সুনামগঞ্জ জেলা জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগে

0
874

সুনামগঞ্জ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান ও সদর সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সোলেমান মিয়া এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার এনামুর রহিম বাবরের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জুলুমের  বিচার চেয়ে ২৪ নভেম্বর ১১-২০১৯ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়,সুনামগঞ্জ জেলার স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সোলেমা মিয়া ও সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুর রহিম বাবর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গ্রুপ গঠন করে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও জুলুম এর মাধ্যমে অত্র জেলা শিক্ষা অফিস কুক্ষিগত করে রেখেছেন।

ডেপুটেশন বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে দুর্বল ও সাধারণ শিক্ষকদের হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহার, কৌশলে প্রধান শিক্ষক অথবা ম্যানেজিং কমিটির দ্বারা শোকজ বাণিজ্য,  সুন্দরী শিক্ষিকাদের টার্গেট করে  চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে আর্থিক ও দৈহিক সুবিধা আদায় করেন।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়,যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের মনোরঞ্জন পূরণ করেন ও আর্থিক সুবিধা প্রদান করেন তাদের জন্য সাত খুন মাপ। তারা স্কুলে না আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে উপস্থিত দেখিয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন সহ যাবতীয় আইন বহির্ভূত সুবিধা ভোগ করেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান, ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা চম্পা রায়ের মাধ্যমে বিগত দুই বছর ধরে বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্যের ঘুষ হিসেবে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন । এই চক্রের সদস্য শিক্ষক সমিতির নেতা হারুনুর রশিদ, নাসরিন আক্তার খানম, আতাউর রহমান, গিয়াস উদ্দিনের নাম ও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপির স্ত্রীর কাছ থেকে দশ মাস স্কুলে অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন, শেষ পর্যন্ত শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয় তাদের দুর্নীতির কারণে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমানকে ২১ আগস্ট ২০১৯ ঘুষ, দুর্নীতির ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মনোয়ারা ইসরাত স্বাক্ষরিত চিঠিতে  চট্টগ্রাম বিভাগে বদলী আদেশ প্রদান করলেও এখনও তিনি সেখানে বহাল তবিয়তে  অবস্থান করিতেছে।

এছাড়াও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সোলেমান মিয়া দীর্ঘ ২২ বছর ধরে অবৈধ ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে  সুনামগঞ্জ পৌরসভা অবস্থিত আনন্দ ডেকোরেটার্স এর পাশে হাছননগর এলাকায় ৫০ লক্ষ টাকা জায়গা কিনেছেন। এ বিষয়ে ৫/৮/২০১৯ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর এলাকাবাসী একটি দরখাস্ত দাখিল করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমানের মুঠোফোনে চ্যানেল বিডিকে বলেন , সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা একটি মহল আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 + 8 =