হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার ওসি বিরুদ্ধে মামলা দায় করেন এক ব্যবসায়ী

0
949

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান আলম প্রধানের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন দুলাল আহমেদ দুলন নামে এক ব্যবসায়ী। এর আগেও তার স্ত্রী নবিউন নাহার ওসির বিরুদ্ধে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে তার স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিকট প্রেরণ করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে দুলাল আহমেদ দুলন তাকে নির্যাতন করায় স্ত্রী নবিউন নাহার কর্তৃক পুলিশের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রাণনাশের হুমকি ও ওসির হুকুমে ও এসআই বাতেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা করে তার হাত ভেঙ্গে দেয়ায় এই মামলা দায়ের করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২০ অক্টোবর নবিউন নাহার তার স্বামী ব্যবসায়ী দুলাল আহমেদ দুলনকে পুলিশী হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে ওসি শেখ নাজমুল হকসহ চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

গত ১৯ অক্টোবর রাত দেড়টায় ওসি নাজমুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুলনকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর তাকে থানায় নির্মমভাবে নির্যাতন করে পুলিশ। একপর্যায়ে আহত অবস্থায় তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ওই মামলায় দুলনকে নির্যাতনের কারন হিসাবে উল্লেখ করা হয় গত ২৭ সেপ্টেম্বর চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওসি নাজমুল হকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চা পাতা, টায়ারসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ মালপত্র চুনারুঘাটে প্রবেশ করে। দুলনসহ এলাকাবাসী বিষয়টি বিজিবিকে জানান।

পরে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে মালপত্র আটক করে। এর পর থেকেই ওসিসহ চোরাকারবারিরা দুলনের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুলনকে আটক করে নির্যাতনের পর গরু চুরির মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে নবিউন নাহার মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।

এদিকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর বর্তমানে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ওসি শেখ নাজমুল হক মামলাটি আপোষ করার জন্য দোলন ও তার স্ত্রী নবিউন নাহারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছেন। ফলে দুলন মামলা দায়ের করেন।

দুলাল আহমেদ দুলনের আইনজীবী এডভোকেট আজিজুর রহমান খান সজল অপরাধ বিচিত্রা কে জানান, ওসির বিরুদ্ধে পূর্বের দায়েরকৃত মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য দুলন ও তার স্ত্রীকে ওসি ও তার লোকজন বিভিন্নভাবে চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দুলনের শরীরের হাড় মাংস এক করে দিবেন কিংবা খুন করে লাশ গুম করে ফেলবেন বলে ফোনে হুমকি দেন। মামলার ৯ নং আসামী আব্দুল হাই প্রিন্স এর মোবাইলে তিনি এ হুমকি দেন।

তিনি আরও জানান, গত ১০ ডিসেম্বর মামলার বাদী দুলন মিয়া তার ব্যবসার বকেয়া টাকা আদায় করার জন্য চিমটিবিল এলাকায় গেলে ওসি শেখ নাজমুল হক ও এসআই বাতেন এর নেতৃত্বে আসামীরা দুলনকে আক্রমন করে এবং তার দুই হাত ভেঙ্গে দেয় এবং নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুটপাট করে।

দুলনকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তার হাতে অপারেশন করে প্লেট বসানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মামলাটি দায়ের করার পর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান আলম প্রধান মামলাটি গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে বুধবার আদেশ প্রদান করবেন।
এদিকে গতকাল বৃধবার আদালত মামলাটি গ্রহন করে
তদন্তের জন্য সহকারী পুলিশ সুপার মাধবপুর সাকেলকে নিদেশ দেন।

এ ব্যাপারে দুলাল আহমেদ দুলাল বলেন, ব্যবসায়ী নেতা হিসাবে আমি চোরাচালানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় এখন আমার জীবন সংকটাপনন।

আমার ভাই ছিলেন চেয়ারম্যান ও আমার পরিবারে ৩জন মুক্তিযোদ্ধা। আমরা সরকারী দলের সাথে জড়িত থাকার পরও পুলিশ আমাকে বার বার নির্যাতন ও হুমকি দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। তাকে হয়রানির জন্যই মামলা করা হয়েছে।
পুলিশের একটি প্রবাদ আছে যে, পুলিশই জনতা,জনতাই
পুলিশ, এই কথা বাংলাদেশ পুলিশের মৃলনিতি থাকলেও পুলিশ এই প্রবাদ টি মানছেন না,কেন,
বিগত ৩১/০৩/২০১৭ইং তারিখে আমাদের হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিকে একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছিলেন, সাবেক
হবিগজ সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিনুল হক এর দুনীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কতা বলায় এবং পরে আরও তিনটি মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা দিয়ে ছিলেন
পরে আমাদের হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ওসি ইয়াছিনুল হকে বিরুদ্ধে মাননীয় পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ, মাননীয় ডিআইজি সিলেট মাননীয় আইজিপি ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ও অভিযোগ করে ছিলেন কিন্তু কোনো
লাব হয়নাই কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে বিচার দিয়ে কতটুকু লাব হবে সেটা একন দেখার বিষয়
কিছু, কিছু পুলিশের কারণে পুরা পুলিশ বাহিনীর সু নাম নস্ট হতে পারেনা
পুলিশ অফিসারদের এই রকম আচরনে হবিগজ জেলার সাধারণ মানুষ কোপ প্রকাশ করছেন। নিউজ টি চলমান বিস্তারিত পরবর্তীতে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eleven − 10 =