আমির হামজা : ঢাকার ধামরাইয়ে বংশী নদীতে বালুদস্যুরা পুলিশকে টাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিনে বালুু উত্তোলনে চলছে হরিলুট । জানাগেছে , ধামরাই উপজেলার বংশী নদীর বালিয়া ,চৌহাট , বাস্তা , গাওতারা , কুশুরা , বাসনা , মহিশাষী , রাজাপুর ,এলাকার বালুদস্যু ইমরান , আলমগীর , আব্বাস , আসলাম , আবুশামা , পলাশ সাইফুল কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । এদিকে দীর্ঘ দিন ধরে প্রভাবশালী বালুদস্যরাু স্থানীয় কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করেই চলছে । যেন দেখার কেউ নেই , বংশী নদীতে চলছে রাম রাজত কায়েম¡ । গতকাল সোমবার সরেজমিনে তদন্তে গেলে উঠে আসে বংশী নদীর দুনিতী,অনিয়মের কিছু চিত্র । ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড়,ফসলি জমি, মসজিদ,মন্দির,ব্রীজ,কালভার্ট, কবর স্থান , রাস্তা ঘাট এখন ভাঙ্গনের মুখে । বালুদস্যুর দাপটে এলাকার সাধারন লোকজন অসহায় । কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না ভয়ে এরা সরকার দলীয় এমপি ও চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গীয়ে প্রভাব বিস্তার করছে। দিনকালের এ প্রতিবেদকের সাথে বালুদস্যু ইমরানের সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন , আমরা কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেন বালু উত্তোলন করছি ।
এসিল্যান্ড , ইউ,এন,ও আমাদের ড্রেজারের মোবাইল কোর্ট দিলে তা আমরা আগেই খবর পেয়ে যাই , কারন কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে আমাদের আগেই সতর্ক করে দেন ।
গোপন সুত্রে জানা যায় কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এক উপ- পুলিশ পরিদর্শক এস আইয়ের ম্যাধমে বালুদস্যুরা পুলিশকে মাসে মোটা অংকের মাসোহারর টাকা দিচ্ছেন । পুলিশের ঘুষ বানিজ্যর কারনে ধামরাই বংশী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনেরু ড্রেজার মেশিন বন্ধ হচ্ছে না ।
পুলিশের বিরুদ্বে অভিযোগের ব্যাপারে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক ( ইনচার্জ ) ফজলুল হক সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নাই । ধামরাই সহকারী ( ভুমি ) কমিশনার অন্তরা হাওলাদারের সাধে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।