তানভীর আহমেদ: চট্টগ্রাম ট্রাফিক বন্দর বিভাগের টিআই (প্রশাসন) মশিউর রহমান নিজ কর্মদক্ষতাগুণে জনবান্ধব টিআই হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন সর্ব মহলে। ট্রাফিক বন্দর বিভাগের টি আই (প্রশাসন) হিসেবে যোগদানের এক মাসের মধ্যেই ট্রাফিক বন্দর বিভাগের আওতাধীন এলাকা সমূহের নিজের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। কিশোরগঞ্জ জেলার জগন্নাথ পুর গ্রামের মৃত হাজী আব্দুস সামাদ এর পুত্র টি আই মশিউর ১৯৮৭ সালে ভৈরব কে বি পাইলট স্কুল থেকে এস.এস.সি, ১৯৮৯ সালে হাজী আজমত আলী কলেজ থেকে এইচ এস সি এবং ১৯৯১ সালে একই কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন ১৯৯৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে ডিএমপিতে। ১৯৯৭ সালে তিনি পুলিশ সার্জেন্ট হিসেবে সিএমপিতে যোগদান করেন।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিবাহিত জীবনে তিন সন্তানের জনক টি আই মশিউরের সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে পতেঙ্গা টি আই থাকাকালীন বিমান বন্দর অভিমুখী ফ্লাইওভার নির্মানের সময় সাধারন জনগনকে
যানজটমুক্ত রাজপথ উপহার দিয়ে নির্বিঘেœ তাদের নিজস্ব গন্তব্যস্থলে পৌছাতে সহায়তা করা কারণ বর্ষাকালে ফ্লাইওভার নির্মাণকালীন সময়ে বিমান বন্দরের অভিমুখী বিদেশী ও হজযাত্রীসহ সাধারণ জনগনকে নিজ গন্তব্যস্থলে পৌছাতে প্রাথমিক অবস্থায় বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
কিন্তু টি আই পতেঙ্গার দায়িত্ব গ্রহণ করেই তার ২৮ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে জনগনকে গন্তব্যস্থলে পৌছাতে ব্যপক সহায়তা করেছিল। সাফল্যের ধারাবাহিকতা তিনি অব্যাহত রেখেছেন বন্দর বিভাগের টিআই (প্রশাসন) হিসেবেও।
নিজ সাফল্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বন্দর বিভাগের টিআই(প্রশাসন) মশিউর বলেন, “ সফলতা কিংবা বিফলতা পরিমাপের মাপকাঠি হচ্ছে সাধারণ জনগন। তবে আমার উপর যখনই যে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে আমি তা নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে পালন করার চেষ্টা করেছি।
রাষ্ট্র অর্পিত যে কোন গুরু দায়িত্ব পালন করতে আমার নিষ্ঠা ও একাগ্রতার কমতি হবে না।” জনবান্ধব টিআই হিসেবে খ্যাতি লাভ করা বন্দর বিভাগের টিআই(প্রশাসন) মশিউর রহমান তার প্রাপ্ত খ্যাতি তার নিজ কর্মদক্ষতা গুণে ধরে রাখবেন এই প্রত্যাশা সকলের।