সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে টালবাহানা

0
1093

অপরাধ বিচিত্রা : পুলিশ হলো জনগণের বন্ধু । জনগণ যখন বিপদে পড়ে নিরাপত্তার জন্য ছুটে যায় পুলিশের কাছে । এরেই মধ্যে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার বাবন ডাংগা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জহিরুল ইসলাম রয়েছেন এখনো বহাল তবিয়ে । এমত অবস্থায় রাষ্ট্রের পবিত্র পোশাক পরে দুর্নীতির মাঝে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন কিভাবে । কিন্তু রাষ্ট্রের সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পরও কেন সাধারণ মানুষের অন্যায় করে চলছে । অতঃপর হাতীবান্ধা গ্রামের শাহজাহান (৩২) ও খলিল (৪৫) এর কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে গত ৬ মাস পর্যন্ত চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে টালবাহানা করিতেছেন । এখনো তিনি নিজেকে বেড়াজালে জড়িয়ে রাখলেন অর্থের বিনিময়ে । ঐ গ্রামের আহত আবুল কালাম ও তার শ্বশুর এস আই জহুরুল কে জিজ্ঞাসা করেন তদন্ত প্রতিবেদন ও এম সি কবে পাঠাবেন, বলে সময় হলে পাঠিয়ে দিবো ।

আর যদি বেশি বাড়াবাড়ি করো তাহলে তোমার পরিবারের সদস্যকে বিভিন্নভাবে হয়রানি মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয় । পুলিশ ফাঁড়ি থানার এস আই এর আচরণ যদি এরকম হয় তাহলে আমরা সাধারন মানুষ যাব কোথায় ।

গত ১৩-০৬-১৯ ইং তারিখে পারিবারিক সম্পত্তির জের ধরে ঝগড়া-ঝাঁটির সৃষ্টি হয় । এক পর্যায়ে এই কুখ্যাত ক্যাডার বাহিনীর শাহাজান ও খলিল এদের যোগসাজশে আবুল কালাম কে এলোপাতাড়ি ভাবে বেধড়ক ডাংমার করে ।

এই ক্যাডার বাহিনীর রবিউল (৩০) ও পিংকু (১৯) তাহারা হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা কামাল কে হত্যা করার জন্য বুকের ডান পাশ্বে সজোরে চোট মাঠে মারাত্মকভাবে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ।

তার পরিবারের সদস্যদেরকে ও মারপিট রক্তাক্ত জখম করে । এই ক্যাডার বাহিনীর মূল হোতা শাহজাহান আসামি হওয়ার কথা সে কিভাবে সাক্ষী হয় ? এই মামলার এজাহার ভূক্ত যেগুলো ব্যক্তিকে সাক্ষী করানো হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তারা আসামি হওয়ার কথা ।

গত ০৩/০৬/১৯ ইং এত তারিখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায় বর্তমানে আবুল কালামের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তার বাবা মোঃ হযরত আলী বাদী হয়ে গত ১৫/০৬/১৯ ইং তারিখে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে । যাহার মামলা জি আর নং ২৩৪/১৯ । অনুসন্ধান চলছে পরবর্তী সংখ্যা প্রকাশ করা হবে ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − one =