সোসাইটির ব্যানারে মালিক সমিতির আরিফ ফরাজির কোটি কোটি টাকার বানিজ্য

0
535

হাবিব সরকার স্বাধীন: কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন ঠাকুর ঘরে কে রে তখন উত্তর আসে আমি কলা খাই না। তখন কলা কে খাচ্ছে বুঝতে আর বাকী থাকেনা । বাংলা একটা প্রবাদ আছে চোরের দশ দিন গৃহস্থের এক দিন। যখন আমরা চোর ধরতে পারি তখন চোর স্বীকার করে সে চোর অথবা কোথায় কি অপরাধ করেছে। এভাবে দিনের পর দিন, মাসের পরে মাস ডিজিটাল কায়দায় সোসাইটির নামে প্রতি গাড়ী থেকে চাঁদা তোলা হয়। অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান টিমের কাছে তথ্য এসেছে ক্যাসিয়ার হারুন প্রতিমাসে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা করে চাঁদা তুলে। কার ফান্ডে এই টাকা যাচ্ছে, এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় রিক্সা সমিতির সভাপতি ফারাজিকে। তিনি বলেন সাক্ষাতে কথা বলেন। সরেজমিনে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি বলেন আমি খুব ব্যস্ত আছি। আমার মিটিং আছে, তথ্য অনুসন্ধানে দেখতে পাই, হাজার হাজার সাধারণ মানুষ এই টাকার বিষয়ে কিছু জানে না।

কমিটি বিহীন সভাপতি ফারাজীকে প্রশ্ন করা হলে প্রতি গাড়ী থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা তোলার কারণ কি? তিনি ফোনে কথা বলতে নারাজ। বেলতলা রিক্সা মালিক সমিতির অফিসে দেখা করতে বলেন। সেখানে দেখি তিনি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অপরাধ বিচিত্রার সংবাদিককে অজুহাত দেখিয়ে সেখান থেকে তিনি বলেন আমার মিটিং আছে চলে যান।

উনার জন্য নাকি বনানী সোসাইটি সভাপতি দোলন অপেক্ষা করছে। তাদের অজুহাতের কোন শেষ নেই। এভাবে সোসাইটির নাম ভাঙ্গিয়ে অনুমতি বিহীন সোসাইটির স্টিকার লাগায় ফারাজী, আরিফ, সাদ্দাম, মোস্তাফা, তাসলি জসিম  চক্র। 

শুধু এখানেই শেষ নয়। বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধি ও অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। সে দুঃখে গত ১৬ই মে ২০১৮ রোজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও আমরণ অনশন কর্মসূচীর ডাক দিয়েছেন।

প্রতিবন্ধী ও অসহায় নির্যাযিত মানুষেরা, বনানী সোসাইটির নামে সোসাইটির কিছু কর্মকর্তা রিক্সা মালিক শ্রমিকদের নিকট হতে রিক্সা আটক করে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর রিক্সার ব্লুবুক পরিবর্তন করার সময় অর্থ আদায় করে সোসাইটির নামে ২ বছরের নয় কোটি ছাপান্ন লক্ষ আশি হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। বনানী সোসাইটির কিছু কর্মকর্তাগণ এদের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে হতদরিদ্র শ্রমীকদের উপর অমানবিক নির্যাতন,

কথায় কথায় রিক্সা আটক, ১০০ টাকার পরিবর্তে  রিক্সার মালিকের নাম ব্যবহার করে ৪৫০ ও দুহাতে রিক্সা চালালে ৫০০ টাকা করে দিতে হয়। আবার কেউ যদি সত্য কথা প্রকাশ করে দিলে তাকে আর সোসাইটির রিক্সা দেওয়া হয় না। তাই ভুক্তভোগীদের দাবী কার ইশারায় চলছে সোসাইটির রমরমা চাঁদাবাজির ব্যবসা-বানিজ্য।

অনুসন্ধানে আরো দেখা যায় মেয়র আনিসুর রহমান প্রতিবন্ধীদের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেই প্রতিশ্রুতিতে যারা সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল তাদের পরিবর্তে ফায়দা লুটছেন ফরাজি বাহিনী। এভাবেই মনের দুঃখের কথা অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন প্রতিবন্ধী আলম হোসেন, সফিক, ফিরোজ, জাহাঙ্গীর, সুমন, শান্ত, রাসেল শরীফ, মিরাজ জয়নাল আরো অনেকে।

তারা বলেন ভিক্ষা চায় না অন্ন চায় বাঁচার মত বাঁচতে চায় নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা। আমরা ভিক্ষা চাই না। রহিঙ্গারা যদি বাংলাদেশে মাথা উচু করে বাঁচতে পারে আমরা কেন পারব না? আপনি বঙ্গবন্ধু মুজিব কন্যা ৪২ বছর পরেও যুদ্ধ অপরাধীর বিচার করে প্রমান করেছেন সোনার এই বাংলায় অপরাধীদের রক্ষা নাই।

তাই আমরা গরীব মানুষ আপনার সহযোগীতা ছাড়া কোথায় যাব। বনানীতে সোসাইটির নামে যে চক্রটির কাছে অসহায় মানুষ বন্ধি হয়ে আছি সূষ্ট তদন্ত করে তাদের বিচার আওতায় আনা হোক।

আপনিই তো বলেছেন গরীব ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি করতে দেওয়া হবে না। তাহলে বিএনপি নেতা ফরাজী ও আরিফ সোসাইটির নামে রিক্সা আটক প্রতি মাসে গাড়ী প্রতি ৫০০ টাকা করে চাঁদা তুলে সে টাকা কোথায় যায়? আমরা অসহায়  ভুক্তভুগী, কিছু বলতে সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে প্রশাসনিক ভাবে অহেতুক ঝামেলায় পড়তে হয়।

এই বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর দাবী কমিটি করে তদন্ত করা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও  ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। সোসাইটির নাম ভাঙ্গিয়ে যারা বাণিজ্য করছে তাদের মুখোশ খুলে দিবে অপরাধ বিচিত্রা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 + seventeen =