জঙ্গি সন্ত্রাস দমনের নামে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখেছে চীন। ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বন্দিশিবির হিটলারের হলোকাস্টের পর এখন বৃহত্তম বন্দিশিবির চীনে। যেখানে ১০ লক্ষেরও বেশি মুসলিমকে বন্দি করে রেখেছে তারা।
সাংবাদিকদের সংগঠন আইসিআইজে বলছে, হলোকাস্টের পর এটাই সবচেয়ে বড় বন্দিশিবির৷ গত ২৪ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট (আইসিআইজে) উইঘুর অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশে চীন সরকারের গণগ্রেপ্তার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷
এতে বলা হয়, উইঘুরদের নিশ্চিহ্ন করতে চীন সরকারের এই ‘নীল নকশা’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের সবচেয়ে বড় ঘটনা৷ বন্দিশিবিরে রীতিমত মগজ ধোলাই করা হচ্ছে এবং বন্দিদের কঠোর অনুশাসন মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে৷
আইসিআইজের হাতে পড়া সরকারি নথিগুলোর বেশিরভাগই ২০১৭ সালের৷ যেগুলোকে পুরো মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীন৷ চীন সরকারের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভিক্টোর গাও দাবি করেন, ‘এটা বন্দিশিবির নয়৷ তাদের আটকে রাখা হয়েছে ঠিকই, তবে এটাকে আপনি বরং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলতে পারেন৷ সরকার চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদকে এভাবে দমন করতে চাইছে৷
চীন সরকারের দাবি, শিবিরগুলোতে উগ্রবাদ প্রতিরোধে সেবামূলক শিক্ষা দেওয়া হয়৷ সেখানে বন্দিদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং তাদের ধর্মের প্রতি ‘পূর্ণ সম্মান’ দেখানো হয়৷
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ কথা বলছে না৷ জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ২৩টি দেশ থেকেও উইঘুরদের গণহারে বন্দিশিবিরে ধরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে চীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে৷ চীনের গোপন জেলখানা বন্ধ করার দাবি মানবাধিকারবাদীদের। এ বিষয়ে যে দেশগুলো চীনকে সমর্থন দিয়েছে তার মধ্যে রাশিয়া, পাকিস্তান ও সার্বিয়ারও নাম আছে বলে জানা যায়।