গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জে সাহাজান, খলিল ক্যাডার বাহিনীর হাতে আবুল কালামেকে হত্যার চেষ্টা

0
1203

অপরাধ বিচিত্রা : গাইবান্ধা জেলাধীন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ হাতীবান্ধা গ্রামের মোঃ হযরত আলী (৬০) একজন অসহায় সরল নিরীহ ব্যক্তি । হযরত আলীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৫১) এর পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একই গ্রামের নিকট-আত্মীয় খলিল মিয়া (৪৫) মঞ্জিলা বেগম (৪০) খাদিজা বেগম (২০) পারভীন আক্তার (২০) মজিতা বেওয়া (৬০) ও প্রতিবেশী শাহাজাহান (৩২) সহ গত ১৩-০৬-১৯ ইং তারিখে ঝগড়াঝাঁটির সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়ে থাকে ।

এরই জের ধরে গত ১৩-০৬-১৯ ইং তারিখে আনুমানিক রাত ০৮.০০ টার সময় সকলের যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অতর্কিত আক্রমণ করে হাতে থাকা ধারালো ছোরা বল্লাম লাঠিসোঁটা নিয়ে অবৈধ ভাবে আমার বসত বাড়ির ভিতরে এসে খলিল ও শাহজাহান গং-এর হুকুমে আমার ছেলে আবুল কালাম কে বেধড়ক এলোপাতাড়ি ভাবে ডাংমার করে ।

একপর্যায়ে আমার ছেলে আবুল কালামকে টানাহেঁচড়া করে বাড়ি হতে বাহির করিয়া রাস্তার উপরে নিয়ে আসে । খলিল ও শাহজাহান বলে ঐ শালা কে জানে মারিয়া ফেলো ।

পরবর্তীতে রবিউল ইসলাম ও পিংক মিয়া ক্যাডার বাহিনী নিয়ে তাহার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা কালাম কে হত্যা করার জন্য বুকের ডান পার্শ্বে চোট মারে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে । আবুল কালামের আত্মচিৎকার শুনে তাঁহার মা রাবেয়া বেগম বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে শাহিন ও লিটন তাহার মাকে হত্যা করার জন্য হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা তার মায়ের কোমরের বাম পার্শ্বে চোট মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ।

তাৎক্ষনিক আমার চিৎকার শুনে সমেজা বেওয়া (৪০) আমার শ্যালক আব্দুস ছামাদ (৪৫) এগিয়ে আসে অতঃপর ফারুক, সুলতান নাজমুল ও শরিফ হত্যার জন্য হাতে থাকা ছোরা দ্বারা চোট মারিয়া তাহার কপালের বাম পার্শ্বে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ।

রাস্তার পাশে আমার মুদির দোকান থাকায় আমাকে দোকান থেকে টানাহেঁচড়া করে বাহির করিয়া লাঠি দিয়ে ডাংমার করিয়া বিভিন্ন জায়গায় জখম করে । আমার দোকানের মালামাল লুটপাট করে ও ক্যাশে থাকা সব টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় । কিন্তু এই ক্যাডার বাহিনীর মূলহোতা শাহজাহান মিয়া আসামি হওয়ার কথা সে কীভাবে সাক্ষী হয় ?

অতঃপর আমার ছেলে, ভাতিজা, আমার স্ত্রী, শ্যালকের স্ত্রী, শালিকা সহ সকলকে এলাকাবাসী অটোতে উঠাইয়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।বর্তমানে আমার ছেলে আবুল কালাম এর অবস্থা আশঙ্কা জনক । অবশেষে হযরত আলী সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ২৩৪/১৯ । (চোখ রাখুন পরবর্তী সংখ্যা)……….

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × three =