প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান এবং সহযোগী প্রকাশনা সংস্থা কিশোর আলোর অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির নিহত শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রথম আলো এবং কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অব-হেলার কারণেই আবরারের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী প্রকাশনা সংস্থা কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয় ৯ম শ্রেণির দিবা শাখার ছাত্র আবরার। আবরারের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবারের সঙ্গেই থাকতো সে।
এদিকে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় আয়োজকদের মিস-ম্যানেজমেন্টকে দায়ী করছে শিক্ষার্থীরা। আবরারের সহপাঠিদের দাবি, ঘটনা চেপে রেখে আবরারকে কলেজের পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে না নিয়ে বহু দূরের মহাখালীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যদিও অ্যাম্বুলেন্সেও আবরার কথা বলছিল। আবরারের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার খবর লুকিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এদিকে এ বিষয়ে প্রথম আলোর উপ সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হককে পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে তাকে কী জিজ্ঞেস করা হয়েছে এবং তিনি কী বলেছেন, এ সংক্রান্ত কোনো বিশদ তথ্য এখনো আসেনি গণমাধ্যমের হাতে।
অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল কিশোর আলোর, তাদের ব্যর্থতায় আবরারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ। আজ বুধবার দুপুরে রেসিডেন্সিয়াল কলেজের প্রাক্তনদের বিক্ষোভে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।এসময় তিনি আরও বলেন, আবরারের মৃত্যুর দায়ভার অবশ্যই কিশোর আলো কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।