সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামালকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টার প্রতিবাদে রূপসায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

0
606

রূপসা প্রতিনিধি : খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামের নিহত সারজিল ইসলাম সংগ্রাম এর মা কর্তৃক খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে পরিকল্পিতভাবে মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টার প্রাতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন সম্মেলন ২৬ অক্টোবর বেলা ১২ টায় রূপসা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাগমারা গ্রামবাসীর পক্ষে মো. আজিজুর রহমান।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব রূপসার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন সড়কের হিমায়ন বরফ কলের অদুরে বাগমারা গ্রামের মুজিবর রহমানের একমাত্র ছেলে মোঃ সারজিল ইসলাম সংগ্রাম দিন দুপুরে খুন হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এ হত্যাকান্ডে জড়িত খুনীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিপাক তা আমরা প্রত্যেকে কামনা করি। অথচ আলোচিত এ হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মামলার বাদী নিহতের মা মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন মিলিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা এলাকাবাসী অনেকেই জানি মোবাইল চুরির ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। অথচ খুনিদের সাথে বা হত্যাকান্ডের সাথে সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামালের কোন সম্পর্ক না থাকলেও তাকে ওই মামলায় জড়ানোর ঘৃন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় নিহতের মা মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন মিলি গত ২৪ অক্টোবর বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি মোস্তফা কামালকে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারী ও গডফাদার দাবি করেন।

এমনকি মামলার বাদী উদ্দেশ্যমূলকভাবে মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে নানা প্রকার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেন। পাশাপাশি মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে পৃথক একটি অপরাধের খতিয়ান তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়েছে তিনি নাকি আমাদেরসহ বেশ কিছু লোকের জমি দখল করেছেন। যা আদৌ সঠিক নয়।

মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে মিলি বেগমের উত্থাপিত অপরাধ খতিয়ানে তার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে এমন কিছু ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। সেই  সব ব্যক্তিরাও সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানাতে উপস্থিত হয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি হত্যা মামলাকে পুঁজি করে এলাকার একটি কু-চক্রিমহল মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন মিলিকে দিয়ে ফায়দা লুটছে।

প্রকৃতপক্ষে মোস্তফা কামাল একজন পরোপকারী মানুষ। চরমপন্থী ও সর্বহারাদের বিরুদ্ধে তৎকালীন সময় তিনি এলাকায় প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তোলেন। এলাকার সকল মানুষের শান্তি বজায় রাখতে সর্বদা সজাগ থাকেন। তিনি নিজের বৈধ ব্যবসা বাণিজ্য করে জীবন-জিবিকা নির্বাহ করেন। অন্যায়-অপরাধ দেখলেই তার প্রতিবাদ করেন। যে কারণে আমরা এলাকাবাসী অনেকটা শান্তিতে থাকি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব মো. মহিউদ্দীন শেখ,

আলহাজ্ব মো. সাখাওয়াত শেখ, আলহাজ্ব সুরমান শেখ, আলহাজ্ব মাওলানা ফজলুল করীম, মো. আব্দুস সাত্তার শেখ, আবু আহাদ হাফিজ বাবু, ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম শেখ, মো. হারুন শেখ, বাকী বিল্লাহ, ইব্রাহিম শেখ, মো. রবিউল ইসলাম, মো. হাফিজুর রহমান মো. গোলাম মোস্তফা, আব্দুস সালাম শেখ, নজরুল ইসলাম সানা, মো. আব্দুল হাকিম, শেখ, শরিফুল ইসলাম, সোহেল শেখ, লিটন হাওলাদার, রেজাউল ও আবুজার হোসেন বাবুসহ শতাধীক গ্রামবাসী।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twelve + thirteen =