মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি কবরে কতদিন থাকবে

0
763

بسم الله الرحمن الرحيم সর্বশেষ মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি কবরে কতদিন থাকবে? ইসরাফীল আঃ এর প্রথম শিঙ্গায় ফুৎকার দেবার মাধ্যমে সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। কোন মানুষতো দূরে থাক আসমান জমিনও থাকবে না, সবই ধ্বংস হয়ে যাবে। এভাবে চলবে ৪০ বছর। ৪০ হাজার নয়। হাদীসে ৪০ বছরের কথা এসেছে।

সেই হিসেবে কিয়ামতের আগে মৃত্যুবরণ কারী ব্যক্তি কমপক্ষে ৪০ বছর কবরে থাকবে। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا بَيْنَ النَّفْخَتَيْنِ أَرْبَعُونَ» قَالَ: أَرْبَعُونَ يَوْمًا؟ قَالَ: أَبَيْتُ، قَالَ: أَرْبَعُونَ شَهْرًا؟ قَالَ: أَبَيْتُ، قَالَ: أَرْبَعُونَ سَنَةً؟ قَالَ: أَبَيْتُ، قَالَ: «ثُمَّ يُنْزِلُ اللَّهُ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَيَنْبُتُونَ كَمَا يَنْبُتُ البَقْلُ، لَيْسَ مِنَ الإِنْسَانِ شَيْءٌ إِلَّا يَبْلَى، إِلَّا عَظْمًا وَاحِدًا وَهُوَ عَجْبُ الذَّنَبِ، وَمِنْهُ يُرَكَّبُ الخَلْقُ يَوْمَ القِيَامَةِ» হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন, দুই ফুৎকারের মাঝে বিরতিকাল চল্লিশ। সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু হুরায়রা! চল্লিশ দিন? তিনি বললেন, আমি সন্দিহান। তারা জিজ্ঞাসা করলেন, চল্লিশ মাস? তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি সন্দিগ্ধ। তারা জিজ্ঞাসা করলেন, চল্লিশ বছর? তিনি বললেন, আমি সন্দিহান। [কোনটাই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না’। তারপর আসমান থেকে বৃষ্টিপাত হবে পরক্ষণেই মানুষ যমিন ভেদ করে এভাবে উঠতে থাকবে যেরূপ উদ্ভিদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে এমন কোন মানুষ নেই পঁচে বিনষ্ট হবে না। সবই মিশে যাবে কেবল একটা হাড় যা নিতম্বের প্রান্তে থাকে, তা মিশে যাবে না। কিয়ামতের দিন তা থেকে মানুষের বাকি অংশগুলো জোড়া হবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৯৩৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৯৫৫} وقد روي ابن المبارك «عن الحسن قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: بين النفختين أربعون سنة. الأولى: يميت الله تعالى بها كل حي. والأخرى: يحيى الله بها كل ميت ইবনুল মুবরাক রহঃ হাসান বসরী রহঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, দুই ফুৎকারের মাঝে বিরতিকাল হল চল্লিশ বছর। প্রথম ফুৎকারের সময় আল্লাহ তাআলা প্রতিটি জীবিতকে মৃত্যু দান করবেন। আর দ্বিতীয় ফুৎকারের সময় প্রতিটি মৃতকে জীবন দান করবেন। আল্লামা হালীমী বলেন বর্ণনাগুলো এ বিষয়ে ঐক্যমত্ব যে, দুই ফুৎকারের মাঝে সময়সীমা হল চল্লিশ বছর। {আততাযকিরাহ লিলকুরতুবী-১৬৫} হাশরের ময়দানে কতদিন থাকা হবে? দুনিয়ার বছর অনুপাতে পঞ্চাশ হাজার বছর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ [٧٠:٤] ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা’আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর। {সূরা মাআরিজ-৪} পুলসিরাতের উপর কতদিন থাকতে হবে? আসলে পুলসিরাতের উপর কে কতটুকু সময় থাকবে সেটি তার ঈমান ও আমলের উপর নির্ভরশীল হবে। পুলসিরাতটি হবে জাহান্নামের উপর। নেককারগণ এক নিমিষে তা পাড় হয়ে যাবেন। কিছু ব্যক্তি বিদ্যুৎ গতিতে তা অতিক্রম করবেন। কিছু ব্যক্তি বাতাসের গতিতে অতিক্রম করবেন। কিছু ব্যক্তি পাখির উড়ার গতিতে অতিক্রম করবে। কিছু ব্যক্তি উত্তম ঘোড়ার দৌড়ের গতিতে অতিক্রম হবে। কেউবা হেটে, কেউবা দৌড়ে, কেউবা হোচট খেতে খেতে। কেউবা বুক দিয়ে ছেচড়ে ছেচড়ে। প্রতিটি ব্যক্তি তার ঈমান ও আমল হিসেবে পুলটি অতিক্রম করবে। আর জাহান্নামীরা পুলসিরাতের তীক্ষ্ণ শলাকায় ফেঁসে গিয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। وهو الاقتدار اى يجعلهم قادرا من القبور عليه يسهله على المؤمنين حتى ان منهم من يجوزه يمر عليه كالبرق الخاطف الخطف السلب والبرق الشديد يغلب البصر فكانما يسلبه وهذا عبارة عن السرعة الشديدة، ومنهم كالريح الهابة اى السريعة من الهبوب بالضم وهم سرعة الريح، ومنهم كالجراد المسرع بالفتح الفرس السريع الى غير ذلك مما ورد فى الحديث، ومنهم كالطير ومنهم كاجر الابل، ومنهم كالشاد والشد بالفارسية، دودين، ومنهم كالماشى فهذا حال عبور الصلاحاء، واما غيرهم فمنهم من يرجف على اليته كالصبى بل روى انن بعضهم يعبره على وجهه ثم العابر، اما يمر سالما، واما يمر مجروحا من شوك وكلاليب على جانبى الصراط ويسقط بعض المؤمنين العصاة فى النار الى ان ينجيه الله سبحانه (النبراس شرح شرح العقائد- 218-219 والله اعلم بالصواب

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 5 =