হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ শহরতলীর উত্তর তেঘরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসীর নিখোঁজ শিশু পুত্রের হাত-পা বাধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার দক্ষিণ চরহামুয়া এলাকায় খোয়াই নদী থেকে ইসমাইল হোসেন হৃদয় (১২) নামের ওই স্কুল ছাত্রের লাশ গতকাল সোমবার দুপুরে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারী তেঘরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইসমাইল হোসেন হৃদয় নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে হৃদয়ের মা শাহেনা আক্তার হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপরই পুলিশ তাকে উদ্ধারে অনুসন্ধান চালায়। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় চরহামুয়া এলাকায় খোয়াই নদীতে হাত-পা বাধা অবস্থায় এক শিশুর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এ সময় খবর পেয়ে সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেন, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
তাৎক্ষণিক নিখোঁজ শিশু ইসমাইল হোসেন হৃদয়ের স্বজনরা তার লাশ সনাক্ত করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় করেন। নিহত স্কুল ছাত্র উপজেলা উত্তর তেঘরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী ফারুক মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। তবে দাফন না করে লাশবাহী ফ্রীজ গাড়িতে রাখা হয়েছে।
নিহত শিশুর প্রবাসী পিতা দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দেশে ফেরত এলে লাশ দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। এই নৃংশস হত্যার ঘটনায় সর্বত্র শোকের ছাড়া নেমে এসেছে। নিহত স্কুল ছাত্র ইসমাইল হোসেন হৃদয়ের মা শাহেনা বেগম জানান, গত ১০ জানুয়ারী একই গ্রামের কদর আলীর পুত্র সাইমন তার পুত্র হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
এ সময় হৃদয়ের হাতে একটি দামী মোবাইল ফোন সেট ছিল। তাকে হত্যা করে লাশ খোয়াই নদীতে ফেলে মোবাইল নিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সাইমন জেকে এন্ড হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে। হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। নিহত শিশুর গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তদন্ত চলছে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা যাবে।