রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী উপজেলার সীমান্ত ঘেষা বড়াইবাড়ী, বড়াইবাড়ী বিজিবি, ঝাউবাড়ী, পুর্ব বারবান্দা, চুলিয়ারচর, বাওয়াইর গ্রাম, বকবান্দা, খেওয়ারচর, পূর্ব দুবলাবাড়ী, পাটা ধোয়াপাড়া, চর কলাবাড়ী, কলাবাড়ী, দুবলাবাড়ীসহ প্রায় ১৩টি গ্রামের ২২ হাজার মানুষ দন্নী নদীর উপর ৬৬ মিটার ও জিঞ্জিরাম নদীর উপর ৮৫ মিটার ব্রীজ ২টি নির্মানে ঠিকাদারের গাফিলাতিতে এলাকার মানুষ চরম ভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। রৌমারী উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ঐ গ্রাম গুলো। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের পড়–য়া শিক্ষাথীর্, ব্যবসায়ী, বিজিবি সদস্যগন, সাবেক এমপি রুহুল আমিনসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। ইজলামারী নদীর উপর সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সরকারী বরাদ্দ দেয়া ব্রীজটি নির্মান কাজে গাফিলাতিতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার ঐ ১৩ গ্রামের মানুষ।
এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন থেকে দন্নী ও জিঞ্জিরাম নদীতে নৌকা কিংবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাট-বাজার স্কুল কলেজে চলাচল করছে। দীর্ঘদিনের দন্নী ও জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রীজের দাবীতে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিনের প্রচেষ্টায়
এলাকার মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য ২টি ব্রীজের বরাদ্দ পাশ করেন যাহা দন্নী নদীর উপর ২কোটি ২৯ লাখ টাকা ও জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রীজটি ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
্রচেষ্টায় এলাকার মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য ২টি ব্রীজের বরাদ্দ পাশ করেন যাহা দন্নী নদীর উপর ২কোটি ২৯ লাখ টাকা ও জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রীজটি ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
গত ২০১৮ সালের শেষের দিকে দন্নী নদীর ব্রীজের কাজটি এবং জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রীজটি ২০১৭ সালের শেষের দিকে ২টির নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারের গাফিলাতিতে অদ্যবধি ব্রীজের নির্মান কাজটি শেষ হয়নি।
এবিষয়ে সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এমপি হওয়ার পরপরেই এই এলাকার মানুষের জিঞ্জিরাম নদীর উপর দীর্ঘদিনের দাবী এবং আমার বাড়ীও তাদের সাথে সেই সুবাদে এমপি হওয়ার পরেই দন্নী নদীর উপর ও জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রীজের বরাদ্দ এনে দেওয়া হয়, তা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার কাজটি পায়।
গত ২০১৮ সালে দন্নী ও ২০১৭ সালের শেষের দিকে জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রীজ ২টির নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ এলাকার জনমানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষে আমার দাবী যত দ্রুত সম্ভব ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ করে এলাকার মানুষের চলাচলের ভোগান্তি নিরসন করা হউক।
অপরদিকে উপসহকারী প্রকৌশলী মেজবাহ উল আলম বলেন, জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রীজটি অতিতারাতারি কাজ শুরু হবে। তবে দন্নীর উপর ব্রীজটি বারবার বন্যার কারনে কাজ নির্মানে দেরী হচ্ছে।
আমরা ঠিকাদারের সাথে কথা বলে চেষ্টা করছি যত তারাতারি পারি কাজ শেষ করার। ২টি ব্রীজের ঠিকাদারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি।