এখনও কাটেনি বুলবুলের রেশ। সোমবারই দক্ষিণ ২৪ পরগণার বেশ কিছু এলাকা আকাশপথে ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই প্রভাব কাটতে না কাটতেই দেখা মিলল আর একটি ঘূর্নাবর্তের। যার পোশাকি নাম রাখা হয়েছে ‘নাকরি’।
বুলবুল যে ঘূর্নাবর্ত থেকে সৃষ্টি হয়েছিল তার নাম ছিল মাতমো। এই মাতমোর উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ চিন সাগর। মাতমো থেকেই ছিটকে গিয়ে তৈরি হয়েছিল বুলবুল। যা বিরাট ক্ষতি করেছে বাংলার বেশ কিছু অঞ্চলে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছে, ওই একই ধরনের আরও একটি ঘূর্নাবর্ত তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ চিন সাগরেই। যার পোশাকি নাম নাকরি।
আপাতত যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে এই ঘূর্নাবর্ত এবং তা ধীরে ধীরে এগোচ্ছে ভিয়েতনয়ামের ভূমি লক্ষ্য করে। ভিয়েতনামের উপকূলে ব্যাপক ব্রিস্টিপাত ঘটানোর পর কিছুটা শক্তিক্ষয় হবে এই নিম্নচাপটির। এরপর দক্ষিণ থাইল্যান্ড অতিক্রম করে মায়ানমারের দক্ষিণ ভাবে এসে পৌঁছবে এই ঘূর্নাবর্ত। মায়ানমার অব্ধি এসে পৌঁছালেও এই ঘূর্নাবর্তের লণ্ডভণ্ড করার শক্তি তেমন থাকবে নয়া। খুব বেশি হলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মায়ানমারের পর ফের একবার বঙ্গোপসাগরের ওপরে আসবে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা এখানেই। বঙ্গোপসাগর থেকে ফের একবার শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এই ঘূর্নাবর্ত। আর তা যদি হয়, তবে ফের বিপদ ঘনাবে ভারতের দক্ষিণভাগে। ‘নাকরি’র মুখোমুখি হতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাকে। কিন্তু এই ঝড় কবে নাগাদ ভারতে এসে পৌঁছাবে সে সম্পর্কে কোনও সঠিক তথ্য এই মুহূর্তে জানা যায়নি।