ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার যুবক নিখিল মণ্ডল সাত বছর আগে বেঙ্গালুরুতে যান গলার টিউমারের চিকিৎসা করাতে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে জানানো হয়, গলার টিউমার মালিগন্যান্ট অর্থাৎ ক্যানসার। সাত বছর কোন চিকিৎসা না হওয়ায় গলার মাংসপিণ্ড বৃহৎ আকার ধারণ করেছিল।
বৃহস্পতিবার গলা থেকে প্রায় ১০ কেজি ওজনের সেই টিউমার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বার করে যুবকের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাল ইনস্টিটিউট অব অটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজি (এসএসকেএম)।
তার অস্ত্রোপচার সহজ ছিল না। ইনস্টিটিউট অব অটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজির সার্জন সৌরভ দত্ত, চিকিৎসক হর্ষধর, সৌমিক বসু জানান, শরীরে যে রক্তবাহী নালীর মাধ্যমে মস্তিষ্ক, ঘাড়, গলায় রক্ত পৌঁছায়-তার নাম ক্যারোটিড আর্টারি। আবার মস্তিষ্ক থেকে যে রক্তবাহী নালী রক্ত সংগ্রহ করে তাকে বলে ইন্টারনাল জুগুলার শিরা। ক্যারোটিড আর্টারি এবং ইন্টারনাল জুগুলার শিরার মাঝে টিউমারটি ছিল। ফুসফুস, অন্ত্র, লিভার, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুসে খবরাখবর যে স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়, সেই ভেগাস স্নায়ু টিউমারের ভারে তিন গুণ লম্বা হয়ে গিয়েছিল। টিউমার ক্যারোটিড আর্টারি যে ভাবে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছিল তাতে সাধারণত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়। যুবকের কথা ভেবে এটা করতে পেরে ভালো লেগেছে।’’
‘ইনস্টিটিউট অব অটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজির বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ সেনগুপ্ত জানান, ‘‘এ ধরনের টিউমার সচরাচর দেখা যায় না। সব দিক বাঁচিয়ে চিকিৎসকেরা যে ভাবে সফল অস্ত্রোপচার করেছেন তা প্রশংসনীয়।’