ডাকসু ভিপি নুরুল হকের ওপর হামলা

3
838

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুয়েট এর শিক্ষার্থী আবরার হত্যার জের এখনও কাটেনি। শিবির সন্দেহে ও ভারত বিরোধী কিছু মন্তব্য দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অপরাধে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডে গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের তান্ডবে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ এই ছাত্রলীগের লাগাম ধরার কেউ আছে কি না সে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। সমাজে ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ প্রতিষ্ঠা, মানবিক মূল্যবোধ রক্ষা ও সুবিচার প্রতিষ্টার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, ‘দেশে দু:শাসন চলছে, গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে এবং উন্নয়নের আবরনে দেশকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সমাজের অবহেলিত মানুষের কথা কেউ বলছে না। তবে আমরা দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করছি’। ভিপি নুর এর এসব কথা সরকারের কোন একটি পক্ষের জন্য আপত্তিকর ছিল বলে তার ওপর নির্মম হামলা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ।

ঘটনা থেকে প্রকাশ তাকে আক্রমন করার জন্য আগ থেকেই মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের কিছু লোক গেটের সামনে দাঁড়ানো ছিল। নুরকে দেখামাত্র তারা অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় ভিপি নুরসহ তার একাধিক সঙ্গি মারাত্মক আহত হয়। আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এই আক্রমনের ভিডিও ফুটেজও গায়েব করা হয় যাতে মামলা হলে তদন্ত কার্যক্রম ব্যহত হয়। অভিযোগ রয়েছে হামলার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টরকে ফোন করে বিষয়টি জানান হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেন নি। গণমাধ্যমে প্রকাশ, আক্রমনের ভিডিও ফুটেজ প্রক্টর সরিয়ে ফেলছেন।

এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্টরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছেন। এদিকে ঘটনার পর শাহবাগ থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা হলেও পুলিশকে ভিডিও ফুটেজ দেওয়া যাচ্ছে না। ভিপি নুরকে হত্যা করার জন্য এপর্যন্ত বহুবার তার ওপর হামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় ভিপি নুর আরও বলেন তাকে মেরে ফেলার জন্য এ হামলা হয়েছে। ভারতের এনআরসির বিষয় নিয়ে তিনি ও তার সংগঠন প্রতিবাদ করায় এবং ছাত্রলীগের অপকর্ম নিয়ে কথা বলায় পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই হামলার পেছনে হয় সরকারের কোন নির্দেশনা ছিল অথবা পার্শবর্তী দেশের মারফত এ কাজ হতে পারে’। অবস্থা দেখে বুঝা যাচ্ছে আমাদের বাক স্বাধীনতা কোথায় গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরনের উপায় আমদেরকেই বের করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty − 5 =