অধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ১,৫০,০০০/- টাকা জরিমানা

0
575

মেসার্স মাহাবুব খান ট্রেডার্স, শরীয়তপুর জেলার প্রধান পাইকারী বিক্রেতা। তিনি ফরিদপুর থেকে ১৪০-১৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে আনেন। আগের দিনের কম দামে কেনা সেই পেঁয়াজের মূল্য তার আংগারিয়া বাজারস্থ আড়তে ১৫১/- টাকা প্রতি কেজি প্রদর্শন করলেও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করেন ১৭৫/- থেকে ১৮০/- টাকা দরে যার রশিদ তিনি প্রদান করেন না।

তিনি মৌখিকভাবে খুচরা ব্যবসায়ীদেরকে উক্ত পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৮০ – ২০০ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশ দেন। শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরজমিনে তদন্ত করে এর সত্যতা প্রমান পাওয়া যায়। এছাড়া তিনি তার পালং বাজারস্থ আরেকটি আড়তে কোনরুপ মূল্য প্রদর্শন না করেই ব্যবসা পরিচালানা করছিলেন যা তার মূল্যে কারসাজির একটি হাতিয়ার। এমতাবস্থায়, পালং বাজারস্থ আড়তে মূল্য প্রদর্শন না করা, আংগারিয়া বাজারস্থ আড়তে প্রদর্শিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করা এবং রশিদ প্রদান না করে মূল্যে কারসাজি করায় তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ১,৫০,০০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহার নির্দেশক্রমে, শরীয়তপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কাজী আবু তাহের ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরীয়ার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অদ্য ১৪/১১/২০১৯ তারিখে অভিযানটি পরিচালিত হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর , শরীয়তপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব সুজন কাজীর নেতেৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন ক্যাব-শরীয়তপুর এর সভাপতি জনাব বিল্লাল হোসেন খান, সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর জনাব মো: আবুল হোসেন এবং শরীয়তপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।

জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twelve − four =