ভুয়া মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভূমিদস্যু সজিব-বাবলু সিন্ডিকেট

0
700

মো: আহসানউল্লাহ হাসান: হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জে কুখ্যাত ভূমিদস্যু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিব ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক বাবলু রায় সিন্ডিকেট নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে প্রতিবাদকারীদের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভুয়া মামলা দায়ের করে এখন দুজনেই এলাকা ছেড়ে লাপাত্তা। কারন বিজ্ঞ আদালত দ্বিতীয় শুনানীতেই মামলাটি খারিজ করে দেয়ায় সজিব-বাবলু সিন্ডিকেটের মুখোশ খুলে যাওয়া তারা এলাকা ছেড়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছে বলে জানায় এলাকাবাসী । অনুসন্ধানে জানা গেছে, হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের দীর্ঘদিনের সুনামকে কৌশলে সাইনবোর্ড বানিয়ে আজমিরিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিব, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক বাবলু রায়, উক্ত কমিটির সদস্য কবীর মিয়া, জাল দলিল বানানোর মুলহোতা-শিশু অপহরন সহ একাধিক মামলার আসামী আলমাছ মিয়া, সজিবের ক্যাশিয়ার বলে খ্যাত তার আপন মামা ঈদ্রিস মিয়াকে নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে জাল জালিয়াতির মাধমে অন্যের জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ চিটিং-ফিডিংয়ের ফাঁদে ফেলে সাধারন মানুষের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। আর এই বাহিনীর অপকর্মের চিত্র এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে তুলে ধরলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।

কিন্তু সজিব-বাবলু সিন্ডিকেট নিজেদের ক্ষমতার আধিপত্য ধরে রাখতে প্রতিবাদকারীদের হয়রানী করার জন্য সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্যের উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ঠুকে দেয়। তবে মজার একটা প্রবাদ বাক্য আছে-খায় দায় চাঁন মিয়া আর মোটা হয় জব্বর। অর্থাৎ ফেইজবুক ব্যবহারকারীরা সজিবের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আওয়াজ তুললেও মামলা করেছে বাবলু রায়।

যেঘটনার সাথে মামলার বাদীর কোন ধরনের সম্পর্ক নেই। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, মাননীয় আদালত মামলটি দ্বিতীয় শুনানীতেই খারিজ করে দেয়ায় এখন ফাঁদে পড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সজিব-বাবলু সিন্ডিকেট। পাঠকের আগ্রহে উক্ত মামলার বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্যগুলো পুনরায় এবারের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো:-

প্রথমমতো মামলায় উল্লেখিত ঘটনাগুলো সজিবের নামে প্রকাশ করা হলেও বাবলু রায় কোন উদ্দেশ্যে মামলার বাদী হয়েছে সেই রহস্যও সামনে চলে এসেছে। বাবলু রায় আজমিরিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। সে মামলায় উল্লেখ করেছে ফেইজবুকে আসামীরা পোষ্ট দিয়ে সজিবের চরম ক্ষতি সাধন করেছে। অথচ নিজের কি ক্ষতি করেছে তার সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা দেননি।

ঘটনা সত্য মিথ্যা যাহাই হউক না কেন তার জন্য সজিব বাদী হয়ে মামলা করতে পারতো। কিন্তু বাবলু রায় কেন এধরনের আবেদনে মামলা করেছে সেই রহস্য উদ্ঘাটিত হয়ে গেছে। এলাকাবাসী জানায়, সজিবের নানা অপকর্মের মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একাংশের গোপন অংশীদার ছিলেন বাবলু রায়। বাবলু রায় সজিবের প্রতিটি অপকর্মের পেছন থেকে সহযোগিতা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

মামলার ১নং আসামী আমিনুল হক সম্পর্কে বাবলু রায় উল্লেখ করেন, আমিনুল হক তাহার ব্যবহৃত বেনামী ফেইজবুক আইডি জ্যাকম্যান থেকে “আজমিরিগঞ্জ উপজেরার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সব যুবলীগের কর্মী ভাইদের কে বলছি *ভূমিদস্যু সজিবকে বর্জন করুন” শিরোনামে একটি লেখা পোষ্ট করেছে। যাতে আমার ও আজমিরিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান, আজমিরিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিবের ছবি পোষ্ট করা হয় এবং ছবিতে ক্রস চিহৃ দেয়া হয়।

পোষ্ট করার কিছুক্ষনের মধ্যেই ১টি শেয়ার ও ২জন কমেন্টেস করেন। যা অন্তত ৪৩ জন জনকে ট্যাগ করা হয়েছে। একটি পত্রিকার কাটিং পোষ্ট করে লিখে-“স্বর্নচোর সজিব দেখবে কি করে ধরা পড়ে’ জেলা যুবলীগের সেলিম ভাইকে অনুরোধ করছি লম্পট, বাটপার, চাঁদাবাজ, থানার দালাল, ভূমিদস্যু, বাবলু ও সোনাই সজিবকে বর্জন করুন”।

বাদীর বক্তব্য অনুসারে আসামী আমিনুল হক তার কি ক্ষতি করেছে তার সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা নেই। এটা থেকেই বুঝায় যে, মায়ের চাইতে মাসির দরদ বেশী। অর্থাৎ  আমিনুল হকের জমিদখল নিতে তাকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যেই সজিব সিন্ডিকেটের হয়ে বাবলু রায় মুলত এই মামলার বাদী হয়েছে। তবে পুলিশ প্রশাসনের কাছে এলাবাসীর দাবী তারা যেন মামলাটির সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে।

এব্যাপারে আমিনুল হক বলেন, আমি ফেইজবুকে কারোর সম্পর্কে কোন পোষ্ট দেননি এবং ফেইজবুকের জ্যাকম্যান আইডিটি আমার নয়। জ্যাকম্যান আইডিতে পোষ্টকৃত তথ্যগুলোর জন্য জ্যাকম্যানই দায়ী। এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমাকে অযথা হয়রানী করার জন্য সজিবের আজ্ঞাবহ বাবলু রায় আমার নামে মামলা দায়ের করেছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনের কাছে আমি সুবিচার প্রার্থনা করি।

মামলায় ১নং আসামী আমিনুল হক সম্পর্কে বাদী বাবলু রায় আরো উল্লেখ করেছেন, শ্যামল মিয়া নামের আরেকটি আইডি থেকে “সজিব থেকে সম্রাট সজিব, সম্রাট সজিব, অবশেষে জুতার দোকান, ফুল দিয়ে বরণ, বামে ডানে পিছনে জুতার বাহার,

অল্প দিনে বেশ নাম ডাক হইচই বাধিয়ে দিয়েছে এলাকায়” ইত্যাদি লিখে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান সজীবের একটি সংবর্ধণার ছবি বিকৃত করে পোষ্ট করে সজিবের ক্ষতি সাধন করেছে। বাবলু রায়ের এই বক্তব্যের আলোকে সম্মানিত পাঠকের কাছে সচেতন মহলের প্রশ্ন হলো আমিনুল হক এখানে বাবলু রায়ের কি এমন ক্ষতি করেছে যার কারনে বাবলু রায় আমিনুল হকের নামে মামলা করেছে।

তবে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানী টিমকে এরাকাবাসী জানায়, মুলত সজিব-বাবলু সিন্ডিকেট তাদের অপরাধ সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্যই ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রতিবাদকারীদের নামে এমন হয়রানী মুলক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কারন একজনের নামে মামলা দিলে সমাজের আরো দশজন নিশ্চুপ হয়ে যাবে। ফলে তাদের অপকর্মের পথে আর কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

মামলার ২নং আসামী মোহাম্মদ আল-আমিন সম্পর্কে বাদী বাবলু রায় উল্লেখ করেছেন, আল-আমিন তার নিজ নামীয় ফেইজবুক আইড থেকে “আজমিরিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা ধান্ধাবাজী করে জিরো থেকে হিরো” লিখে পোষ্ট করেছে। তাতে “আজমিরিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিবের ছবিও রয়েছে।

তাছাড়া আসামী মোহাম্মদ আল-আমিন সম্রাট তাহার ফেইজবুক আইডি থেকে বিভিন্ন সময় “আমরা দেশকে নিরাপদ রাখতে অবৈধ লাইসেন্সবিহীন এই সরকারের পদত্যাগ চাই, অবৈধ সরকারের কাপুরুষ পোলাপান ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের অবশ্যই বিচারের সম্মূখীন করা হবে” “মিশন শুরু, আল্লাহ জানে ভাগ্যে কি আছে” ইত্যাদি লিখে আমার রাজনৈতিক দল যুবলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক মমিনুর রহমানের ব্যক্তিগত মান সম্মান ইজ্জতহানী করেছে এবং সমাজে আতংক ও ভীতির সৃষ্টি করেছে।

তবে বাবলু রায়ের এই বক্তব্যে আলোকে একজন আইজীবী বলেন, বাবলু নিজেই আইনের কাঠগড়াকে সুস্পষ্ট করে দিয়েছে এঘটনায় তার নিজের কোন ক্ষতি হয় নাই। তাহলে কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে বাবলু রায়ের মোহাম্মদ আল-আমিন সম্রাটকে মামলায় আসামী করেছে তার সুবিচার একমাত্র আইনের কাঠগড়াই ভালো করবে আশা রাখি।

মামলার ৩নং আসামী কবির মিয়া সম্পর্কে বাদী বাবলু রায় উল্লেখ করেছেন, কবির মিয়া “আজমিরিগঞ্জ উপজেলার খবর” নামক ফেইজবুক আইডি থেকে “বাটপার সজিবের বাটপারিতে অতিষ্ট আজমিরিগঞ্জবাসী” শিরোনামে একটি লেখা পোষ্ট করে, যাতে একটি ছবিও রয়েছে। ছবিতে উপরোক্ত আসামীকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়।

উক্ত আসামী ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে তার লোকজন দ্বারা ফেইসবুক আইডি থেকে তার বক্তব্য লাইভে প্রচার করে। যা ইনজামাম উল হক নামক ফেইজবুক আইডি থেকে কোন কোন আসামীর ভিডিও বক্তব্য পোষ্ট করা হয়। উক্ত আসামী ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করে অপরাধ করিয়াছে। এখানেও বাদী বাবলু রায় আসামী কবির মিয়ার দ্বারা সজিবেরই কেবল ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে দাবী করেছেন।

নিজের কোন ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়েছে তার সুস্পষ্ট কোন প্রকার ব্যাখ্যা প্রদান করেনি। তাহলে কেন কবির মিয়াকে এই মামলায় আসামী করা হলো এমন প্রশ্নে বাবলু রায় শুধু নিবতাই পালন করে। তবে সুত্র জানায়, শরিফনগর পাতিলহাটি গ্রামের মৃত নান্দু কুরির পুত্র কবির মিয়া নামে কোন ব্যক্তির অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি।

কিন্তু শরিফনগর পাতিল হাটি গ্রামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতার কবির মিয়া নামে এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। উক্ত কবির মিয়া কর্তৃক জাতীয় ১৫ই আগষ্ট শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানের ব্যানার বাবলু রায় হামলা চালিয়ে জনসম্মূখে ছিড়ে ফেলে। ধরণা করা হচ্ছে এই কবির মিয়াকে ফাঁসাতেই বাবলু রায় তাকে মিথ্যা মামলায় আসামী করেছে।

মামলার ৪নং আসামী লিটন মিয়া সম্পর্কে বাদী বাবলু রায় উল্লেখ করেছেন, লিটন মিয়া তার ব্যবহৃত মন্টু মিয়া নামক ফেইজবুক আইডি থেকে “হবিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সজিবের ভূমিদস্যুতায় দিশেহারা এলাকাবাসী, ষ্টার্টাড নিউ জব এট সুদের ব্যবসা, শতকরা ৪ টাকা দরে টাকা লাগাই, যুবলীগ নামধারী প্রতারক সজীবের মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ” নামক পোষ্টের সাথে সজিবের (২নং স্বাক্ষী) ছবি পোষ্ট করা হয়।

উক্ত আসামী নিজের নাম পরিচয় গোপন করে আমার দলের ও ২নং স্বাক্ষী সজিবের মান সম্মানহানী জনক বক্তব্য ফেইজবুকে প্রচার করে অপরাধ করেছে। বাবলু রায়ের এই বক্তব্যে একথা সুস্পষ্ট প্রমানিত হয় যে, মন্টু মিয়া নামক ফেইজবুক আইডি থেকে লিটন মিয়া বাবলু রায়ের কোন ক্ষতি করেনি।

তাহলে লিটন মিয়াকে এই মামলায় কেন আসামী করা হয়েছে এমন পশ্নে সুনিদিষ্ট কোন উত্তর দিতে পারেনি মামলার বাদী বাবলু রায়। তবে সুত্র জানায়, সজিব সিন্ডিকেটের নানা অপকর্মের নেপথ্যের নায়ক বাবলু রায়। বাবলু রায় মুলত মানুষকে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই এভাবে  লোকজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসায়।

মামলার ৬নং আসামী সাব্বির রহমান সম্পর্কে বাদী বাবলু রায় উল্লেখ করেছেন, সাব্বির রহমান তাহার নিজ নামীয় ফেইজবুক আইডি থেকে “সুপ্রিয় আজমিরিগঞ্জবাসী আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, ভূমিদস্যু ও সকল অপকর্মের মাথা মমিনুর রহমান সজীব আজমিরিগঞ্জ উপজেলায় মাত্র কয়েক বছর ধরে জন্ম নিছে,

৪-৫ হাজার টাকার বেতনের কর্মচারী রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক কিভাবে হলেন, ১। জমি দখল ২। জাল দলিল সৃজন ৩। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ৪। দালালী ইত্যাদি মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করে ডিজিটাল আইন লংঘন করে অপরাধ করিয়াছে।

বাবলু রায়ের এই বক্তব্যে তার নিজের কোন ক্ষতি হয়ে বলে কোন সুস্থ্য লোক বিশ^াস করবে না। সাব্বিরের রহমানের আইডি থেকে প্রকাশিত এই বক্তব্যে সাথে বাবলু রায়ের কোন সম্পর্ক প্রতীয়মান হয় না। তাহলে কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে বাবলু রায় এই মামলায় সাব্বির রহমানকে আসামী করেছে তা কেবল সচেতন লোকজনই ভালো বলতে পারবে।

সুত্র জানায়, আজমিরিগঞ্জ উপজেলার আজিম নগর গ্রামের মরহুম রসিদ বক্সের ৭০/৮০ বছরের রেকর্ডীয় সম্পত্তি হতে ১ একর ৯৮ শতাংশ কৃষি জমি জাল দলিল তৈরি করে দখলে নেয়ার জন্য উক্ত জমিতে স্থাপিত রসিদ বকস জুনিয়র স্কুলের সাইনবোর্ড সহ সীমানা প্রাচীর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দেয় সজিব সিন্ডিকেটের নেপথ্যের নায়ক আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক বাবলু রায়। একারন সজিবের অপকর্ম আড়াল করতে ও মামলার ফাঁদে ফেলে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যেই বাবলু এধরনের মিথ্যা মামলা করেছে।

উল্লেখ্য, ভূমিদস্যু সজিব-বাবলু সিন্ডিকেট সাংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের ছবি তুলে তা ফেইজবুকে প্রকাশ করে সাধারন মানুষকে নিজের ক্ষমতার জানান দেন এবং এমপি মহোদয়ের সাথে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে একালায় প্রচার করেন।

এতে মানুষের মনে তাদেরকে নিয়ে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি হয়। ফলে তারা নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে যায়। সজিব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক ও বাবলু রায় আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক হওয়ার সুবাদে স্থানীয় প্রশাসনকে তারা চরমভাবে প্রভাবিত করায় সাধারন মানুষ তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করতে পারেনা। এই সিন্ডিকেটের কারোর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে পুলিশ দ্বারা হয়রানী করা হয়।

যার উৎকৃষ্ট উদাহরন হলো বাবলু রায়ের এই মামলাটি। অপরাধ বিচিত্রার তথ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ভুক্তভোগিরা সহ এলাকার সচেতন জনমনে স্বস্তির নি:শ্বাস ফিরে এসেছে। এলাকাবাসী এখন মাননীয় সাংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের হস্তক্ষেপের অপেক্ষা রয়েছে ‘সজিব-বাবলু সিন্ডিকেট যেন তাদের অপকর্মের উপযুক্ত শাস্তি পায়’। চলবে…..।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 + 16 =