“বাপ-বেটার অপকর্ম-১” রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বড় ভাই মন্তাজউদ্দিনের নির্যাতনে অসহায় ছোট ভাই নাজিমউদ্দিন

0
1218

এস.ডি-বাবু: লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। চিরন্তন এই সত্য বাণীটুকু বর্তমানে সভ্য সমাজের মানুষগুলো ভুলে গিয়ে যেভাবে অপরাধের প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে তারা যেন মৃতুকে বেমালুম ভুলে গেছে। শুধুমাত্র সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য আপন রক্তের ছোট ভাই ও তার পরিবারকে দীর্ঘ ৪৫ বৎসর যাবত অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে রাজধানী মোহাম্মদপুরস্থ নবোদয় হাউজিং এর বাসিন্দা বড় ভাই মন্তাজ উদ্দিন ও তার দুই ছেলে রফিকুল ও সানাউল্লাহ। মোহাম্মদপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মরহুম কাপ্তান মিয়া মৃত্যুর সময় চার ছেলে, তিন মেয়ে ও স্ত্রী সহ ঢাকা শহরে ৮/১০ টি বাড়ী ও প্রচুর টাকা-পয়সা রেখে মারা যান। পিতার মৃত্যুর পর সব সম্পত্তি একাই ভোগ করার জন্য বড় ভাই মন্তাজ উদ্দিন তার স্ত্রীর সহযোগিতায় সব ভাই-বোনদের কাছ থেকে প্রতারণা করে নিজের নামে আম-মোক্তার (পাওয়ার) নিয়ে নেয়। একমাত্র সেজ ভাই নাজিম উদ্দিন ঐ আম-মোক্তার নামায় সই না দিলে তার উপর নেমে আসে কঠোর নির্যাতন। নাজিম উদ্দিনের ভাষ্য মতে জানা যায় যে, মোহাম্মদপুরের নাজিম উদ্দিনের বাড়ীর একটি অংশে জোরপূর্বক দখল করে বড় ভাই মন্তান উদ্দিনের বড় ছেলে সানাউল্লাহ আয়েশী জীবন-যাপন করছেন। আরেকটি বাড়ীর ভাড়ার মোট অংশের টাকা ভোগ করছেন ছোট ছেলে রফিকুল।

নাজিম উদ্দিন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন-পিতার মৃত্যুর পর আমি অনেক কষ্ট করে জীবন-যাপন করেছি। বর্তমানে কোটি টাকার সম্পদ থাকা সত্ত্বেও আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ীর ড্রাইভারের চাকুরী করে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করছি।

পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে আমার প্রাপ্ত সম্পত্তি আমার বড় ভাইয়ের ছেলেরা জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল করে আয়েশী জীবন-যাপন করছে অথচ আমি ও আমার সন্তানদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে অহেতুক হয়রানী করছে।

আমার বড় ভাই মিথ্যা ভাবে নারী কেলেংকারীতে আমাকে জড়িয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের রায়ে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে আমি আদালত হতে বেকুসুর খালাস পাই। প্রকাশ থাকে যে,

পুনরায় আরেকটি মেয়ে দিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমার বড় ভাই ও তার ছেলেরা নিজেরা মামলায় জড়িয়ে যায়। তাদের প্রভাব এবং কোটি-কোটি টাকা থাকার কারণে তারা ঐ মামলা থেকে রেহাই পায়। নাজিম উদ্দিন এ ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য সহযোগিতা নিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন:

ভাই শত শত মানুষের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে বড় ভাই মন্তাজ উদ্দিন ও তার ছেলে আমার স্ত্রীর গায়ের উপর উঠে মারধোর করে অজ্ঞান করে ফেলে রাখে। আমার বড় ছেলের মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে থানায় গিয়ে ডাইরী করলে তার কোন সুরাহা হয়নি।

এভাবে আরও কয়েকবার নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে থানায় কমপক্ষে ২০টি জিডি করা হলেও মন্তাজ উদ্দিনের প্রভাবের কারণে পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বর্তমানে আমার আত্মসম্মান এবং আমার পরিবারের জীবন রক্ষার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মানবাধিকার কমিশনারের বরাবরে একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।  চলবে….

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 − 6 =