বুক না কেটে এক রোগীর ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন

0
915

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে বুক না কেটে এক রোগীর ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পূর্ণ সফল হয়েছেন বাংলাদেশের কৃতি চিকিৎসকগন।জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিজয় দত্ত জানান,

We have done TAVR(Transcatheter Aortic Valve Replacement) successfully for the first time in the history of NICVD, Bangladesh under the guidance of Dr. Ashok Seth, Dr. Vijay Kumar, Prof. Dr. Mir Jamal Uddin & Dr Prodip Pradip Kumar Karmakar sir on 05/01/20. In this procedure we can replace Aortic Valve without opening the chest just like Angioplasty. Hope in the near future we can continue the program regularly for patient’s comfort & safety.

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার মিডিয়াকে বলেন, ‘এওর্টিক ভাল্ব’ দিয়ে হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরে রক্ত সঞ্চালিত হয়। এই ভাল্বটি সরু হয়ে গেলে এওর্টিক স্টেনোসিস হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত শরীরে সঞ্চালন করতে পারে না এবং রোগী হাঁটলে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

এই রোগের নিরাময়ে বুক কেটে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা যায় । এ পদ্ধতিতে রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করতে হয়। রোগীর বুকের হাড়কে কাটতে হয় এবং প্রক্রিয়াটি ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া পরিপূর্ণ সুস্থ হতে রোগীর কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। আর আমরা যেটা করেছি তা হল, বুক না কেটে এবং অজ্ঞান না করে পায়ের কুচকি দিয়ে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করেছি। এটা কম ঝুঁকিপূর্ণ।

গত রোববার তার নেতৃত্বে এবং হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ৬০ বছর বয়সী এক নারী রোগীর শরীরে সফলভাবে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করেন।

অপারেশনের পর এক রোগী ২-৩ দিনের মধ্যে বাসায় চলে যেতে পারবেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে কাজে যোগ দিতে পারবেন । বর্তমানে রোগীটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 − five =