Site icon Aparadh Bichitra

শিশুটির সঙ্গে থাকা তার মা ও দাদির খোঁজ পাওয়া যায়নি

হাসপাতালে শুয়ে কাঁদছে শিশুটি। কেউ একজন তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু কান্না যেন কিছুতেই থামছে না। সে সময় আতঙ্কগ্রস্ত শিশুটি তার নামও বলতে পারছিল না। পরে অবশ্য তার নাম জানা যায়। তবে এখন পর্যন্ত শিশুটির সঙ্গে থাকা তার মা ও দাদির খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দেখা গেছে এমন চিত্র। দুর্ঘটনার পর ওই মেয়ে শিশুটিকে উদয়ন এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা।

তবে হাসপাতালে ভর্তির পর শিশুটি নাম বলতে পারছিল না। পরে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তার অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেছে। জানা গেছে, শিশুটির নাম নাইমা।

শিশুটির চাচা মানিক জানিয়েছেন, তিনি ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। শিশু নাইমাকে নিয়ে সিলেট থেকে তার মা কাকলী ও দাদী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চাঁদপুরে ফিরছিলেন। পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় তাদের ট্রেন।

মানিক আরও জানান, মাইমার বাবা মাইনুদ্দিনও দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রওনা দিয়েছেন। কিন্তু তারা কেউই নাইমার মায়ের মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তারা কী অবস্থায় আছেন কিছুই জানতে পারছেন না তারা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭৬ জন যাত্রী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে কসবার মন্দবাগ নামক স্থানে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।