আবরার হত্যাকাণ্ড ঘটনায় নতুন মোড়

0
486

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে বুয়েট ক্যাম্পাস বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে।

শিক্ষার্থীরা ফাহাদ হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারসহ ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছে।

এ হত্যার বিচারকাজ যেনো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সম্পন্ন হয় সেজন্য বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন তারা।

এ সময় সাইয়েদ ঈমাদ উদ্দিন নামে এক বুয়েট ছাত্র তার ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেটা নিয়ে শুরু এখন নতুন বিতর্ক।

আবরার

বুয়েট ছাত্র সাইয়েদ ঈমাদ উদ্দিনের স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-

“যে এক মিনিটের ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে, এটায় যাদের দেখা যাচ্ছে এরা কেউ আসল খুনি না। আবরার ফাহাদকে ২০১১- তে নিয়ে ‘১৫’ ও ‘১৬’ ব্যাচ বেদম পিটাইছিল, তখনো ম’রে নাই। পরে তাকে ২০১১ থেকে ২০০৫- এ নিয়ে রাখা হয় ও এই রাখার কাজটা খু’নিরা ‘১৭’ এর পোলাপাইন দিয়ে করায়।

এরপর ২০০৫ এ কিছু একটা হইসিল, তবে পুরোটা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। এরপর তারে ২০০৫ থেকে প্রায় মৃতপ্রায় অবস্থায় সিঁড়ির কাছে রাখা হয় যেখানে সে মারা যায়। এই পুরো অবস্থাতেই বডি আনা নেয়ার কাজ ‘১৭’ দিয়ে করানো হয়েছে আর এর একটা অংশই আপনারা এক মিনিটের ভিডিওতে দেখেছেন। কাজেই এই ভিডিওতে আসল খুনিরা ছিলই না। আমরা এতক্ষণ সবাই মিলে শেরে বাংলা হলে ছিলাম।

অনেক টালবাহানার পর (এমনকি পুলিশ আমাদের ধাক্কা দিয়ে প্রভোস্টকে বের করতে চাচ্ছিল) শেষ পর্যন্ত প্রভোস্টের কাছ থেকে পুরো ৬ ঘণ্টার ভিডিও আমরা নিতে পেরেছি। প্রায় ‘১৮’ জনকে খুনের সাথে জড়িত বলে চিহ্নিত করা গেছে আর ২০১১ তে কিছু খুনি ছিল যারা বের হয়নি বলে আইডেন্টিফাই করা যায়নি। সবাই ‘১৫’,‘১৬’ ব্যাচের। কিন্তু রুম যাদের ও যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের প্যাদালে আসল সব খুনিদের চেহারা বের হয়ে আসবে’।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen + four =