সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের মানহানি, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ !

0
794

ডিজিটাল প্রতারকের মুখোশ উন্মোচন করে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার (মানহানি) করার ঘটনায় থানায় জিডি হলেও ১১৬ দিনেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। বর্তমানেও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছবি সহ অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত ব্যক্তি। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ছোট শিবের চর গ্রামের হাবিবুর রহমানের (গ্রাম পুলিশ) ছেলে আতিকুর রহমানের (৪০) নাম উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা তুরাগ থানায় জিডি করেন তাজা খবর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও সময়ের কন্ঠস্বরের নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল ইসলাম দয়া। জিডি নং- ২২৬, তারিখ ০৫/০৭/২০১৯ ইং।

জানা গেছে, আতিকুর রহমান নিজেকে মানবাধিকার চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পরিচয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত। তিনি বর্তমানে রাজধানীর মিরপুর থাকেন। সংগঠনের সরকারিভাবে নেই বৈধতা, ফেসবুকেই চলে অপকর্মের কার্যক্রম। নিজেকে ক্রাইম পেট্রোলের নিবাহী সম্পাদক, একটি টিভি চ্যানেলের মালিক ও তদন্ত কর্মকর্তা পরিচয়ে অপকর্ম করছে।

আইডি কার্ড বিক্রি সহ তদন্তের নামে সাধারণ মানুষের কাছে আর্থিক ফায়দা লুটছে। তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি ফোন রেকর্ড সহ প্রতারক আতিকুরের মুখোশ খুলে গনমাধ্যমে ‘এক ভিজিটিং কার্ডেই ২১ পদবী ও ডিজিটাল প্রতারক আতিকুর, প্রতারণার খুঁটি মিরপুর’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া।

আতিকুরের অপকর্মের একাধিক ফোন রেকর্ড গনমাধ্যম কর্মীর কাছে দেয় তাঁরই এক সাবেক কর্মী। মিডিয়ার কাছে মুখ খুলে রিতিমত ব্লাকমেইলের শিকার হচ্ছেন সাবেক ওই কর্মী। নেটি দুনিয়ায় ডিজিটাল প্রতারক হিসেবেও খ্যাত এই আতিকুর রহমান।

বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রতারণার সংবাদ প্রকাশিত পর থেকেই সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার করে মানহানি করছে ডিজিটাল প্রতারক চক্র। আতিকুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি : ‘আতিকুর রহমান আতিক ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা’ নামের আইডি সহ বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার করছে। এবিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা তুরাগ থানায় জিডি করা হয়।

আতিকুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি : ‘আতিকুর রহমান আতিক ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা’ নামের আইডি সহ বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার করছে। এবিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা তুরাগ থানায় জিডি করা হয়।

সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া জানান, সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে ওই প্রতারক সিন্ডিকেট অপপ্রচার চালাচ্ছে। থানায় জিডি করার পরেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। আমাকে জিডির কাগজসহ সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ দিতে বলেছে থানার কর্তা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 + six =