চিনি মেশানো ভেজাল গুড় এখন সারাদেশের হাটবাজারে সয়লাব

1
849

বাঙালির কাছে পিঠাপুলি তৈরির অন্যতম উপকরণ খজুর গুড়ে এখন মেশানো হচ্ছে নোংরা চিনি। এসব চিনি মেশানো ভেজাল গুড় এখন রাজশাহীসহ এর আশপাশের জেলাগুলোর সর্বত্র হাটবাজারে সয়লাব। জেলার বাঘা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, চারঘাট, বাকঁড়া, মীরগঞ্জ, কাকড়ামাঁরী, পরানপুর, চারঘাট বাজার দিড়িপাড়া চারটি উপজেলায় উৎপাদিত হচ্ছে সুমিষ্টি এ ভেজাল গুড়।

মৌসুমের শুরতেই জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে খেজুর গুড়। অবাধে তৈরি ভেজাল গুড় এক শ্রেণির অর্থলোভী চাষিরা খেজুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারজাত করছেন। তবে শীতের শুরুতেই নবান্নের আমেজ এখন শহর থেকে প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে চলছে নতুন ধানের আটায় পিঠা-পুলির উৎসব। এতে পেটের পীড়াজনিত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ওই ভেজাল গুড় দিয়ে কোনো খাদ্য তৈরি করে খাওয়ালে লিভার ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ মারাত্মক জটিল রোগ হতে পারে।

রাজশাহীর বাঘায় ভেজাল খেজুর গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চিনি গলিয়ে খেজুর গুড় তৈরির সময় কারখানা মালিক মোস্তফা হোসেনকে আটক করা হয়।

রাজশাহীর বাঘায় ভেজাল খেজুর গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চিনি গলিয়ে খেজুর গুড় তৈরির সময় কারখানা মালিক মোস্তফা হোসেনকে আটক করা হয়।পরে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুড় ধ্বংস করে ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।বুধবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, চলতি শীত মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেজাল গুড় তৈরি না করার জন্য মাইকিং করা হয়। তারপরও কিছু ব্যক্তি নামমাত্র খেজুর রসের সঙ্গে চিনি, আটা, হাইড্রোস, ফিটকারি, সোডা, চুন, নারিকেলের তেল, রং মিশ্রণ করে গুড় তৈরি করা হচ্ছে। তারা অধিক মুনাফা লাভের আসায় ভেজাল গুড় তৈরি করে বাজারজাত করছে।

উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে মোস্তফা হোসেনের বাড়িতে চিনি গালাই করে ভেজাল খেজুর গুড় তৈরি হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্সকে সঙ্গে নিয়ে গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন আদালতের নির্বাহী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা।

এ সময় মোস্তফা হোসেনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। সে অপরাধ স্বীকার করায় আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে নকল গুড়গুলো ধ্বংস করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও আড়াই মণ গুড় এবং গুড় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × three =