচালিত নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীগণ প্রথমেই একক ব্যক্তির মনগড়া ইচ্ছার কাছে বাদ পরে যাওয়ায় লিখিত পরীক্ষাসহ চলমান সকল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ হতে বঞ্চিত হইতেছেন এবং প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ প্রদানকৃত ১০০/Ñ টাকা জাতীয় ঋৃণ হিসাবে থাকিয়া যাইতেছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় বিধি বিধান অনুয়ায়ী নিয়োগের ক্ষেত্রে ১ঃ৩ প্রার্থী বাছায়ের নিয়ম প্রচলিত। কিন্তু বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে লেঃ কর্ণেল জিল্লুর রহমান পরিচালিত ড্রাইভার নিয়োগে শত শত প্রার্থীকে ঢালাওভাবে বাদ দিয়ে ৬৯ টি পদে ড্রাইভার নিয়োগের জন্য মাত্র ৭১ জন প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।

বর্তমানে ১১৫টি পদে ড্রাইভার নিয়োগের ক্ষেত্রে শত শত প্রার্থীকে ঢালাও ভাবে বাদ দিয়ে মাত্র ১২০ জনকে লিখিত পরিক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। যাহা জাতীর কাছে প্রহসন ও প্রতারণার সামিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসসের কতিপয় কর্মকর্তা জানান, বর্তমান পরিচালক (অপা:ও মেইন:) লে: কর্ণেল জিল্লুর রহমানের হাত অনেক লম্বা। তিনি নিজেই আইন নিজেই সব। তাকে কিছু বলা যাবে না। তার কথাই শেষ কথা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten − ten =