স্বমহিমায় ভাস্বর বরগুনার এসপি মারুফ হোসেন

0
1012

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রের জনগনের জানমালের হেফাজত, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনবান্ধব পুলিশ প্রশাসন গড়ে তুলে জনগণের সাথে সেতুবন্ধন রচনার মাধ্যমে কার্যকর পুলিশ প্রশাসন গড়ে তুলে জনগণকে রাষ্ট্রপ্রদত্ত সেবা প্রদান করে জনগনের হৃদয়ে ঠাঁই করে নেওয়ার মাঝেই রয়েছে একজন চৌকস, দক্ষ ও অভিজ্ঞ পুলিশ কর্মকর্তার সফলতা। সেই দুরহ কাজটি অত্যন্ত সফলতার সাথে করতে সক্ষম হয়েছেন বরগুনার এসপি মারুফ হোসেন। স্বমহিমায় নিজে যেমন ভাস্বর হয়েছেন ঠিক তেমনি ভাস্বরিত করেছেন বরগুনা বাসীকে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সাফল্য নিষ্ঠার সাথে রাষ্ট্র অর্পিত যে কোন কাজ সুনিপুন ও দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করতে বদ্ধ পরিকর ছিলেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বরগুনার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ব্যক্তি জীবনে এক কন্যা সন্তানের জনক পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনের রয়েছেন গৌরবোজ্জ্বল্য পারিবারিক ইতিহাস। তার পিতা এম আনোয়ার হোসেন ও মাতা খায়রুন্নেছার ঔরসে পিরোজপুরের এই কৃতি সন্তান ১০ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ছোট বেলা থেকে পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে তার দীপ্ত পথচলা। এসপি মারুফ হোসেন ১৯৮৮ সালে পিরোজপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, ১৯৯০ সালে সরোওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি, ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন। ২২ তম বিসিএস ক্যাডার হিসেবে ২০০৩ সালে ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন এসি হিসেবে। সারদা ট্রেনিং শেষে ২০০৫ সালে সিআইডি’তে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে সিএমপি’তে যোগদান করেন পাঁচলাইশ জোনে। এই সময় তিনি র‌্যাব-৭ও এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে ডিএমপির এসিডিবি হিসেবে গুলশানে যোগদান করেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পরে এসিডিবি হিসেবে মিরপুরে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

২০০৯ সালে সাইবেরিয়া মিশনে যোগদান করেন। ২০১০ সালে ট্রাফিক এন্ড ডাইভিং স্কুল (টিডিএস) দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালে সুদানে দারাফু মিশনে যোগদান করেন। সুদানের দারাফু মিশন শেষে ২০১৪ সালে এসএমপি’তে যোগদান করেন। ৩ মাস সফলতার সাথে দায়িত্ব পালনের পর লক্ষীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

এরপর ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৬ সালে (ডিবি.ডিসি) হিসেবে আবারও সিএমপি’তে যোগদান করেন। এরপর ২০১৭ সালে সিএমপির পুলিশ লাইনে পরিবহন পুলের সাপ্লাইয়ার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৩.০৮.২০১৮’তে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন অদ্যাবদি।

নিজের সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার এবং বরগুনার আইন-শৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে “অপরাধ বিচিত্রা”কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন-মাদক, জঙ্গী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সকে সামনে রেখে বরগুনার মাটি থেকে মাদক, জঙ্গী ও সন্ত্রাস নির্মূলে আমি বদ্ধপরিকর। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যাপক ব্যবস্থা আমি গ্রহণ করেছি এবং মাদক ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক সমূলে উৎপাটন করতে সক্ষম হয়েছি।

জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং বরগুনার মাটিতে কোন জঙ্গী কার্যকম যেন না চলে সে ব্যাপারে মাঠে স্পেশাল টীম কাজ করছে। দেশ জুড়ে আলোচিত “রিফাত হত্যা” মামলার তদন্ত কার্যকম অত্যন্ত সুষ্ঠ এবং স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে। মা-বাবা এবং পিরোজপুর বাসীর ভালোবাসা ও দোয়ার বদৌলতে আজ আমি এই পর্যায়ে এসেছি। এই কারণে আমি মহান আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

বরগুনা বাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান পাওয়া এসপি মারুফ হোসেন তাঁর সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের ব্যাপ্তি এবং মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলে তাঁর প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি নিষ্ঠার সাথে পালন করবে এই প্রত্যাশা সকলের।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eight − one =