এস.ডি বাবু: অপরাধ জগতের ভয়ংকর সব অপরাধীদের আতংকের এক নাম অপরাধ বিচিত্রা। এই পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকেই রাজধানী ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অপরাধীদের মুখোশ খুলে দেবার জন্য পাঠক সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তালুকদার মো: শহিদ নামের এক ভদ্রলোক চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে অপরাধ বিচিত্রার অফিসে নিজেকে অভিজ্ঞ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোন করে। এই পত্রিকায় তাহার সংবাদ এবং পরিচয়পত্র পাবার জন্য অফিস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে। তাহার অনুরোধ রক্ষা করলেও গোপনে তার সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু করে অফিস কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে জানা যায় যে, এই তালুকদার মো: শহিদ হচ্ছে বাকেরগঞ্জের ভয়ংকর সন্ত্রাসী বয়োবৃদ্ধ বাদল তালুকদার। যার বিরুদ্ধে ২০১৪ইং সনে অপরাধ বিচিত্রায় তার অপকর্মের ৭ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই প্রতারক নিজেকে কখনো শহিদুল ইসলাম, কখনো টি.এম শহিদ আবার কখনো তালুকদার মো: শহিদ নাম ধারণ করে এবং নিজেকে সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। বরিশালের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক দেশ ও জনপদের স্টাফ রিপোর্টারের পরিচয় দিয়ে ভুয়া ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করতো। ঐ পত্রিকার সম্পাদক এই খরব পাওয়ার সাথে সাথে উক্ত প্রতারককে আউলিয়াপুর থেকে তাকে ধরে নিয়ে বরিশাল সম্পাদকের অফিসে নিয়ে উত্তম-মধ্যম দেয়।
সম্পাদকের পা ধরে মাফ চেয়ে এবং মুচলেকা দিয়ে উক্ত প্রতারক ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ করবেনা বলে ছাড়া পায়। কিন্তু চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী। কিছুদিন পরও আবারও স’মিল ঘাট নামক স্থানে আলমের ইট ভাটায় চাঁদা চাইতে গেলে এলাকাবাসী ধরে উত্তম-মধ্যম প্রহার করলে কোন রকমে পালিয়ে আসে।
বার আউলিয়ার বাৎসরিক অনুষ্ঠানে চাঁদা চাইতে গেলে বাকেরগঞ্জ কলেজের ছাত্ররা তাকে বেদম মারপিট করে। এই প্রতারক বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ ইমাম মাওলানা হেলালুজ্জামানের মাদ্রাসায় চাঁদা চাইতে গেলে মাওলানা তার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে বর্তমানে রায়ের অপেক্ষায় আছে।
এই ভয়ংকর সন্ত্রাসী তার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী রুবেল তালুকদারের পরিবারের উপর প্রায় ৩০ বৎসর যাবত নির্যাতন চালিয়ে আসছে। রুবেল তালুকদারের মালিকানাধীন জায়গা-জমি ও গাছ-পালা নির্বিঘেœ ভোগদখল করে আসছে।
এই প্রতারক নিজেকে যেভাবেই পরিচয় দিক না কেন, এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে গাঁজাখোর ও সন্ত্রাসী বাদল হিসাবেই চেনে। সে বৎসরের ৯ মাস পুলিশের ভয়ে আত্মগোপন করে থাকতো এখন সেই বাদলই নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পুলিশকে অহরহ আতংকগ্রস্থ করে রাখে।
সে বাকেরগঞ্জ থানার বিভিন্ন পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে অহেতুক হয়রানী করে আসছে। তার সর্বশেষ শিকার বাকেরগঞ্জ থানার এস.আই হাবিব। উল্লেখ্য যে, এই বাদল তালুকদারকে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ কমপক্ষে ২৫/৩০ বার হাজতবাস করায়।
বাকেরগঞ্জ থানার সফল একজন আওয়ামীলীগ নেতা ও বিএনপি’র সিনিয়র এক নেতা সহ অসংখ্য শত বর্ষিয়ান বৃদ্ধকে সে কিভাবে অপমান ও শারীরিক লাঞ্ছিত করেছে তা অপরাধ বিচিত্রার আগামী সংখ্যায় প্রকাশিত হবে…………..চলবে।