Site icon Aparadh Bichitra

ইমাম কর্তৃক একাধিবার ধষর্ণের শিকার ১৫ বছর বয়সী কিশোরী

রাজশাহীর পুঠিয়ায় আরবি পড়তে গিয়ে মসজিদের ইমাম কর্তৃক একাধিবার ধষর্ণের শিকার হয় স্থানীয় ১৫ বছর বয়সী কিশোরী।এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ইমাম ইয়াকুব আলী (৩৫) ও তার অপর এক সহযোগী ইমাম আব্দুল আলীমকে (৪০) আটক করেছেন পুলিশ।

অপরদিকে ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। গত (২৫ নভেম্বর) সোমবার উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের নতুন গাঁওপাড়া জামে মসজিদে এঘটনা ঘটে।

আটককৃত ইমাম ইয়াকুব আলী নরসিংদী জেলা সদর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ও তার সহযোগী ইমাম আব্দুল আলীমের পরিচয়ের বিস্তারিত পাওয়া যায়নি।

নতুন গাঁওপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মহির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইমাম ইয়াকুব আলী ছোট থেকে এই এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসায় লেখাপড়া শেষ করেছে।

এই সুবাধে তিনি দীর্ঘদিন থেকে আমাদের মসজিদে নামাজ পড়াতো। পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের আরবি পড়াতো। তার কাছে আরবি পড়তে আসতো এই গ্রামেরই কিশোরী।

সংসারের টানপড়েনের করণে গত দুবছর থেকে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। মেয়েটির সরলতার সুযোগ নিয়ে ইমাম মসজিদের খাস কামরায় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।

এতে করে এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। প্রায় মাসখানেক আগে ইমাম অতি গোপনে ওই মেয়েটির গর্ভপাত ঘটান। এই বিষয়টি মেয়েটি পরিবার বুঝতে পেরে গ্রামের কয়েকজন মুরব্বিদের অবহিত করেন।

পরে গত ৬ দিন আগে গ্রামের লোকজন মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে সালিশ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ইমাম ওই মেয়েটির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দুলাখ টাকা দিতে হবে।

কিন্তু ইমাম ক্ষতি পূরণ না দিয়ে উল্টো ওই পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। পরে মেয়েটির পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী মেয়েটি পিতা বাদী হয়ে ইমামসহ তিনজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গতরাতে ওই ইমামসহ তার একজন সহযোগীকে আটক করেছেন। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে ইমামের অপর সহযোগীকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।