জিনট্যাকের বিক্রিকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত

0
724

এখনকার দিনের মানুষেরা সামান্য কিছু জ্বর-জ্বালা কিংবা পেটে ব্যাথা হোক না কেন ওষুধ খেতে দ্বিধাবোধ করে না। আর অন্যদিকে বাঙালিরা প্রধানত খাদ্যরসিক হয়ে থাকে যার দরুন যেকোনো বাঙ্গালীদের বাড়িতে গেলে কয়েকটি ওষুধের মেলা বাধ্যতামূলক। এই কয়েকটি ওষুধের মধ্যে প্রথম সারির মধ্যে রয়েছে জিনট্যাকের নাম।

সামান্য বুক জ্বালা, সামান্য অম্বলে খালি পেটে একটা জিনটেক্স ট্যাবলেট খেয়ে নিলেই সমস্ত মুশকিল হয়ে যায় আসান।

তবে এবার জিনট্যাকের দেশজুড়ে বিক্রি হওয়ার চিন্তার বিষয় তাই এটিকে তুলে নেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওষুধের নির্মাণকারী সংস্থা তরফ থেকে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউএসএফডি এ জানিয়েছিলেন রর্যানিটিডিন জাতীয় যে কোন ওষুধ থেকে বাড়তে পারে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা। কারণ এই ওষুধ তৈরীর মধ্যে রয়েছে এনডিএমএ নামক বস্তু যার মধ্যে থেকে হতে পারে ক্যান্সার‌। আর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এর তরফ থেকে আপাতত জিনট্যাকের বিক্রিকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে শুধু জিনট্যাকেরই বিক্রি নয় বাজার থেকে রর্যানিটিডিন জাতীয় যতরকম ওষুধপত্র রয়েছে সেসব ওষুধগুলো বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জিএসকে নামক এই সংস্থার তরফ থেকে। তবে এখন এই বিষয় নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে এই সংস্থা। কাজের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে আপাতত নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্তটিকে। তবে যে শুধুই জিনট্যাকেই নয় রর্যানিটিডিন ঔষুধ গোটা বিশ্বের নানা নামে নানা ব্র্যান্ডে বিক্রি হয়ে থাকে।

তাই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে সম্প্রতি ইউএসএফডি রিপোর্ট পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে। আর তারপরই রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের অন্য কোথাও যাতে রর্যানিটিডিন জাতীয় ওষুধ তৈরি হলে তা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার এতদিন এই ওষুধটি ভারতেই তৈরি হতো যা হায়দ্রাবাদেই ছিল। আরো বলে রাখি গতকালই ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফ থেকে যার নাম গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনকে কাজের তরফ থেকেই রর্যানিটিডিন জাতীয় ওষুধ কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen − 4 =