সাইফুল্যাহ মোঃ খালিদ রাসেল : বাংলাদেশের সমসাময়িক সামাজিক সমস্যাগুলোর মধ্যে মারাতœক আকার ধারন করেছে দুর্নীতি। কারন, একশ্রেনীর মানুষের কাছে দুর্নীতি হলো প্রধান নীতি। উচ্চপর্যায় থেকে তৃনমূল পর্যায় পর্যন্ত সর্বস্থরে দুর্নীতির অবাধ বিচরন। কিন্তু দুর্নীতির কালো মেঘ সরাতে দলীয় এবং ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একান্ত সাক্ষৎকারে এসব কথা বলেন ফেনী-০৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ। বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ক্যাসিনো কান্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এতোদিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করছিলো তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে গিয়ে ইতিমধ্যে অনেক রাঘব বোয়ালকে আইনের আওতায় এনেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর এই চলমান শুদ্ধি অভিযান ইতিমধ্যে অনেকটাই ফলপ্রসু এই অভিযান অব্যাহত থাকলে শুধু মাত্র দল নয় গোটা দেশ এবং জাতি দুর্নীতি মুক্ত হবে। ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে ফেনী-০৩ আসনের সাবেক সাংসদ রহিম উল্যাহ ১৫ই আগস্টের কথা স্মরণ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাঙ্গালী জাতির পথপ্রদর্শক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা চেয়েছিলো জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে এবং অগ্রগতির চাকা পশ্চাৎমুখী করতে। কিন্তু জাতির এমন সংকটময় মূহুর্তে পূনরায় সরকার গঠন করে উন্নয়নের হাল ধরে ছিলেন জাতির পিতা সুযোগ্য কন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিটি পদক্ষেপেই এসেছে সফলতা। শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, বাসস্থান, যোগাযোগ এমনকি বিচার ব্যবস্থায় ঘটেছে আমূল পরিবর্তন।
কিন্তু জাতির এমন সংকটময় মূহুর্তে পূনরায় সরকার গঠন করে উন্নয়নের হাল ধরে ছিলেন জাতির পিতা সুযোগ্য কন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিটি পদক্ষেপেই এসেছে সফলতা। শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, বাসস্থান, যোগাযোগ এমনকি বিচার ব্যবস্থায় ঘটেছে আমূল পরিবর্তন।
তাঁর হাত ধরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। বাঙ্গালী আজ বিশ^ দরবারে মাথা উচুঁ করে দাড়াতে পারে। শুধু তাই নয় চলমান দুর্নীতি প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ভূমিকার ফলে দুর্নীতি আজ বিলুপ্তির পথে।
শেখ হাসিনার এমন সফলতায় তিনি আন্তর্জাতিক ভাবেও প্রশংসনীয়। স্বীকৃত হয়েছেন বিরল সম্মানেও। সাবেক সাংসদ আরও বলেন, দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত হতে হবে, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্ব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাব দিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। দুর্নীতির অভিশাপ থেকে চিরতরে দেশ ও জাতিকে বাচাঁতে হলে চলমান শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা খুব বেশী দূরে নয়। সবশেষে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে আলাপচারিতা শেষ করেন তিনি।